৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ প্রেসিডেন্টের কাছে ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মন্ত্রীসভায় বিটিভির টেরেস্ট্রিয়াল আইন অনুমোদন৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ প্রেসিডেন্টের কাছে ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী ৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ প্রেসিডেন্ট বরাবর ছেড়ে দিয়েছেন। গতকাল মন্ত্রীসভায় এ সম্পর্কিত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য টেরেস্ট্রিয়াল সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশস্থ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। গতকাল সোমবার মন্ত্রীসভার সাপ্তাহিক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, মোট ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৭টির চ্যান্সেলর ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্যগুলোর ছিলেন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী যে ৭টির চ্যান্সেলর পদে ছিলেন তা ছেড়ে দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), জাতীয় কবি বিশ্ববিদ্যালয় (মোমেনশাহী), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলা ও ইংরেজি) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট। প্রধানমন্ত্রী চ্যান্সেলর পদ ছেড়ে দেয়ায় মন্ত্রীসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রীরা বলেছিলেন যেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাখা হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফর সম্পর্কেও মন্ত্রীসভায় অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সময় আকামা বিষয়ে জটিলতার সমাধান হয়।

বিডিআর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ঢাকা, এপ্রিল ২৮ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্যই সরকার আইনজীবী নিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, "বিডিআর'র ঘটনার তদন্ত নিয়ে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়। তদন্ত শেষ করেই কোন আইনে এর বিচার করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।" আইনমন্ত্রী বলেন, "যে আইনেই বিচার হোক না কেন আমরা চাই বিচার কাজ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে এবং অভিযুক্তরা ন্যয়বিচার পাবে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী।" পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলা পরিচালনার জন্য সরকার অ্যাডভোকেট আনিসুল হককে প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী ও অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে। সেনা আইনে বিচার হলে বিডিআর বিদ্রোহে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, "আমি আগেও বলেছি, আবারো বলছি, কোন আইনে বিচার করা হবে তা এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই নির্ধারণ করা হবে।" যে তিন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের সব আইনজীবীরই কোন না কোন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে আমরা মনে করি, এ আইনজীবীরা নিরপেক্ষ, দক্ষ ও সততার সঙ্গে কাজ করবে।" যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিলম্ব প্রসঙ্গে শফিক আহমেদ বলেন, "জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গ্রহণযোগ্য করতেই সরকার সতর্কতার সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এজন্য একটু সময় লাগছে।" যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশের চাপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে বাইরের কোন দেশের চাপ নেই।" এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, "১৯৭১ সালে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, আমরা তাদেরই বিচার করতে চাই। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিচার কাজ শেষ হবে। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারো বিচার করছে না বা কাউকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তাও করা হবেনা।" একটি সংগঠন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ তদন্তে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।"

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা