তারেক জিয়া ও আমান উল্লাহ আমানের “পালিত পশু” সন্ত্রাসী বি এন পি সভাপতি কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেনের গুলিতে দু'জন নিহত

তারেক জিয়া ও আমান উল্লাহ আমানের “পালিত পশু” সন্ত্রাসী বি এন পি সভাপতি কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেনের গুলিতে দু'জন নিহত হয়েছেন

ঢাকা, জুন ০৯ (টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেনের গুলিতে দু'জন নিহত হয়েছেন। জনরোষ থেকে বাঁচতে তিনি গুলি ছোড়েন বলে পুলিশ জানায়। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জনতা বিভিন্ন দাবি আদায়ে সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান মনির হোসেনকে ঘেরাও করলে তিনি নিজের আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ জোন) আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, মনিরের পিস্তলের গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন- হাসান (১৮) ও রিক্সাচালক রেজাউল। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় নেতা রেজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর মনির হোসেন পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরে জনতা চেয়ারম্যানের আশরাফাবাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির পাশের একটি টিনশেড গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গ্যারেজের ভেতরে থাকা একটি গাড়ি পুড়ে যায়। আমাদের মিটফোর্ড প্রতিবেদক কামাল হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সহস্রাধিক মানুষ মনির চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবিতে মিছিল করছিল। প্রত্যক্ষদর্শী রনি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কামরাঙ্গীরচরে ঢোকার নতুন ব্রিজের রাস্তা চওড়া করা নিয়ে মনির চেয়ারম্যানের সঙ্গে জনতার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তখন জনতা মনির চেয়ারম্যানের গাড়ি ঘিরে রেখেছিল। এসময় মনির চেয়ারম্যান কয়েকরাউন্ড গুলি ছুঁড়লে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে কিশোর হাসান ও রিক্সাচালক রেজাউল নিহত হয়। হাসান কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রিজের ঢালে মামার কাঠের দোকানে কাজ করতো। হাসানের পাশের দোকানের কর্মী মাহফুজুর রহমান জানান, জনতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সময় মনির চেয়ারম্যান গুলি ছুঁড়লে হাসানের বাম পাজরে একটি গুলি বিদ্ধ হয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসানের বাবার নাম সিদ্দিক। তার বাড়ি পিরোজপুরের নেসারাবাদে। গুলির ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান মনির হোসেন।। তারপর উত্তেজিত হাজার হাজার মানুষ তার আশরাফাবাদ ২৮ নম্বর নিজামবাগের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় উত্তেজিত জনতা বাড়ির পাশে চেয়ারম্যানের টিনশেড গাড়ির গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গ্যারেজের ভেতরে থাকা একটি নিসান প্যাট্রোল (ঢাকা মেট্রো ম ০২ ১৭৯০) গাড়ি পুড়ে যায়। লালবাগ দমকল স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মানিকুজ্জামান জানান, বেলা আড়াইটার দিকে তারা দু'টি গাড়ি নিয়ে আগুন নেভাতে যান। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চেয়ারম্যান মনির হোসেনের বাড়ি ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে র‌্যাব সদস্যরাও অবস্থান করছে।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা