ঢাকা, নভেম্বর ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দণ্ড কমানোর জন্য আসামি পক্ষ এমন কোনো যুক্তি আদালতে তুলে ধরতে পারেনি, তাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল
দণ্ড কমানোর জন্য আসামি পক্ষ এমন কোনো যুক্তি আদালতে তুলে ধরতে পারেনি, তাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে।
এ কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ৩৪ বছর অপেক্ষার পর জাতি বিচার পেয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রমাণিত হলো সত্যের বিচার হয়। ঐতিহাসিক এক রায়ে বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামি বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও এ কে এম মহিউদ্দিনের আপিল নাকচ করে আপিল বিভাগ। এর ফলে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলো জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে যে আসামিরা আপিল করেছে তাদের আপিল খারিজ করে আদালত রায় দিয়েছে। যারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেনি তাদের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর রয়েছে।" তিনি বলেন, "পাঁচটি যুক্তিতে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিল আদালত। প্রত্যেকটি যুক্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য আদালত গ্রহণ করেছে। আর আসামিপক্ষের বক্তব্য নাকচ করেছে। "আদালত রায়ে বলেছে, আসামিরা এমন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি, যাতে আসামিদের দণ্ড কমানো যায়। এ জন্য আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে।" রায় কতদিন পর কার্যকর করা যাবে- জানতে চাওয়া হলে আনিসুল বলেন, "জেল কোডের বিধান অনুযায়ী, এ রায় যখন কারাগারে যাবে তার ২১ দিন পরে ও ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে কার্যকর করতে হয়।" আসামিদের আর কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য তাদেরকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়। তবে এ সাতদিন ২১-২৮ দিনের মধ্যে গণনা হবে।" আসামিদের রিভিউ আবেদন দায়ের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, "সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আসামিদের রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হবে।" অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, "জাতির জীবনে আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এ রায় মানব জাতির ইতিহানে শ্রেষ্ঠ রায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এই খুনিদের বাঁচানোর জন্য দীর্ঘ ৩৪ বছর অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আজ প্রমাণ হলো সত্যের বিচার হয়।" তিনি বলেন, "সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার কথা হলো, রাষ্ট্রযন্ত্র যখন কোনো হত্যার বিষয়ে চুপ করে থাকে তার চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু থাকতে পারে না।" ফাঁসির আসামিদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। পলাতক খুনিদের দেশে ফেরত আনায় সহায়তা করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এফএফ/এমআই/১৬৩০ ঘ.
এ কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ৩৪ বছর অপেক্ষার পর জাতি বিচার পেয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রমাণিত হলো সত্যের বিচার হয়। ঐতিহাসিক এক রায়ে বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামি বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও এ কে এম মহিউদ্দিনের আপিল নাকচ করে আপিল বিভাগ। এর ফলে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলো জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে যে আসামিরা আপিল করেছে তাদের আপিল খারিজ করে আদালত রায় দিয়েছে। যারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেনি তাদের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর রয়েছে।" তিনি বলেন, "পাঁচটি যুক্তিতে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিল আদালত। প্রত্যেকটি যুক্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য আদালত গ্রহণ করেছে। আর আসামিপক্ষের বক্তব্য নাকচ করেছে। "আদালত রায়ে বলেছে, আসামিরা এমন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি, যাতে আসামিদের দণ্ড কমানো যায়। এ জন্য আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে।" রায় কতদিন পর কার্যকর করা যাবে- জানতে চাওয়া হলে আনিসুল বলেন, "জেল কোডের বিধান অনুযায়ী, এ রায় যখন কারাগারে যাবে তার ২১ দিন পরে ও ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে কার্যকর করতে হয়।" আসামিদের আর কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য তাদেরকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়। তবে এ সাতদিন ২১-২৮ দিনের মধ্যে গণনা হবে।" আসামিদের রিভিউ আবেদন দায়ের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি বলেন, "সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আসামিদের রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হবে।" অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, "জাতির জীবনে আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এ রায় মানব জাতির ইতিহানে শ্রেষ্ঠ রায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এই খুনিদের বাঁচানোর জন্য দীর্ঘ ৩৪ বছর অনেক চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আজ প্রমাণ হলো সত্যের বিচার হয়।" তিনি বলেন, "সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার কথা হলো, রাষ্ট্রযন্ত্র যখন কোনো হত্যার বিষয়ে চুপ করে থাকে তার চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু থাকতে পারে না।" ফাঁসির আসামিদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। পলাতক খুনিদের দেশে ফেরত আনায় সহায়তা করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এফএফ/এমআই/১৬৩০ ঘ.