হামলার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই সবকিছু করা হয়েছে
হামলার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই সবকিছু করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে
সাবেক আইজিপি শহুদুল হক
২১ গ্রেনেড হামলা
০ পিনাকি দাসগুপ্ত
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় এবার সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের সাবেক আইজি শহুদুল হককে। অপর দিকে গ্রেনেড হামলা মামলার গুরম্নত্বপূর্ণ আসামি ভারতের তিহার জেলে আটক দুই ভাই মোর্সালিন ও মোসৱাকিনকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার তদনেৱর মেয়াদ গতকাল সোমবার আদালত ২ মাস বাড়িয়েছে। এ নিয়ে মামলার অধিকতর তদনৱকালে সিআইডি সাবেক দুই আইজিপি ও সাবেক ডিএমপির কমিশনারসহ বেশ কয়েক পুলিশ কর্ম-কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিআইডি সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশের আইজি ছিলেন শহুদুল হক। তিনি ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
আহতদেরকে দেখতে যাওয়া মনে করেননি। গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ব্যসৱ ছিলেন। তার নির্দেশেই সেদিন পুলিশ তড়িঘড়ি করে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছিল। রবিবার ও গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি দফতরে শহুদুল হককে দুই দফায় প্রায় পাঁচ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদনৱ কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ঘটনার পর যা কিছু হয়েছে তা সবটাই হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ মতো। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপর। ডিএমপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কমিশনারই সব কিছু তদারকি করেছেন। তাছাড়া ওই সময় ডিএমপিতে দায়িত্বরত অন্য কর্মকর্তারাই ভাল বলতে পারবেন। তাকে কোন কিছু আগাম জানানো হয়নি। সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি শহুদুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে আবারও ডাকা হবে।
মামলা সংশিস্নষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্য আসামি মোর্সালিন ও মোসৱাকিন ভারতের তিহার জেলে আটক রয়েছে। তারা হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে মামলার অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়েছে। তারা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বিষয়টি চূড়ানৱ হতে পারে।
সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই। তা সত্ত্বেও ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলস্নাহ আরেফ কলকাতা পুলিশের সহায়তায় ৭ সন্ত্রাসীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কথা ছিল ভারতে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু সেসময় বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ পুলিশ ভারতের কোন সন্ত্রাসীকে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ফলে ভারতে আটক বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর হলেও ভারতে আটক বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ফেরত আনার ব্যাপারে বরফ গলতে শুরম্ন করেছে। আদালত প্রতিবেদক জানান, মামলার তদনেৱর মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। মামলার অধিকতর তদনৱ কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ তদনৱ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এএনএম বশির উলস্নাহ দুই মাস বাড়ান এবং চার মাসের মধ্যে তদনৱ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
সাবেক আইজিপি শহুদুল হক
২১ গ্রেনেড হামলা
০ পিনাকি দাসগুপ্ত
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় এবার সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের সাবেক আইজি শহুদুল হককে। অপর দিকে গ্রেনেড হামলা মামলার গুরম্নত্বপূর্ণ আসামি ভারতের তিহার জেলে আটক দুই ভাই মোর্সালিন ও মোসৱাকিনকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার তদনেৱর মেয়াদ গতকাল সোমবার আদালত ২ মাস বাড়িয়েছে। এ নিয়ে মামলার অধিকতর তদনৱকালে সিআইডি সাবেক দুই আইজিপি ও সাবেক ডিএমপির কমিশনারসহ বেশ কয়েক পুলিশ কর্ম-কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিআইডি সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশের আইজি ছিলেন শহুদুল হক। তিনি ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
আহতদেরকে দেখতে যাওয়া মনে করেননি। গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ব্যসৱ ছিলেন। তার নির্দেশেই সেদিন পুলিশ তড়িঘড়ি করে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছিল। রবিবার ও গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি দফতরে শহুদুল হককে দুই দফায় প্রায় পাঁচ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদনৱ কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ঘটনার পর যা কিছু হয়েছে তা সবটাই হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ মতো। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপর। ডিএমপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কমিশনারই সব কিছু তদারকি করেছেন। তাছাড়া ওই সময় ডিএমপিতে দায়িত্বরত অন্য কর্মকর্তারাই ভাল বলতে পারবেন। তাকে কোন কিছু আগাম জানানো হয়নি। সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি শহুদুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে আবারও ডাকা হবে।
মামলা সংশিস্নষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্য আসামি মোর্সালিন ও মোসৱাকিন ভারতের তিহার জেলে আটক রয়েছে। তারা হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে মামলার অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়েছে। তারা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বিষয়টি চূড়ানৱ হতে পারে।
সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই। তা সত্ত্বেও ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলস্নাহ আরেফ কলকাতা পুলিশের সহায়তায় ৭ সন্ত্রাসীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কথা ছিল ভারতে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু সেসময় বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ পুলিশ ভারতের কোন সন্ত্রাসীকে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ফলে ভারতে আটক বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর হলেও ভারতে আটক বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ফেরত আনার ব্যাপারে বরফ গলতে শুরম্ন করেছে। আদালত প্রতিবেদক জানান, মামলার তদনেৱর মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। মামলার অধিকতর তদনৱ কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ তদনৱ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এএনএম বশির উলস্নাহ দুই মাস বাড়ান এবং চার মাসের মধ্যে তদনৱ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।