’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে


’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে ’৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, ওই সংবিধানের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙৰার প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অসাংবিধানিক সরকার তাদের অবৈধ ৰমতাকে বৈধ করতে সংবিধানকে ইচ্ছেমতো কাটা-ছেঁড়া করে ৰত-বিৰত করেছে- যা সংশোধন করে ’৭২ এর সংবিধানকে আবারও জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিত।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পৃথক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ১শ’ ভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় এবং ২০২১ সাল নাগাদ দেশে বেকারত্বের হার ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্যাকেজ কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যটক আকর্ষণ, নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং পরিকল্পনা, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ, জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন ৰেত্রে সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলোর ব্যাপারে সংসদকে অবহিত করেন।
গতকালের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শুরম্নতেই ৪ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ উপলৰে স্পিকার আব্দুল হামিদ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংবিধান গৃহীত হয়েছিলো। তাই এই দিনটি সংবিধান দিবস। সেদিনের অনেকেই এখন নেই। হাতে গোনা কয়েকজন এই সংসদে উপস্থিত আছেন।
বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনিসহ যারা সেই দিন সংবিধানে দসৱখত করেছিলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা নেই তাদের আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। যারা ৭২’র সংবিধানে স্বাৰর করেছিলেন, তাদের মধ্যে যারা অধিবেশন কৰে উপস্থিত আছেন স্পিকারের অনুমতি নিয়ে তাদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা একটু দাঁড়ান। আপনাদের সবাই দেখতে যায়। এ সময় আমির হোসেন আমু, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং এনামুল হক মোসৱফা শহীদ প্রমুখ সদস্য দাঁড়ান।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো একটা বিপস্নবের পর জনগণের আশা-আকাঙৰার প্রতিফলন ঘটেছিলো প্রথম সংবিধানে। ’৭৫র ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের জেলহত্যার ঘটনা এবং ’৭৫ এর পর বার বার সংবিধান লংঘিত না হলে, ৩৮ বছরে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম।
নেতৃত্বের সমস্যার জন্য বিরোধী
এমপিরা সংসদে আসতে
পারছেন না
বিরোধী দলের সাধারণ এমপিরা সংসদে আসতে চাইলেও নেতৃত্বে অসুবিধার জন্য আসতে পারছেন না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ এমপিরা সংসদে আসতে আগ্রহী। হয়তো নেতৃত্বের সমস্যার কারণে আসতে পারছেন না -এটা আমরা বুঝে নিচ্ছি। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র এমপি জাফরম্নল ইসলাম চৌধুরীর পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। স্পিকারের অনুরোধে জাফরম্নল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্নটি উত্থাপন করেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মুজিবুল হক। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিরোধীদলের এমপিরা সংসদে আসেন না। তারা ইনভিজিবল (অদৃশ্য) ভাবে উপস্থিত থাকেন। তারা সংসদে অংশ নেন। কিন্তু দৃশ্যতভাবে তাদের দেখা যায় না। আনিসুল ইসলাম মন্ডলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মঙ্গাপীড়িত এলাকায় খাদ্য উৎপাদনে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঐ এলাকার মানুষ ‘মঙ্গা’ শব্দটি ভুলে যাবে।
২০১১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ
সংকট কেটে যাবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে আশ্বসৱ করে বলেছেন, ২০১১ সালের মধ্যে দেশবাসী চলমান বিদ্যুৎ সংকট থেকে মুক্ত হবে। তিনি জানান, চলতি বছর ৬৬৭ মেগাওয়াটসহ ২০১৪ সালের মধ্যে ৩ হাজার ৪৬২ মেগাওয়াট ৰমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র ও প্রসৱাব আহবানসহ বায়ু ও সৌরশক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিএনপি’র সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, চলতি পরিকল্পনার আওতায় ২০০৯ সালের মধ্যে নির্মাণাধীন ৬৬৭ মেগাওয়াট, ২০১২ সালের জুন মাসের মধ্যে ৯০০ মেগাওয়াট এবং ২০১৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ১৮৯৫ মেগাওয়াটসহ মোট ৩ হাজার ৪৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে সরকারি খাতে ৮২০ মেগাওয়াট ৰমতার পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ২০১১ সাল নাগাদ এ কেন্দ্র চালু করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মহাজোট সরকারের রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে ও দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
২০২১ সালে বেকারত্ব
২৫ শতাংশ কমবে
বিএনপি’র সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়ার অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বেকারত্বের বর্তমান হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করতে এবং বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিমূলক গুরম্নত্বপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য
