জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ

বিসমিলস্নাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু ওয়া আলাইকুম -
আজকের এই দিনে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম।
দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আপনাদের সেবা করার যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন তার একবছর পূর্ণ হলো আজ। এই শুভলগ্নে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি বাংলাদেশের সকল মানুষকে। কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি সকল ভোটারকে যারা আমাদের পড়্গে রায় দিয়েছিলেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেসকল সম্মানিত ভোটারকে যারা আমাদের সমর্থন দেননি কিন্তু তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন। আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তরম্নণ প্রজন্মের ভোটারদের, যাদের অনেকে প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছে। দিনবদলের পড়্গে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পড়্গে রায় দিয়েছে। অভিনন্দন আমাদের নারীসমাজকে যারা অকুণ্ঠভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।
আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, নিজস্ব রাষ্ট্র, নিজস্ব মানচিত্র, লালসবুজের জাতীয় পতাকা।
গভীর বেদনার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এর সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, আমার তিনভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লে: শেখ জামাল ও দশ বছরের শিশুভাই শেখ রাসেলকে।
স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, জাতির পিতার একমাত্র সহোদর শেখ নাসের, কৃষকনেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও তার পরিবার, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অনত্ম:স্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ সেই রাতের সকল শহীদদের।
স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরম্নজ্জামানকে যাদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিচালনায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম।
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সাবেক অর্থমন্ত্রী সংসদ সদস্য এসএএমএস কিবরিয়া, সংসদ সদস্য আহসানউলস্নাহ মাষ্টার, সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজউদ্দিনসহ বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে।
স্মরণ করছি ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন শহীদকে। আলস্নাহ্‌র অশেষ রহমতে আমি সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। আজো পাচঁশরও বেশী নেতা-কর্মী পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন-যাপন করছেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেড়্গ এবং আনত্মর্জাতিকভাবে প্রশংসিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ভোটারদের ম্যান্ডেট লাভ করে।
বিপুল এই বিজয় ছিলো আমাদের উপর আপনাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। এর ফলে জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং অঙ্গীকারও বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। গত একবছরে আমরা চেষ্টা করেছি এই আস্থার প্রতিদান দিতে, বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে।
কতোটুকু সফল হয়েছি তা বিচারের ভার আপনাদের অর্থাৎ এদেশের জনগণের। তবে আমাদের আনত্মরিকতা ও প্রচেষ্টায় যে ত্রম্নটি ছিলো না তা অবশ্যই আপনারা অনুধাবন করবেন।
আপনারা জানেন ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা শুরম্ন হয়। এর আগে দুটি বছর দেশে ছিলো অনির্বাচিত সরকার।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে আতংকের মাধ্যমে দেশকে স্থবির করে দেয়া হয়েছিলো। মুখ থুবড়ে পড়েছিলো অর্থনীতি ও সামগ্রিক উন্নয়ন।
আমার জিজ্ঞাসা, দুই বছরের এই ভোগানিত্মর জন্য কারা দায়ী?
