ইতিহাস তারপথে ফিরছে !

ইতিহাস তারপথে ফিরছে !
হারুন রশীদ আজাদ
বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তানের হত্যার বিচারের চুড়ান্ত রায়ের শুনানি চলছে । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট একদল খুঁনি হত্যা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জনককে ও তার দুই কন্যা ছাড়া পরিবারের সকলকে এমনকি তার নিকটতম আত্মিয়দেরও বাঁচতে দেয়নি খুঁনিরা ! হত্যাকানেডর পরের মাসে ২৬শে সেপ্টম্বর সেই হত্যার দায় মুক্তিদেন তাদেরই তথাকথিত অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় বসানো পাপেট প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক । ঐ রহিতকরণ বিলটি ৩রা নভেম্বর জেল হত্যাকানেডর খুঁনিদের পুনরায় উৎসাহ যোগায় । দ্বিতীয় হত্যাকানেড খুঁনিরা হত্যাকরে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি সরকারের সব ক’জন মন্ত্রী ঔ উপ-রাষ্ট্রপতিকে । কেউ কি বলতে পারেন যারা আন্দোলন করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধকরে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন তাদের প্রাপিত এমন নির্মম মৃত্যু ? যদি তাই হয় ‘‘এমন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলনা ’’ ১৫ই আগষ্ট হত্যাকানেডর সংবাদ শুনে বৃটেনের একজন শীর্ষ নেতা সাংসদ পূর্বের উক্তিটি করেছিলেন । সারা বিশ্বের শীর্ষ রাষ্ট্র নায়ক গণ যখন বাংলাদেশ পিতার হত্যায় ক্ষুব্দ ! খুঁনিরা তখন ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় ‘‘ভাদ্রের পাগলা কুকুরের মত ’’ উম্মাদ, সেনানিবাসে একের পর এক বিদ্রোহ , দেশের সাধারন মানুষ নির্বাক , ৭১ এর যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রনে তখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী । অবৈধ প্রেসিডেন্টের নিয়োগকৃত অবৈধ সেনাপতি মেঃ জেঃ জিয়াউর রহমানের ভুমিকাছিল ‘‘ সাধু শয়তান ’’পাকিস্তানি শক্রর বাহবা পেতে সকলে মিলে যেন প্রতি যোগিতা মুলক ভাবে পাঁচাটা ভুমিকা নেন । জিয়া ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন শাহ আজীজুর রহমানকে , যিনি ৭১‘র ২৭শে সেপ্টেম্বর যুদ্ধকালিন সময়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে জেনেভা আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ রুপে অংশ নেয় এবং বাংলাদেশের বিরুধীতা করে চীর শক্রর ভুমিকা নেয় । এভাবে ২১টি বছর নির্মমভাবে জাতি অবলোকন করে লুটেরাদের ক্ষমতা দখল ও তাদের উত্তর সুরীদের কাছে ক্ষমতার হাত বদলের পালার মাধ্যমে দেশ ও জাতিসত্ত্বাকে মুঁছে দিয়ে স্বাধীনতাকে শুধু প্রতিকি করে রাখা হয় । ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে বিজয়ী হলেও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের ছকে নীল নকশার নির্বাচনে ফলাফল এমনভাবে আওয়ামি লীগ কে দেওয়া হয় যেন জামাতে ইসলামিকে নিয়ে আওয়ামিলীগের কোয়লিশনের বিকল্প না থাকে । সেই যাত্রায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও আসম আঃ রব না এলে জামাত সাময়িকভাবে কোয়ালিশনে আওয়ামিলীগের সরকারে যোগদিয়ে হালাল সনদটা নিয়ে সরে পরতো তখন মধ্যেবর্তি নির্বাচন অনির্বায্য হয়ে উঠতো ।আজ হয়তো জামাতকে যুদ্ধাপরাধি বলার রাজনৈতিককোন প্লাটফ্রম থাকতোনা । যা-ই হোক আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় এসেই ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বরের মোস্তাকের ইনিডমিনিটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন । রাষ্ট্রপতি সংবিধানিক ক্ষমতাবলে যে কোন আইন তৈরী বা আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বিল আকাঁড়ে সংসদে পাঠাতে পারেন তবে ৯০দিনের মধ্যে ঐ বিল সংসদে অনুমোদনের জন্য না উত্থাপন করলে উক্ত বিলটির অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যাবে এবং তার আইন গত কোন অস্তিত্ব ও বৈধতা থাকবেনা । অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি মেঃ জেঃ জিয়াউর রহমান ২০শে আগষ্ট অবৈধ প্রেসিডেন্টর অবৈধ সেনাপতি পদ লাভকরেন এরপর ধাঁপে ধাঁপে রাষ্ট্রের শীর্ষ পদটি দখল করেন ।এরপর শুরুহয় হারামকে হালাল করার প্রক্রিয়া ! ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ছিলেন সামরিক আইন প্রশাসক সেনাপতি এবং রাষ্ট্রপতি । ৭৯‘র ৯ই এপ্রিল সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনিতে খুঁনি ফারুক রশীদ সহ মোস্তাক বিচারপতি সায়েম ও নিজের সকল অপকর্ম হালাল করার লক্ষে নীজের ঝোলায় তুলেন সবার পাপ ।১৫ই আগষ্টের হত্যার সময় থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল সামরিক শাসন তুলে নেওয়ার আগে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনির বিলে এমন ভাবে দড়ি কষা কষে ছিলেন যেন জাতিরজনক হত্যার বিচার করারমত কোন সুযোগ না থাকে । এমনকি খুঁনি ফারুক-রশীদ ,মোস্তাক-জিয়ার কোন কার্য্যক্রম নিয়ে সংসদে আলোচনা করা যাবেনা , প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবেনা ,আইন তৈরীকরা যাবেনা , আইনের আশ্রয়নেওয়া যাবেনা ।সত্যকে প্রতিরোধ করার জন্য জিয়া ব্যকরণিক সকল শব্দ ব্যবহারকরে তাদের শাসনামলকে শত ভাগ হারামকে শত ভাগ হালালে পরিনত করেছেন ।তাই সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনি অবৈধ সন্তানের মত সংবিধান লালন করে চলছে ! দিন চলে যায় সত্যকে ঢেকে , তবে বাস্তবতাকে ধংস করেনা প্রকৃতি । সত্যের পথ যত সংকুচিত-ই হউক তা একসময় নিউক্লিয়ার শক্তিতে প্রশস্ত করে নেয় তার আপন মহিমায় ! মোস্তাক যেহেতু সামরিক আইন জারি করেন নাই সংসদ ও বাতিল করেন নাই । তিনি সংসদে ঐ বিলটি পাস করার চেষ্টাকরে ব্যর্থহন তাই সেই আইনের দড়ি ধরে বঙ্গবনধু হত্যার বিচারের পথ উম্মক্ত হয় । ব্যর্থহয় জিয়ার সংবিধানিক পঞ্চম সংশোধনির সকল চক্রান্ত ও কলাকৌশল ! তাই আজ হউক কাল হউক পঞ্চম সংশোধনি সংবিধান থেকে উচ্ছেদ হবেই আর সেইদিন থেকে কবর রচিত হবে জঙ্গীবাদ , মৌলবাদ আর অবৈধ ক্ষমতা দখলের অপশক্তির পথ ।