১৭ হাজার ফ্ল্যাট হচ্ছে
এ বি এম আশরাফউদ্দিনের (নিজান) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আবাসন সমস্যার সমাধানের লৰ্যে দেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপৰ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশে ১৭ হাজার ৬৭৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপৰ (রাজউক) নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ৬০০ থেকে ১০০০ বর্গফুটের ৫২ হাজার ৫১২টি বহুতল ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে গৃহ প্রদান কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ শানিৱ রৰা সংক্রানৱ র্শীষ পর্যায়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন, বিশ্ব মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং জাপান, চীন ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিসৱানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাৰাতে দেশগুলোর সঙ্গে বিরাজমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
নদ-নদীর নাব্যতা পুনরম্নদ্ধারে
মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর নাব্যতা পুনরম্নদ্ধারের লৰ্যে ড্রেজিং পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রাথমিক উন্নয়নে ১২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রসৱাব প্রণয়ন করা হয়েছে। বেগম মাহফুজা মণ্ডলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প প্রসৱাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে।
প্রতিবেশীসহ বিদেশী রাষ্ট্রের
সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে
বেনজির আহমেদ এমপির এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, জাতিসংঘের ৬৪তম সাধারণ অধিবেশন চলাকালে প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাৰিক বৈঠকের মাধ্যমে সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, কমনওয়েলথ এবং ওআইসির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো জোরদার হবার পথ সুগম হয়েছে।
প্যাকেজ কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যটক
আকর্ষণের চিনৱা-ভাবনা হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সার্কের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে একটি প্যাকেজ কর্মসূচি চালু করে পর্যটক আকর্ষণের চিনৱা-ভাবনা করা হচ্ছে। বিএনপি’র জাফরম্নল ইসলাম চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যনৱ সমুদ্র সৈকত পূর্ণাঙ্গরূপে ব্যবহার এবং অন্যান্য সংশিস্নষ্ট বিষয় অনৱর্ভুক্ত করে নগর উন্নয়ন অধিদফতরে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি দলের সারাহ বেগম কবরীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মিনি সিনেমা হল নির্মাণের প্রসৱাব বিবেচনার আশ্বাস দেন।
সরকারী দলের মোহাম্মদ জয়নাল আবদীনের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর আমাদের গর্বের স্থান। মুজিবনগরে জাদুঘর করার পরিকল্পনা পুনরায় বাসৱবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
জাতীয় সংসদে সংবিধান দিবস উপলৰে সাধারণ আলোচনায় সংসদ সদস্যরা অবিলম্বে বাহাত্তরের সংবিধান পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হলে বাহাত্তরের সংবিধানের কোন বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে অনির্ধারিতভাবে সংবিধান দিবসের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে দিনের কার্যসূচিতে পূর্ব নির্ধারিত ৭১ বিধির মনোযোগ আকর্ষণী নোটিস পর্ব স'গিত করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে আমার একটি স্বাৰর রয়েছে, তাই আমি গর্বিত। কিন' বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর জিয়াউর রহমান এই সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় এবং স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনে।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, এই সংবিধান কোন ব্যক্তির ইচ্ছায় হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছিলেন সেগুলো বিশেস্নষণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছিল এই সংবিধান।
আওয়ামী লীগের অপর সিনিয়র সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ৩০ লাখ মানুষের রক্তে স্নাত সংবিধান পরিবর্তনের অধিকার কারো নেই। সেদিন আমরা যারা গণপরিষদে ছিলাম তারাই ফাদার অফ দি কন্সটিটিউশন।
এর আগে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, ধর্মের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো রেখে ৭২’র সংবিধান কার্যকর করতে হবে। আমরা ৭২’র সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন করব।
ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, স্বাধীনতাকে নিয়ে অনেক ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। যখন ইনডেমনিটি জারি করা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে, তখন মাননীয় ডেপুটি স্পিকার আপনি আর আমি অনেক চিৎকার করেছিলাম। কিন' আমাদের কথা কেউ শোনেননি।
এছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরম্ন, লুৎফুল হাই সাচ্চু এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবং ইকবালুর রহিম এ বিষয়ে সংসদে বক্তব্য রাখেন।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day