৩ পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার
৩ পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার
Three Pakistani citizens, arrested early Friday on suspicion of having ties with the plot to attack US embassy and Indian high commission, were taken into two-day remand for interrogation in the afternoon
ঢাকা,বাংলাদেশ,১৩ নভেম্বর (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতীয় দূতাবাসে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য ৩ পাকিস্তানী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ও টঙ্গি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলো- সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম আজহারি ওরফে সুফিয়ান (২২), মো. আশরাফ ওরফে জাহিদ (২৪) ও মো. মনোয়ার আলী ওরফে মনোয়ার (৩০)।পুলিশ জানায়, সুফিয়ানের পাকিস্তানি পাসপোর্ট নম্বর-একিউ-১৮৪৪০৫১, জাহিদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট নম্বর-এএস-৫১৭৮৩৪১ এবং মনোয়ারের পাকিস্তানি পাসপোর্ট নম্বর ডিএইচ-১৭৯৯৯১২।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকায় মার্কিন ও ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গত ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজারের একটি মাদ্রাসা থেকে ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশের প্রধান মুফতি ইজহারুল ইসলামের পুত্র মুফতি হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকেই তার সহযোগি সাইফুল আল-আমিন ও শহিদুল ওরফে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মুফতি হারুনসহ এ ৩ জনের সাথে পাকিস্তানী জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।গ্রেফতারকৃতদের প্রথমে দুই দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে আটক মুফতি হারুন, সাইফুল ও সুজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদকালে লস্কর-ই-তৈয়বার আরো সদস্য উত্তরা ও টঙ্গি এলাকায় রয়েছে বলে তারা ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকার করে।পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এবং অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন যাবৎ উত্তরা ও টঙ্গি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এই ৩ পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম আজ বাসস’কে জানান, টঙ্গি থেকে সুফিয়ান এবং উত্তরা থেকে মনোয়ার ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ জানায়, এর মধ্যে সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম আজহারি ওরফে সুফিয়ান এদেশে লস্কর-ই-তৈয়বার এজেন্ট হিসেবে সদস্য সংগ্রহ, আশ্রয়দান ও তাদেরকে পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতেন। তিনি ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে গাজীপুরের ইসলামি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করতেন। সমপ্রতি তিনি পড়াশুনা শেষ করে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার প্রস'তি নিচ্ছিলেন। তার সংগৃহীত লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যান্য সদস্য দেশের বিভিন্ন স'ানে কাজ করছে বলে জানা গেছে।ডিবি পুলিশ আরো জানায়, জাহিদ ও মনোয়ার লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় সদস্য হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা দু’জনই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারি এবং এদেশে তারা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। এই সার্কিটগুলো বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদেরকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।