নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে ‘ইসলামিক টেররিস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ
জয়-দিপু মনি-এ কে খন্দকারের শোক
নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাকে ‘ইসলামিক টেররিস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ আর নেই এনা,নিউইয়র্ক থেকে মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ।নিউইয়র্কের রাস্তায় শেখ হাসিনাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভিডিও-পোস্টার প্রদর্শনীর প্রতিবাদের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন তথা বাদল আকন্দ (৫৪) মারা গেছেন। টানা ৯ দিন বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকদের শত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে বরিশালের বরগুণা সদরের সন্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বাদল আকন্দ ২৯ মার্চ রাত ৯টায় নিউইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনার প্রবাসী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার। নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে এ মৃত্যুর সংবাদ আসামাত্র প্রবাসের সকল মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা নিউইয়র্কে পলাতক যুদ্ধবিরোধী ও তাদের সহযোগিদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। এ সমেমলনে ঢাকা ও মালয়েশিয়া থেকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দের মৃত্যুকে বীরোচিত হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে এ মৃত্যুর দায় থেকে জাতিকে অব্যাহতি দিতে হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের প্রধান এ কে খন্দকারও গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাদল আকন্দের এ মৃত্যুকে জাতির জন্যে আরেকটি শিক্ষা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের চিরতরে নির্মূল করা না গেলে ওদের ছোবল ক্ষণে ক্ষণেই জাতিকে কাঁদিয়ে যাবে। ওয়াশিংটনে বসবাসরত শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সজিব ওয়াজেদ জয় গভীর শোক প্রকাশ এবং বাদল আকন্দের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। এদিকে নিউইয়র্কের কন্সাল জেনারেল মোহামমদ শামসুল হক বলেছেন যে, বাদল আকন্দের লাশ ঢাকায় প্রেরণসহ যাবতীয় প্রক্রিয়ায় কন্স্যুলেট থেকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। ইসলামিক থিঙ্কার্স সোসাইটি নামক উগ্রপন্থিদের একটি সংগঠনের ব্যানার থেকে গত কয়েক সপ্তাহ যাবত নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইসলামের শত্রুদের ছবি ও ভিডিও প্রদর্শণ করা হচ্ছে। গত ২০ মার্চ জ্যাকসন হাইটসের রাস্তার পাশে ঐ সংগঠনের সদস্য হিসেবে কতিপয় বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করে ইসলামিক টেররিস্ট হিসেবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ, প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামিক সন্ত্রাসী এবং ইসলামের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে দেখে আরো অনেক প্রবাসীর মত শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দও ওদের প্রতিরোধ করতে যান। এ সময় প্রচন্ড উত্তেনার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলাকালে বাদল আকন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সাথে সাথে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর আর জ্ঞান ফিরেনি। শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পরই বাদল আকন্দের নেতৃত্বে নিউইয়র্কে গঠিত হয় ‘শেখ হাসিনা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ।’ এই সংগঠনের ব্যানারে তিনি শেখ হাসিনার মুক্তির জন্যে জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউজর সামনে এবং নিউইয়র্কের রাজপথে মিছিল-সমাবেশ ছাড়াও কংগ্রেসম্যানসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের কাছে ধরনা দিয়েছেন। এরপর শেখ হাসিনা মুক্তিলাভের পর তিনি গঠন করেন শেখ হাসিনা মঞ্চ। মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে অবহিত করতে তিনি ছিলেন বিশেষভাবে সচেষ্ট। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বরিশাল অঞ্চলের সবকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনা মঞ্চের সেক্রেটারী কায়কোবাদ খান বার্তা সংস্থা এনাকে বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্যে যারা নিউইয়র্কে চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে বিচারে সোপর্দ না করা পর্যন্ত বাদল আকন্দের আত্মা শান্তি পাবে না।