আমি জানি সচেতন নাগরিকমাত্রই বলবেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের দুঃশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও স্বজনপ্রীতির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো।
নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে বুঝতে পেরেই তারা ভোটকারচুপির মাধ্যমে যেনতেন প্রকারে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করেছিলো। এই ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিলো তদানীনত্মন রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনকে।
জোর করে ড়্গমতা দখলের এই নীলনকশার বিরম্নদ্ধে জনগণ সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আন্দোলনকারী জনতার উপর একদিকে পুলিশ, আরেকদিকে সশস্ত্র দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা-নির্যাতন চালায় চারদলীয় জোট।
এরই এক পর্যায়ে দেশে জারি হয় জরম্নরি অবস্থা।
আমাকে বিদেশ থেকে ফিরতে বাধা দেয়া হয়। সরকারের রক্তচড়্গু ও বাধাকে উপেড়্গা করে আমি দেশে ফিরি। তখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়।
মিথ্যা মামলা দিয়ে মাসের পর মাস নির্জন কারাগারে অনত্মরীণ করে রাখা হয়। সেইসঙ্গে আরো অনেক রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়।
এ প্রসঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও প্রবাসীদের।
সেই দুঃসময়ে তারা দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। তাদের সাহসী ভূমিকার কারণেই জাতি আজ গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে।
পাশাপাশি, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে। দিনরাত পরিশ্রম করে তারা ১ কোটি ২৩ লড়্গ ভুয়া ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জাতিকে একটি নির্ভুল ভোটারতালিকা উপহার দিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি শানিত্মপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
আমরা চাই, ভবিষ্যতে প্রতিটি নির্বাচনে মানুষ যেনো স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে।
কোন অপশক্তি যাতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় ২৫ ফেব্রম্নয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা হারিয়েছি ৫৭ জন সম্ভাবনাময় সেনা অফিসারকে।
এই মর্মানিত্মক ঘটনাকে পুঁজি করে একটি বিশেষ গোষ্ঠী দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলো। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের অপচেষ্টাও করেছিলো। তারা সফল হয়নি। তবে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। সে সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।
সরকার দৃঢ়তার সাথে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিলো যা জাতীয় এবং আনত্মর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এই হত্যার বিচারকাজ দ্রম্নত এগিয়ে চলছে। দায়ী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
আমি দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সরকারকে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে দেশের দড়্গিণাঞ্চলে জানমালের যে ড়্গতি হয়েছিলো তা মোকাবেলা করতে হয়েছে। সরকার দ্রম্নত কার্যকর পদড়্গেপ নেয়ায় এই দুর্যোগ থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
আমরা এমন এক সময়ে সরকার গঠন করেছি যখন বিশ্বব্যাপী চলছে অর্থনৈতিক মন্দা ও চরম খাদ্যঘাটতি। এসত্ত্বেও, বিগত সরকারের সময়ে যে চালের দাম ছিলো ৪৫ টাকা আমরা সেই চালের দাম ১৮/২০ টাকায় কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম বর্তমানে যা ২২/২৪ টাকা। ১১৫ টাকার সয়াবিন তেল এখন ৮০ টাকা। ৪৫ টাকার আটা এখন মানুষ ১৮/২০ টাকায় কিনতে পারছে।
২০০১ সালে মূল্যস্ফীতি ১.৫৯ ভাগে রেখে এসেছিলাম। এবারের নির্বাচনের পর যখন সরকার গঠন করলাম মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.১১ শতাংশ।
সরকার গঠন করে ২০০৯ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির এ হার হ্রাস করি যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩.৪৬ এবং ৪.৬৯ শতাংশে।
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় বর্তমান অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহ ২২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রেমিটেন্স প্রবাহের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
মন্দা মোকাবেলায় বাজেটে প্রণোদনার জন্য ৫,০৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোভাবে চলতে পারে।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলো দ্রব্যমূল্য কমানো এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই অঙ্গীকার পূরণে আমরা অনেকটা সফলতা অর্জন করেছি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন ড়্গমতায় ছিলো তখন বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশে পরিণত হয়।
কিন্তু পরবর্তী সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি। দেশকে খাদ্য আমদানি নির্ভর করে তোলে। ফলে খাদ্যশস্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। মানুষ চরম খাদ্যকষ্ট ভোগ করে।
আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভিজিএফ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। রমজান মাসে ১ কোটি ২০ লড়্গ দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। এবারের রমজান মাসে কোন জিনিসের দাম বাড়ে নাই।
কৃষকদের জন্য আমাদের সরকার ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ করেছে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে।
এবারের ইরি-বোরো এবং আমন মৌসুমে কৃষকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
টিএসপি সারের দাম প্রতিটন ৬৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা এবং ডিএপি সারের দাম ৮৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। সারের সুষ্ঠু সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কোথাও একদিনের জন্য সার সংকট হয়নি। ডিজেল ও বীজসহ কৃষি উপকরণের দামও কমানো হয়েছে। ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে।
বর্তমানে দেশে সাড়ে ১১ লড়্গ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। এছাড়া আমন ফসলও কৃষকের ঘরে উঠেছে।
কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহিত করতে সরকারি পর্যায়ে সংগ্রহ লড়্গ্যমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে রেশনের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে চাল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী, আনসার, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার ও দফাদারদের মধ্যে রেশন প্রদানের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করছি।
উত্তরবঙ্গে বছরের পর বছর চলতে থাকা মঙ্গাকে আমরা বিদায় দিয়েছি।
“জাল যার জলা তার” নীতির ভিত্তিতে নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ প্রণয়ণ করেছি।
কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছি।
প্রিয় দেশবাসী,
আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।
২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ১৫% এ নামিয়ে আনার লড়্গ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর ভাতার হার ও উপকারভোগীর সংখ্যা উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে বয়স্কভাতা কার্যক্রমের জন্য ৮১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রমের জন্য ৯৩ কোটি ৬০ লড়্গ টাকা, প্রতিবন্ধী শিড়্গার্থীদের শিড়্গা উপবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বয়স্ক ভাতা বাবদ এ পর্যনত্ম ৬০৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করার লড়্গ্যে ১১৯৭.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে “একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্প বাসত্মবায়ন করা হচ্ছে।
গৃহহীন, হতদরিদ্র মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেয়ার জন্য ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করে যা জোট সরকার বন্ধ করে দিয়েছিলো। এবার আমরা আরো ব্যাপকভাবে এই প্রকল্প বাসত্মবায়ন করছি। প্রতিটি গৃহহীন মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করবো।
সচেতন দেশবাসী,
আমরা শিড়্গাকে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের প্রধান কৌশল হিসেবে নিয়েছি।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিড়্গকদের বেতনের সরকারি অংশ বৃদ্ধি ও সমতাকরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এই প্রথম এসএসসি পরীড়্গার আদলে দেশব্যাপী অভিন্ন পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণীর শিড়্গা সমাপনী পরীড়্গা গ্রহণ করে ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিড়্গার উলেস্নখযোগ্য সম্প্রসারণ ও গুণগত মান বৃদ্ধির লড়্গ্যে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় প্রাথমিক শিড়্গা উন্নয়ন কর্মসূচি বাসত্মবায়িত হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মোট ৪০ হাজার নতুন শ্রেণীকড়্গ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে এবং ৪৫ হাজার শিড়্গক নিয়োগ প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরী, এবতেদায়ী ও দাখিল সত্মরের শিড়্গার্থীদের বিনামূল্যে ১৯ কোটি বই বিতরণ করছে। এবারই প্রথম ওয়েবসাইটে পাঠ্যপুসত্মক দেয়া হয়েছে।
এবারই মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। অতীতে কখনোই এটা দেয়া হয়নি।
পাঠ্যসূচীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস অনত্মর্ভুক্ত হয়েছে।
সরকার নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে নতুন শিড়্গানীতির খসড়া প্রণয়ন করেছে এবং তা জনগণের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
সরকার শিড়্গা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বাজেটে শিড়্গাখাতে মোট ৭২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিড়্গার্থীদের ঝরে পড়া বন্ধ করতে উপবৃত্তির সংখ্যা ৪৮ লড়্গ থেকে ৭৮ লড়্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিড়্গার প্রসারের জন্য মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভোকেশনাল কোর্স চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নারী শিড়্গার ব্যাপক প্রসারের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী উপবৃত্তি প্রদান, বই ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান ও পাবলিক পরীড়্গায় অংশগ্রহণের জন্য পরীড়্গার ফি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যনত্ম মেয়েদের বেতন মওকুফ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য শিড়্গা অবৈতনিক করা হবে।
নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আমরা ২০১৪ সালের মধ্যে নিরড়্গরতা দূর করবো।
স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ লড়্গ্যে বিদ্যমান হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।
১৮টি জেলা হাসপাতালে ৮৭৫টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স এ পরিণত করার কাজ এগিয়ে চলছে।
গ্রামীণ এলাকায় প্রতি ৬,০০০ জনের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের লড়্গ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্মিত ১০,৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
সর্বমোট ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানো হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার স্বল্পতা কমাতে এডহকভিত্তিতে ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়েছে। শীঘ্রই ৫ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। নতুন ১৩টি নার্সিং স্কুল এবং বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করা হয়েছে। ডিপেস্নামা পাস নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদা ও বেতনক্রম দেয়া হয়েছে।।
আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যায়ে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে এবং জেলা হাসপাতাল পর্যনত্ম ওয়েব ক্যামেরা দেয়া হয়েছে।
প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স ও জেলা হাসপাতালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে “মোবাইল ফোন স্বাস্থ্যসেবা” প্রদান করা হচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী,
গত এক বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা বেশকিছু গুরম্নত্বপূর্ণ পদড়্গেপ নিয়েছি।
দড়্গিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবো ইনশালস্নাহ।
ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বিমানবন্দর হতে যাত্রাবাড়ি পর্যনত্ম প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঊষবাধঃবফ ঊীঢ়ৎবংংধিু নির্মাণের পদড়্গেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমিকভাবে অন্যান্য রাসত্মাতেও তা করা হবে।
পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে প্রাথমিক পদড়্গেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
সারাদেশে আমরা মহাসড়ক, সড়ক ও ব্রীজের নির্মাণকাজ দ্রম্নততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।
রেলওয়ের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা হতে জয়দেবপুর পর্যনত্ম ৮৬ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ নির্মাণের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যনত্ম রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
দায়িত্ব নেয়ার পরই আমরা নৌপথ ও নদীকে গুরম্নত্ব দিয়ে নদ-নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় পদড়্গেপ নিয়েছি।
আজকেই বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করার কাজ শুরম্ন হয়েছে।
ঢাকা শহরের চারদিকে সার্কুলার ওয়াটার ওয়েজ চালু করার কাজ চলছে। ঢাকার চারদিকে প্রবাহিত নদী রড়্গার জন্য নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, উচ্ছেদকৃত স্থানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, দূষণ রোধ ও বনায়নের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লড়্গ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং-এর কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। নাব্যতা বৃদ্ধি ও ভাঙ্গনরোধকল্পে ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের সমীড়্গা কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
দড়্গিণাঞ্চলের জমিতে লবণাক্ততা রোধ এবং পলিপড়া হ্রাস করার লড়্গ্যে জরম্নরি ভিত্তিতে গড়াই নদী পুনরম্নদ্ধার কার্যক্রম শুরম্ন হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ড়্গতি মোকাবেলায় আমরা নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ফাণ্ড গঠন করেছি।
ঝুঁকি মোকাবেলায় ইধহমষধফবংয পষরসধঃব পযধহমব ংঃৎধঃবমু ধহফ ধপঃরড়হ ঢ়ষধহ গ্রহণ করা হয়েছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে আমি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ড়্গতিগ্রসত্ম হওয়ার বিষয়টি আমি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছি। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হসত্মানত্মরসহ অন্যান্য সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের দাবি আনত্মর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন পেয়েছে।
মংলা বন্দরকে আনত্মর্জাতিক মানের সমুদ্র বন্দরে রূপানত্মরের লড়্গ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বেসরকারি খাতে কন্টেইনার টার্মিনাল চালু করা হয়েছে। কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকার উপর জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় ঢাকার চারিদিকে ৪টি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
রাজউক কর্তৃক উত্তরা তৃতীয় পর্ব এবং পূর্বাচলে পস্নট বরাদ্দের জন্য প্রথমবারের মত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে লটারির ফলাফলের ভিত্তিতে পস্নট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি আইসিটি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আইসিটি জ্ঞানসমৃদ্ধ তরম্নণদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত করতে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা, ২০০৯ এবং নীতিমালা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ বেশ কিছু গুরম্নত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লড়্গ্যে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কম্পিউটার প্রশিড়্গণ প্রদান এবং ডাটা এন্ট্রি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
গাজীপুর এর কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমির উপর হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে।
ই-গভর্নেন্স বাসত্মবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে ভিডিও কনফারেন্স এর আওতায় আনা হয়েছে।
বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার দুর্নীতিকে নীতি হিসাবে গ্রহণ করেছিলো। এমন কোন খাত নেই যেখানে দুর্নীতি হয়নি। ফলে থমকে গিয়েছিলো উন্নয়ন।
আমরা দেশকে দুর্নীতি থেকে মুক্তি দিতে চাই। সে কারণে, দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ ও সংস্কারসহ বেশকিছু পদড়্গেপ গ্রহণ করেছি।
দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিশ্বের ১০টি দুর্নীতিগ্রসত্ম দেশের তালিকায় অনত্মর্ভুক্ত ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার ড়্গমতায় আসার এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এ অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১লা জুলাই ২০০৯ থেকে নতুন পে-স্কেল প্রদান করা হয়েছে। চিকিৎসা ভাতা এবং অবসরভোগীদের নীট পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সিভিল সার্ভিস এ্যাক্ট প্রণয়ন এবং পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন ও যুগোপযোগীকরণ করা হয়েছে। সৎ, দড়্গ ও মেধাবী বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
আপনারা জানেন, সাত বছরে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়েনি।
চার দলীয় জোট বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। পাঁচ বছরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারেনি।
আমরা দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩,৮০৮ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে বেড়ে ৪,২৯৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৫৫০০ মেগাওয়াট। এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর ৭২৮ মেগাওয়াট ড়্গমতার নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। এবছরের মধ্যে আরো ১০০০ মেগাওয়াট ড়্গমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে।
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিগত সাত বছরে কোন পদড়্গেপ নেয়া হয়নি। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লড়্গ্যে ইতোমধ্যে আবিষ্কৃত গ্যাস ও তেল মজুদ হালনাগাদ করা হচ্ছে। জাতীয় জ্বালানি নীতি ও কয়লা নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্যাস অনুসন্ধানের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
আমাদের সরকার দেশের শিল্প উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প সহায়ক শিল্পনীতি প্রণয়ন, বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণ, নারী উদ্যোগ বিকাশ এবং পরিবেশ বান্ধব শিল্প স্থাপনে উৎসাহ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। মৌলিক কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৭% থেকে হ্রাস করে ৫% করা হয়েছে।
শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার, মেধাঅধিকার সংরড়্গণ ও সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতির লড়্গ্যে ‘ট্রেড মার্কস আইন, ২০০৯’ পাস করা হয়েছে।
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও এক বছরে বিদেশে সাড়ে ৪ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স গত বছরের তুলনায় ২২% বেশি।
পবিত্র ওমরাহ পালনকালে আমি সৌদি বাদশার সাথে সাড়্গাৎ করে সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশীদের জন্য ‘ইকামা’ হসত্মানত্মর সংক্রানত্ম জটিলতা নিরসন করার পদড়্গেপ নিয়েছি।
আমার অনুরোধে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে জনশক্তি প্রবেশের ড়্গেত্রে ‘কোটা’ পদ্ধতি রহিত করার সিদ্ধানত্ম হয়েছে।
নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় যুবক ও যুবমহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নারীর ড়্গমতায়ন এবং উন্নয়নের মূলধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার লড়্গ্যে আমরা কাজ করছি। সরকার, প্রশাসন ও সশস্ত্রবাহিনীতে নারীর অবস্থান আজ উন্নত বিশ্বের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়।
সচেতন দেশবাসী,
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও ড়্গমতা বিকেন্দ্রীকরণের লড়্গ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর উপজেলা পরিষদসমূহ নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানগণের নেতৃত্বে কার্যক্রম পরিচালনা শুরম্ন করেছে।
আমরা মুক্ত চিনত্মা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত করতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ সংশোধনের প্রসত্মাব ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ভিত্তিতে তথ্য অধিকার বিধিমালা, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরম্ন করেছে।
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সুশাসন, আর্থিক শৃঙ্খলা, পরিবেশ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ড়্গেত্রে বিগত এক বছরে মোট ৬৬টি আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
ঞযব ঈড়ফব ড়ভ ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব (অসবহফসবহঃ) অপঃ, ২০০৯ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণকে স্থায়ী রূপ দান করেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লড়্গ্যে ঞযব ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈৎরসবং ঞৎরনঁহধষং (অসবহফসবহঃ) অপঃ, ২০০৯ অপঃ, ২০০৯ পাস হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রাথমিক স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। স্বল্পসময়ের মধ্যে বিচারের কার্যক্রম শুরম্ন করা হবে ইনশালস্নাহ্‌।
মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন ও মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে। ২০০৯-২০১২ মেয়াদের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের সদস্য পুনঃনির্বাচিত হওয়া এরই স্বীকৃতি।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মানবাধিকার লংঘন ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে যে বদনাম ছিল বাংলাদেশ তা থেকে মুক্ত হয়েছে।
সম্মানিত দেশবাসী,
সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক উন্নয়ন ও কল্যাণধর্মী পদড়্গেপ নেয়া হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সেনা সদস্যরা জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে দেশের জন্য বয়ে এনেছে অনন্য সম্মান। সরকার জাতিসংঘ মিশনে আরো বেশি সেনা সদস্য পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লড়্গ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেনা সদস্যদের রেশন বৃদ্ধি, জাতিসংঘ শানিত্ম মিশনে কর্মরত সেনা সদস্যদের ছুটি বৃদ্ধি ও ভিওআইপি টেলিফোন সুবিধাসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশনের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর শিড়্গাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা পরিবারের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জঙ্গীবাদ দমন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডসহ সকল হত্যাকাণ্ড, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের উপর বোমা হামলাসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আইনানুগ বিচার আমরা নিশ্চিত করবো।
বাংলাদেশে যাতে কোনরকম জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত হতে না পারে সেজন্য সরকার কার্যকর পদড়্গেপ গ্রহণ করেছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে।
সরকার ড়্গমতায় আসার ৪ মাসের মধ্যে পুলিশের সব সদস্যদের মধ্যে শতভাগ রেশন সুবিধা প্রবর্তন করেছে এবং রেশনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিডিআর, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও কারা অধিদপ্তরের সদস্যদের রেশন সুবিধার আওতায় আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের জনবল বৃদ্ধির জন্য ৩২ হাজার সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিডিআরকে আরো কার্যকর করার জন্য পুনর্গঠনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
বাঙালির ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরড়্গণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প বাসত্মবায়িত হচ্ছে।
১৪২টি শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ১৯৭২ সালের নির্ধারিত মূল্যের ভিত্তিতে পরিত্যক্ত বাড়ী হসত্মানত্মর করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সম্মানীভাতা বাড়ানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করেছি।
সুষ্ঠু হজ্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার ফলে এবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৯ হাজার হজ্বযাত্রী নির্বিঘ্নে পবিত্র হজ্ব পালন করেছেন।
৫লাখেরও বেশী ইমাম ও মুয়াজ্জিনের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।
এবারই প্রথম খ্রীষ্ট্রান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিবোর্ড গঠন করা হয়েছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান কল্যাণ ট্রাষ্টের অনুদানের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মসজিদ ভিত্তিক কার্যক্রমের আওতায় সাড়ে ৫ লাখ শিশু ও বয়স্ককে প্রাক-প্রাথমিক শিড়্গা এবং সাড়ে ৪ লাখ শিশু-কিশোরকে কোরান শিড়্গা দেয়া হচ্ছে।
ক্রীড়াড়্গেত্রে উন্নয়নের জন্য পদড়্গেপ নেয়ায় ক্রীড়াঙ্গন সাফল্যের ধারায় ফিরে এসেছে।