উচ্চ আদালত ২০০৫ সালের ২৯শে আগষ্ট জাতিকে সেই প্রতিশ্রতিই দিয়েছে ।আইন প্রনয়নের বৈধ প্রতিষ্ঠান জাতিয় সংসদ আর সংবিধানের অভিবাবক হল বিচার বিভাগ ,সংবিধান পরিপনিথ তৈরী করা আইনের যে কোন অংশ যতটুকু সাংঘর্ষিক ততটুকু বাতিল করার ক্ষমতা অভিবাবক ক্ষমতাবলে আদালতের এখতিয়ারভুক্ত । জিয়া হত্যার ঘটনাটা ঘটে ৮১‘র ৩০মে , সেই কথিত হত্যার অপরাধে ১ বছরের কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে বিএনপি সরকার !কথিত অপরাধিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে , সেই আপিলের রায় শোনার ভাগ্য ও তাদের হয়নি বিচার হওয়ার আগেই বি এন পি সরকার কথিত অপরাধি হিসাবে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে তাদের ক্ষমতার আষ্ফলন দেখিয়েছে ! আর বঙ্গবনধু হত্যার বিচার হয়না ২১ বছরেও, - দেশের মানুষকি ছাগল ? -কিছুই-কি বুঝেনা ? -মানুষের মনে জমে থাকা অনেক প্রশ্নের একটি -জিয়াকি তবে পাকিস্তানী বাহিনীর হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ? - হয়তো বঙ্গবনধু তা জেনেই জিয়াকে সেনাপতি না করে সফিউল্লাহকে সেনাপতি করেছিলেন ।মুক্তিযুদ্ধকালিন অনেক ঘটনা আমাদের জিয়া আমাদের কাছে (?) চিহন নিয়ে আজও বির্তকিত ব্যাক্তি !১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় জিয়ার একটি লেখা ‘‘একটি জাতির জনম’’ তাতে তিনবার বঙ্গবনধুকে আমাদের জাতির পিতা বলে উল্লেখ করেছেন তবেকি ঐ সবই ছিল প্রতারনা মুখোশ ?-সেই লেখার সাথে দুই পুত্রের ছবি ছিল সাথে বিবি ছিলেন না কোন একটা কারনে ! বাকশাল কি ? নবজাত শিশুর মত মৃত বাকশাল কে নিয়ে অনেক কথা হয় হচ্ছে , সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনির মাধ্যমে জাতিয় সংসদে ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি গঠিত হয় বাকশাল ।সংবিধানে উল্লেখ করাহয় বাংলাদেশে একটি জাতিয় দল থাকবে যার নাম বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ ( বাকশাল )।
বাকশাল নিয়ে অনেকের অনেক ভাবনা বিদ্ধমান তার মুল কারন বাকশাল দস্যুদের কাছে ছিল বাঘ ! মুলত সাবেক সৌভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে মুক্তি যুদ্ধে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশ কে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে নেওয়ার শর্তে সেই সময় পাকিস্তানের সাথে ছিল চীন , সৌদী লিবিয়া , আমেরিকা সহ আরব বিশ্বের আর কিছু দেশ ।বিপ্লবী মুজিব নগর সরকার সেই জোটের বিরুদ্ধে অস্তিত্ব রক্ষার সার্থে সৌভিয়েতের অনির্বায্য সহযোগিতা বিবেচনায় সৌভিয়েতের সাথে হয়তো বা একটি সমঝোতা হয়েছিল যা থেকে বঙ্গবনধুর সরকার বেড়িয়ে আসতে না পারার কারনেই বাকশাল গঠিত হয়েছিল ।তবে বাকশালের ফর্মুলায় ঐতিহ্য গত ভাবে গড়ে উঠা সমাজ ভিত্তিক বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় কোন সমস্যা হওয়ার মত কিছু ছিলনা। সমস্যা ছিল বিদেশী বাদীদের ।