নিউইয়র্ক প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ-এর চির বিদায়



নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত এপ্রিল ১, ২০০৯ নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভিডিও-পোস্টার প্রদর্শনীর প্রতিবাদের সময় হৃদরোগে আক্রানত্ম- মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন ওরফে বাদল আকন্দ (৫৪) মারা গেছেন। ৯ দিন চিকিৎসাধীন থেকে ২৯ মার্চ রাত ৯টায় নিউইয়কের্র মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। বরিশালের বরগুনা জেলার অধিবাসী এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বাদল আকন্দের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং শেখ হাসিনার প্রবাসী ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়।উল্লেখ্য নিউইয়র্কের ব্যসত্মতম বাণিজ্যিক এলাকা জ্যাকসন হাইটসের রাসত্মায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুশ, টনি বেয়ার, পারভেজ মুশারফের মত ইসলামের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার জোর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রানত্ম হন যুক্তরাষ্ট্রস্থ শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ। উগ্রপন্থি মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী ‘ইসলামিক থিঙ্কার সোসাইটি’ নামক একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত কয়েক বছর যাবত নিউইয়র্ক পুলিশের অনুমতি নিয়ে পোস্টার ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয় ইরাক-আফগানিসত্মানে যুদ্ধের নামে অসহায় মানুষদের নির্বিচারে হত্যার জন্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি বেয়ার এবং প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের। এই কর্মসূচিতে রোববার ২২ মার্চ যোগ করা হয় শেখ হাসিনার ছবি এবং তাকে ইসলামের দুশমন এবং আনত্মর্জাতিক মহিলা সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কিন্তু তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জ্যাকসন হাইটসে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার প্রতিবাদে তারা ঐ স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ সময় অবশ্য নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কর্মকর্তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ক্যাপ্টেন (অবঃ) সচীন কর্মকার জানান। ২৩ মার্চ বিকেলে ‘শেখ হাসিনা মঞ্চে’র উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সমেমলনে সচীন কর্মকার আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণের পরই নিউইয়র্কে পালিয়ে থাকা একাত্তরের রাজাকারদের দোসররা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার ঘৃণ্য কৌশল গ্রহণ করেছে এবংওরা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে। যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য প্রবাসী এল্‌মহার্স্ট হাসপাতালে যান তাকে দেখার জন্য। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী এম ফজলুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, প্রচার সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, শেখ হাসিনা মঞ্চের সেক্রেটারী কায়কোবাদ খান, প্রচার সমন্বয়কারী তৈয়েবুর রহমান টনি, ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি রতন বড়ুয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারী শিতাংশু গুহ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এহেন অপতৎপরতায় লিপ্তদের চিহ্নিত ও সামাজিকভাবে বয়কটের আহবান জানিয়েছেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য মাহফুজুর রহমান
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ-এর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাদল আকন্দ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার রাজনৈতিক বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করেননি। প্রতিবাদ ছিলো তার জীবনের ব্রত। বাংলাদেশে যখন অগনতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় এসে দেশকে রাজনৈতিক নেত্রীত্ব শূণ্য করার নীল নক্‌শা বাস্তবায়ন শুরু করেছিলো, তখন এই প্রবাসেও অনেকেই বুঝে অথবা না বুঝে তা সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু বাদল আকন্দ সে দলে ছিলেন না। তিনি তার নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে গড়েছিলেন শেখ হাসিনা মঞ্চ। এই ব্যানারে তার কার্যক্রম ছিলো চোখে পরার মত। কেউ কোথাও কোন প্রতিবাদ সভা আয়োজন করলে তখন দেখেছি শেখ হাসিনা মঞ্চের বাদল আকন্দ সবার আগে গিয়ে হাজির হয়েছেন তার নেত্রীর মুক্তির দাবীতে। মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন পদে ছিলেন বলে জানা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তার আনুগত্য প্রবাসে যেকোন আওয়ামী লীগারের চেয়ে শত গুনে বেশী ছিলো তা নিয়ে কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। তিনি জীবন দিয়ে তা প্রমানও করেছেন। সেদিন ২২ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় তার যোগ দেয়ার কথা ছিলো সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। যাচ্ছিলেনও সেখানে। পথিমধ্যে ৭৪ স্ট্রীটের কোনায় জড়িয়ে গেলেন অন্য আরেক প্রতিবাদে- একদল আমেরিকান ও বাংলাদেশী যুবক, যারা ইসলামী প্রচারণা করছিলো, তাদের সাথে ভীষন বচসায় লিপ্ত হলেন বাদল আকন্দ। তার সাথে আরও অনেকেই ছিলেন। ঐ যুবকেরা তাদের প্রচারণায় অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে বাদল আকন্দের নেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছিলো। তারা হাসিনাকে ইসলামের শত্রু বলে অভিহিত করে যে প্রচারণা চালাচ্ছিলো বাদল তার প্রতিবাদ করতে থাকেন, অন্যরাও করছিলেন। কিন্তু বাদলের প্রতিবাদ ছিলো বজ্র কন্ঠে। ঘটনা বেশী দূর এগোওনি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলে নেয়। কিন্তু বজ্র কন্ঠে প্রতিবাদ করে বাদল আকন্দ নিজের অজান্তে আক্রান্ত হন হৃদ রোগে। কিছুক্ষণ পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বাদল চলে গেলেন.. তার সেই যাওয়া যে শেষ যাওয়া হবে তা ভাবতেই পারিনি। সেদিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম আমি। আর এই লেখাটির মধ্যে দিয়ে বাদল আকন্দকে স্মরণ করতে গিয়ে ব্যথ্যায় ডুবে যাচ্ছে মন, কিন্তু এক বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এই সাপ্তাহিক বর্ণমালার চলতি সংখ্যার সম্পাদকীয়টি উৎসর্গ করার চেয়ে অন্য কিছু শ্রেয় হতে পারে না বলেই দুঃখের মাঝে এই লেখা। মাহফুজুর রহমান, সম্পাদক সাপ্তাহিক বর্ণমালা ও বর্ণমালা নিউজ, নিউইয়র্ক
নিউইয়র্কের রাস্তায় ভিডিও-পোস্টার প্রদর্শনীঃ বুশ-ব্লেয়ারের মত শেখ হাসিনাও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী? প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত


এনা, নিউইয়র্ক থেকে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ইনসেনটিভ ইউনিট কেয়ারে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বরিশালের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ।নিউইয়র্কের ব্যস্ততম বানিজ্যিক এলাকা জ্যাকসন হাইটসের রাস্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুশ, টনি বে-য়ার, পারভেজ মুশারফের মত ইসলামের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার জোর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বাদল আকন্দ। উগ্রপন্থি মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত কয়েক মাস যাবত নিউইয়র্ক পুলিশের অনুমতি নিয়ে পোস্টার ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয় ইরাক-আফগানিস্তানে যুদ্ধের নামে অসহায় মানুষদের নির্বিচারে হত্যার জন্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি বে-য়ার এবং প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের। এই কর্মসূচিতে গত রোববার ২২ মার্চ যোগ করা হয় শেখ হাসিনার ছবি এবং তাকে ইসলামের দুশমন এবং আন্তর্জাতিক মহিলা সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। কিন্তু তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জ্যাকসন হাইটসে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ধাওয়া খেয়ে একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের প্রেতাত্মারা ঐ স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ সময় অবশ্য নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কর্মকর্তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) সচিন কর্মকার বার্তা সংস্থা এনাকে জানান। ২৩ মার্চ বিকেলে ‘শেখ হাসিনা মঞ্চে’র উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সমেমলনে সচীন কর্মকার আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণের পরই নিউইয়র্কে পালিয়ে থাকা একাত্তরের রাজাকারদের দোসররা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার ঘৃণ্য কৌশল গ্রহণ করেছে এবংওরা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে। এ সংবাদ সমেমলন থেকে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার জঘন্য ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত বাদল আকন্দের অবস্থা ২৪ ঘন্টা পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা সকলকে দোয়া করতে বলেছেন। কেননা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ অনুকম্পা ব্যতিত তিনি সেরে উঠতে পারবেন বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন না। এ সংবাদ জানার পর যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য প্রবাসী হাসপাতালে যান তাকে দেখার জন্য। সংবাদ সমেমলনে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ডাঃ মাসুদুল হাসান, শেখ হাসিনা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কায়কোবাদ খান এবং সহসভাপতি জালালউদ্দিন জলিল। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এহেন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রবাসীদের সজাগ এবং একাত্তরের চেতনায় তা প্রতিহত করার আহবান জানান। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী এম ফজলুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, প্রচার সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, প্রচার সমন্বয়কারী তৈয়েবুর রহমান টনি, ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি রতন বড়ুয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারী শিতাংশু গুহ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, শেখ হাসিনা মঞ্চের সেক্রেটারী কায়কোবাদ খান পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এহেন অপতৎপরতায় লিপ্তদের চিহ্নিত ও সামাজিকভাবে বয়কটের আহবান জানিয়েছেন।



The future of Bangladeshi politics & Flood-Prone Bangladesh


Flood-Prone Bangladesh
Cyclone Sidr, which roared ashore killed at least 3,500 people and left millions homeless after massive flooding. Hundreds of Bangladeshis lose their homes every year in storms and floods, particularly those living in low-lying coastal areas.

SOURCE: Associated Press, USAID, CIESIN, U.N., International Food Policy Research Institute

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা