ছাত্রলীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হল্যান্ড এ বসবাসরত ৯০ এর গনঅভুত্থানে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীবৃন্দের যৌথ বিবৃতি

ছাত্রলীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হল্যান্ড এ বসবাসরত ৯০ এর গনঅভুত্থানে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীবৃন্দের যৌথ বিবৃতি,

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গরা সংগঠন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীবৃন্দ বলেন, ১৯৪৮ সালের এই দিনে বাংলা ও বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে দেশের প্রাচীনতম এ ছাত্রসংগঠন ।এদিন নঈম উদ্দীন আহমেদকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় তখনকার পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। এরপর ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ, ৮১-৮২-৮৬ এবং ৯০ শৈরাচার জিয়া-এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী খালেদার পাতানো খেলা সংসদ নির্বাচন, বি এন পি – জামাত জোট সরকারের জংগি- সন্ত্রাস, ১০ ট্রাক অবৈধ অশ্র, লাগামহীন দুর্নিতি, লুটপাট, নাড়ীনির্যাতন, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকার কাতারে ছিল ছাত্রলীগ ।

ছাত্রলীগ নেত্রীবৃন্দ বলেন, নববর্ষের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পথে কাঁটা বিছিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, একমাত্র ইহুদীরাই পথে কাঁটা বিছিয়ে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। ইহুদী ধর্মাবলম্বী এক বুড়ি কর্তৃক মহানবীর পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখার ইতিহাস সর্বজনবিদিত। বেগম জিয়া সেই বুড়ির অনুকরণে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পথে কাঁটা বিছানোর হুমকি দিয়েছেন, কিন্তূ অতীতের মতই বাংলাদেশের জনগণ বেগম জিয়ার বিছানো কাঁটা পদদলিত করে সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশে এবং প্রবাসীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকবে ।

নেত্রীবৃন্দ আরো বলেন, গত জোট সরকারের সময় বি এন পি-জামাত বাংলাদেশকে বের্থ্য এবং জংগিবাদের রাস্ট্র বানিয়েছিল, তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল মাননীয় মন্ত্রি, সংসদ সদস্য, সাংবাদিক, ছাত্রনেতা, কৃষক, শ্রমিক, বুদ্দিজীবি, বিচারপতি, মা, শিশু, এবং বোনেরা, সেই দিন হাওয়া ভবনের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাইনি, সে দিন নির্যাতিতরা জীবন যুদ্ধ করেও হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেয়া হয় নি। পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ২৬০০০ নেতা-কর্মিকে।

প্রবাসী নেত্রীবৃন্দ আশাব্যক্ত করে বলেন, ছাত্রলীগ কে সু-সংগঠিত হয়ে দেশ থেকে চিরতরের জন্য জংগি ও সন্ত্রাস, মুক্তিযুদ্ধপরাধীদের বিচারের জন্য অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন: সাবেক ছাত্রনেতা, মুরাদ খান, নান্টু মৃধা, ইমরান হোসেন, টুকু খান, আবরার হোসেন, সন্দিপ কুমার দাশ, জয়নাল আবেদীন, রশীদ রানা, মাসুদ রহমান, জাকিরুল হক, আব্দুল আছিয়া মেনন, মিলন বাচ্চু, মিরাজ হোসেন, আতিকুর রহমান, শ্যামল শীল, জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম মুন্না, বিষ্ণু বিশ্বাস, ফজলুর রহমান, মুহিন উদ্দিন, নাসিম খান অভি, ভূশন নাথ, আনিসুজ্জামান কিরণ, ইকরামুল পলাশ মুজিব খান, নীপু দাশ, রিপন ও লক্ষন, রঞ্জন কুমার বড়ুয়া, জাহিদ হোসেন, আশিক, পুলক, জুয়েল ও বাহার উদ্দিন, এবিএম জিয়াউদ্দিন, খান মোহামমদ মজিদ, সম্রাট মৃধা ও চান মিয়া প্রমুখ।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day