সংবিধানের চর্তুথ সংশোধনিতে বলা ছিল বাংলাদেশে একটি জাতিয় দল থাকিবে যার নাম ‘‘বাকশাল ’’ সেখানে বলা হয়নি অন্য কোনদল থাকবেনা । বলা হয়েছিল প্রজাতন্ত্রের নাগরিক গণ দলের সদস্য হবেন ।ব্যাক্তি তান্ত্রিক প্রাধান্যে গড়া সমাজ ব্যবস্থার কারনে বাকশাল সঠিক ছিল , যেহেতু প্রতিটি নির্বাচনি এলকায় একাধিক নেতার প্রতি যোগিতার সুযোগ ছিল আর সকলেই এক দলের সদস্য থেকে সর্বোচ্চ দশ জন প্রতিযোগিতার মধ্যেথেকে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে এলাকার কাজ করার সুযোগ পেত । পদ্ধতিটি যেহেতু অস্থায়ি বলে বঙ্গবনধু বলেছিলেন , তাই ৭২সালে শুরু হলে ২৫শে জানুয়ারীর জন্ম নেওয়া শিশুর ১৫ই আগষ্টে আতুর ঘরে বাকশালের মৃত্যু হতনা । তবে বাকশাল কন্সেপ এখন কোন আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা নয় কারণ বাকশালের কন্সেপ দ্বারা দেশ ও জাতি লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ কোনটাই হয়নাই ।যে সকল দস্যু রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল তারাও বাকশালের সদস্য ছিলেন মোস্তাক ছিলেন বাকশালের ৫ নং সদস্য, জিয়া ৮০ নম্বরে ।
খন্দকার মোস্তাক কে ? পেশায় ছিলেন আইনজীবি দলের প্রতিষ্ঠা লগ্নথেকে জড়িত ,আওয়ামিলীগের জনমথেকে মোস্তাক ছিল ক্ষমতালোভি ,আওয়ামিলীগে বঙ্গবনধুর আসনটির দাবিদার ঐ লোকটি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে রাজনীতি করেও দলে সম্মানিত ছিলেন বঙ্গবনধুর উদারতার কারণে । ১৯৭১সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় সে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ।২৭শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ জেনেভায় বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য যোগদেওয়ার মাত্র দুইদিন পুর্বে গোপন বৈঠকে মিলিত হন কলিকাতাস্থ আমেরিকার কনসোলেট দপতরে । উদ্দ্যেশ পাকিস্তানের সাথে একটি কনফেডারেশন সরকারের আদলে চুক্তি করে মুক্তি যুদ্ধকে থামিয়ে দেওয়া । ভারতিয় গোয়েন্দা সুত্রে সংবাদটি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাজুদ্দিন আহমদ মোস্তাক ও সচিব মাহাবুবুল আলম চাষীকে সেই যাত্রায় থামিয়ে লনডনথেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌঃ কে এবং সচিব হিসাবে কলিকাতা থেকে হোসেন আলীকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানো হয় । স্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের কারাগারথেকে মুক্তিলাভ করে দেশে ফিরে সব জ্ঞাত হয়েও বঙ্গবনধু দলের নেতা বিবেচনায় বিশ্বাস ঘাতকে মহানুভবতার পরিচয়ে পুনারায় তাকে মন্ত্রীপরিষদে স্থানদেন ।
