আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের এইদিনে তিনি মারা যান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে রুমী শহীদ হন

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের এইদিনে তিনি মারা যান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে রুমী শহীদ হন, স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইনেৱকাল করেন। একাত্তরে স্বামী-সনৱানহারা এই মা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’তে একজন মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা, আত্মত্যাগ প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। যা তাকে দেশের মানুষের কাছে সম্মানের আসনে পৌঁছে দেয়। মহীয়সী এই নারীর মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাসৱবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করে। এই বিচারের পরে দেশব্যাপী ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন ক্যান্সার আক্রানৱ এই শহীদ জননী আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা