ন্যায় ও সত্যের জয়: রেহানা
ন্যায় ও সত্যের জয় : শেখ রেহানা
ঢাকা, নভেম্বর ১৯ ন্যায় ও সত্যের জয় হয়েছে- বঙ্গবন্ধু মামলার আপিলের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথাই বলেছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। বাবা-মাসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হারানোর ব্যাপারে অনেক বছর পর প্রকাশ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানালেন। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। আদালত ১২ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিদেশে অবস্থানরত শেখ রেহানা টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই মামলার রায় উচ্চ আদালতেও যে পুনঃস্বীকৃত হয়েছে এটাই বড়কথা। দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর পর হলেও যে বিচারকার্য শেষ হয়েছে,,,; সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,,,। "অন্যায় ও অপরাধ করলে তার যে বিচার ও শাস্তি আছে এবং হতে পারে, এটাই চিরন্তন সত্য। এখানে ন্যায় ও সত্যের জয় হয়েছে।" ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স�জনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় সেদিন বেঁচে যান। রেহানা বলেন, "সেদিন শাহাদাতবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করি। সেই নৃশংস ঘটনাবহুল হত্যার কালিমা মোচন হোক। এমন রক্তাক্ত স্মৃতির যন্ত্রণা ও শোক কাউকে যেন আর বইতে না হয়, এই প্রত্যাশা করি। দেশে শান্তি বজায় থাকুক। আমি সবার মঙ্গল কামনা করি।"
ঢাকা, নভেম্বর ১৯ ন্যায় ও সত্যের জয় হয়েছে- বঙ্গবন্ধু মামলার আপিলের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথাই বলেছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। বাবা-মাসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হারানোর ব্যাপারে অনেক বছর পর প্রকাশ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানালেন। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। আদালত ১২ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিদেশে অবস্থানরত শেখ রেহানা টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এই মামলার রায় উচ্চ আদালতেও যে পুনঃস্বীকৃত হয়েছে এটাই বড়কথা। দীর্ঘ চৌত্রিশ বছর পর হলেও যে বিচারকার্য শেষ হয়েছে,,,; সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,,,। "অন্যায় ও অপরাধ করলে তার যে বিচার ও শাস্তি আছে এবং হতে পারে, এটাই চিরন্তন সত্য। এখানে ন্যায় ও সত্যের জয় হয়েছে।" ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স�জনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় সেদিন বেঁচে যান। রেহানা বলেন, "সেদিন শাহাদাতবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করি। সেই নৃশংস ঘটনাবহুল হত্যার কালিমা মোচন হোক। এমন রক্তাক্ত স্মৃতির যন্ত্রণা ও শোক কাউকে যেন আর বইতে না হয়, এই প্রত্যাশা করি। দেশে শান্তি বজায় থাকুক। আমি সবার মঙ্গল কামনা করি।"
ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আজ জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন। তিনি বলেন, সুদীর্ঘ ৩৪ বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে জাতি কলংকমুক্ত হল।সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের আপিল আবেদন আজ সুপ্রীম কোর্ট খারিজ করে দেয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাপস একথা বলেন।তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো।তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হল আইনের হাত থেকে কেউই পার পাবে না।বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বাংলাদেশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস রায় ঘোষণার পর আজ দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত আমাকে সর্বোৎকৃষ্ট উপহার দিয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর, আমার জন্মদিন- বঙ্গবন্ধু হত্যার ন্যায়বিচারই আমার জন্মদিনের বড় উপহার।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুকে ২৪ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়েছিল। আর জাতির জনকের হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য আমাদেরকে ৩৪ বছর দ্বারে-দ্বারে ঘুরতে হয়েছে।স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাদি ও আসামী উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করে এই রায় দেয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বিশেষ করে মামলার বাদি, তদন্ত কর্মকর্তা এবং সরকার পক্ষের কৌঁসুলিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।