আমাদের ক্রিকেট দল ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিরম্নদ্ধে টেষ্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ জয় করেছে। জিম্বাবুই-এর বিরম্নদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে। বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ফুটবলকে আমরা মর্যাদার আসনে ফিরিয়ে এনেছি। সাউথ এশিয়ান গেমস ২০১০-এর আয়োজক ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর সহ আয়োজক হিসাবে বাংলাদেশ-এর নির্বাচন আনত্মর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
পর্যটন শিল্পকে শক্তিশালী করতে কক্সবাজার ও কুয়াকাটার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সেখানেও উন্নয়ন করা হবে।
প্রিয় দেশবাসী,
‘‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গে শত্রম্নতা নয়’’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ও আনত্মর্জাতিক সম্পর্কের মূলমন্ত্র।
এরই মধ্যে আমি ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ ও প্রতিবেশী দেশে দ্বিপাড়্গিক সফর এবং বিভিন্ন আনত্মর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছি।
জাতিসংঘের ৬৪তম সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে আমি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে অনত্মর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ২৫টি নির্বাচিত দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়ে বাংলাদেশসহ ড়্গতিগ্রসত্ম দেশগুলোর কথা তুলে ধরেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে জাতিসংঘ শানিত্মরড়্গা কার্যক্রমে শীর্ষস্থানীয় দশটি সৈন্য প্রেরণকারী দেশের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে অংশগ্রহণ করে শানিত্ম মিশনের নীতি-নির্ধারণীতে বাংলাদেশের সম্পৃক্ত করার কথা আমি তুলে ধরেছি।
আমরা বলেছিলাম, নির্বাচিত হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সুসংহত করবো। জাতীয় সংসদকে কার্যকর করবো। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ৪৮টি সংসদীয় কমিটি ও স্থায়ী কমিটি আমরা গঠন করেছি। অন্যান্য দল থেকে ৭ জন সংসদ সদস্যকে বিভিন্ন কমিটির সভাপতির পদ দেয়া হয়েছে। এটাও বাংলাদেশে প্রথম।
প্রিয় দেশবাসী,
আমাদের প্রতি আপনারা যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন তার মর্যাদা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আমরা চাই ২০১২ সালের মধ্যে একটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
২০১৩ সালের মধ্যে ডিগ্রী পর্যায় পর্যনত্ম শিড়্গাকে অবৈতনিক করতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।
২০১৫ সালের মধ্যে সকল গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে চাই। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না।
২০১৩ সাল নাগাদ ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে চাই।
২০১৩ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে চাই যাতে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে।
আমরা ২০২১ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানের হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ এবং মাতৃমৃত্যুর হার ৩.৮ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই।
ইনশালস্নাহ্‌ আমাদের সম্মিলিত পরিশ্রম, আনত্মরিকতা এবং আপনাদের সমর্থনে আমরা একাজে সফলতা অর্জন করতে পারবো।
আমরা চাই, গতানুগতিক রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুস্থ ও ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠা করতে। তাই আমরা বিরোধীদলকে সংসদে ফিরে এসে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রিয় দেশবাসী,
আজ থেকে ৩৮ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যারা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন তাদের রক্তঋণ শোধ করতে হবে।
সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন বাংলাদেশের দুখী-দরিদ্র মানুষ দুবেলা খাবার পাবে, মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। আমরা সব মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই।
২০২১ সাল- বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়নত্মী।
২০২০ সাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী।
২০২১ সালে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অশিড়্গার অন্ধকার থাকবে না। যেখানে দারিদ্র্য থাকবে না। মানুষ তার সম্মান নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে সমৃদ্ধ জীবন গড়ে তুলবে।
আমরা ২০২১ সালে সেই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি যে বাংলাদেশ হবে শিড়্গা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রসর - ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে বলবে- আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা, যে কথা জাতির জনক বলে গিয়েছিলেন।
সেই স্বপ্ন নিয়েই আমাদের পথচলা। আসুন, আলোকিত এই পথের সন্ধানে ঐক্যবদ্ধ হই। সংকীর্ণ ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গড়ে তুলি সোনার বাংলাদেশ।
সবাইকে আনত্মরিক ধন্যবাদ।
খোদা হাফেজ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day