ফারুক -রশীদ কে ? পাকিস্তানী সেনা প্রশিক্ষক হিসাবে লিবিয়ান সেনা প্রশিক্ষনরত ফারুক সৈয়দ ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর লিবিয়াথেকে কলিকাতায় আসেন সখ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ করবেন ! মুক্তিযুদ্ধ তখন রাষ্ট্রীয় যুদ্ধে পরিনত হয়েছে , এমতাবস্থায় তার উপস্থিতি সন্দেহ ভাজন মনে হওয়াতে তাকে সর্ম্পকযুক্ত করা হয়নি ।তাইবলে স্বাধীনতা উত্তর প্রজাতন্ত্রের সেবা করা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি । চট্টগ্রামের একে খান জুট মিলের মালিকের দুই জামাতা লেঃকঃ ফারুক সৈয়দ ছিলেন ক্যাভিলারি (গোলন্দাজ) বাহিনীতে ও রশীদ খন্দকার সেনাবাহিনীর আর্টিলারিতে । ভারি অস্ত্রের এ দুটি ডিভিশন ক্ষতিসাধনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখলেও অগ্রগামি ডিভিশন হিসাবে পদাতিক ডিভিশনের বিকল্প নেই । নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রনিয়েই যাত্রা শুরুহয় । অতপর মার্কিন সরকার ১৫ই আগষ্টকে সামনে রেখে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাহাদাতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১৫টি ট্যাংক উপহার সরুপ দান করেন ।সেই ট্যাংক বাহিনীকে রাতে প্রশিক্ষনের কথা বলে ১৯৭৪ সালের মার্চে সুপ্রীম কমানডার ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়ার সুবাদে অন্যান্য রাতের মত ১৫ই আগষ্ট নির্বিঘ্নে প্রশিক্ষনের ছুতোঁয় সেনানিবাস থেকে বেড়িয়ে পরে ফারুক বাহিনী তাই সেনানিবাসে তাদের বের হওয়াকে প্রশিক্ষনের অংশ হিসাবেই ধরে নিয়েছিল । কে জানতো সামান্য ঐ শক্তি বাংলাদেশ পিতার বুঁকে চড়ার জন্য ছুঁটেছিল !সেই ট্যাংক দ্বারা ফারুক ঢাকার সকল প্রতিরোধ মাটিতে গুড়িয়ে দেওয়ার সপথে রাতের আধাঁরে রাজপথে নামে । কলাবগানের ৩২ নম্বর রোড বাংলাদেশ বেতার , টেলিভিশষন ভবণ , বাংলাদেশব্যাংক , বঙ্গভবণ সংসদ ভবণ - এর প্রতিটি স্থানে বসে কামান ও ট্যাংক ,আর সহরাওয়ার্দি উদ্দ্যানে বসানো হয় তাদের হেড কোর্য়টার । তাতেই বুঝা গিয়েছিল ঐ ঘটনায় সেনাবাহিনী বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল । এদিকে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা হত্যা সমস্ত জাতিকে যেমন আঁধারে তলিয়ে নিচ্ছিল অন্যদিকে ৭১ পলাতক বিশ্বাসঘাতকেরা হামাগুড়ি দিয়ে বেড়িয়ে আসছিল ।নেতৃত্বহীন রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলে তখন রাষ্ট্রীয় অস্ত্রধারি গোষ্ঠির দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে যায় রাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার হয় অবৈধ পনথায় ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় প্রাণ কেড়ে নেয় হাজার সৈনিকেরও ।
মেঃ ডালিম ( জালিম )কে ? কেরানীগঞ্জর শেষ সিমানায় পৃর্ব পুরুষের ঠিকানা । বাবা সমছুল হক একসময় ফিসারিজের পরিচালক ছিলেন এবং অবসর কালিন কেরানিগঞ্জে জিয়ার মনোনীত বি এন পির দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন । মেঃ ডালিম (বরখাস্ত) মৃত্যু পুর্ব পর্যল্ত শেখ কামালের খুব কাছের বনধুছিল ঘরে সৎ মা থাকার কারনে বেগম মুজিবকে মা বলেও সম্বোধন করতো , আমি ব্যাংকর্মকর্ত্তা হিসাবে অনাদায়ি ঋন আদায় সুত্রে তার সৎ মায়ের সাথে তা জেনেছি । ঢাকা ক্লাবে তার বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলের সাথে ঝগড়ার সুত্রধরে পরেদিন এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে গিয়ে পল্টনস্থ বাড়ীথেকে গাজী পরিবারকে উচ্ছেদ করার অপরাধে চাকুরীচ্যুত এই ডালিম ,হত্যার পুর্বে তার কাজ ছিল ৩২ নম্বরের সর্বশেষ অবস্থা জানানো এবং ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশ বেতার থেকে অপ-প্রচারনার দায়িত্বেছিল । এর কনেঠই সেদিন শুনেছিলাম ‘‘আমি মেজর ডলিম বলছি সৈরাচার শেখ মুজিবের পতন ঘটেছে কিছুক্ষনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দ্যেশে ভাষন দেবেন ’’ কোন প্রতিষ্ঠানের চেইন অফ কমানড বা নিয়ন্ত্রন বর্হিভুত হয়ে গেলে তখন পদাধিকার গৌণ হয়ে পরে ! তৎকালিন সেনাবাহিনীর প্রধান মেঃ জেঃ সফিউল্লাহ সেনাপধান হিসাবে থাকায় সব ডিভিশনের কমানেড থাকলেও তার নির্দিষ্ট কোন একক ডিভিশন ছিলনা া । তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর চেয়ে দিগুনেরও বেশী সেনা ছিল ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সৈনিক ও অফিসার ।সামরিক রাজনীতি তে অভ্যস্ত পাকিস্তান সে দেশের সৈনিকের মন মানুষিকতা কমবেশী এমনিতেই গড়ে উঠে সামকি শক্তি আর রাষ্ট্র ক্ষমতার শক্তির ইন্দন ! সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশও সেই ক্ষপপরে পরে ।তাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারিদের সাথে একটা শীতল যুদ্ধ শুরু থেকে থাকলেও বঙ্গবনধুর জীবদ্দশায় কেউ সাহসকরে তা প্রকাশ্যে তুলে ধরতে সাহস করেনি ।১৫ই আগষ্ট প্রধানসেনাপতিকে তার দপতরে অবৈধ ভাবে অস্ত্র বহনকরে প্রবেশ করার অর্থই চেইন অফ কমানড ভেংগে যাওয়া প্রমান করে । বঙ্গবনধুকে হত্যার পরই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সববাহিনীর প্রধানকে নজর বন্দীকরে বেতার কেন্দ্রে এনেছিল খুনীরা ! টুপি মোস্তাক সকলের সমমতি নিয়ে শেষের দিকে বেতার ভাষনে তার রাষ্ট্রপতিহওয়ার খায়েস ঘোষনা করেন ।কিন্তু পেশায় সুচতুর আইনজীবি মোস্তাক নিজেও জানতেন তার পদটি তখনও হালাল হয়নি । সংবিধান তাকে গ্রহনকরেনি । তিনি এ-ও জানতেন যে সামরিক শাসন জারির সংবিধানিক কোন বিধান নেই । আর ঐ জঙ্গী শাসন জারি হওয়ার পর তিনি হবেন নাচের পুতুল !তাই সংসদকে সচল রেখে হারামটাকে হালাল করার লক্ষে ২৬শে সেপ্টেম্বর নিজ পদের ক্ষমতা বলে খুনীদের বঙ্গবনধু হত্যার দায়মুক্তি বা ইনিডমিনিটি বিল তৈরী করেন । সেই বিল সাংসদরা প্রতিরোধ করেদিয়েদিয়েছিল তাদের দেশাত্ববোধ ও আইনিক্ষমতার অংশ হিসাবে তাই সংবিধানের বাধ্যবাধকতা আর সেই বিল ইতিহাসে রাজসাক্ষী হয়ে আজকের বঙ্গবনধুহত্যার বিচারের উম্মুক্ত আদালতে বিচারে দনেড উন্নতশীরে । মোস্তাক-জিয়া ক্ষমতার লড়াই ও খালেদের আর্বিভাব ! চতুর মোস্তাক তার অস্তিত্ব রক্ষার সার্থে ৯০দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষনাদেন লায়লাতুল কদরের রাতে আর সেই ঘোষনায় জিয়ার মাথায় আকাশ ভেংগে পরে । অপর দিকে উচ্চ শিক্ষা ও মেধা তালিকায় জিয়ার আগেই সেনাপ্রধান পদের দাবীদার মেঃজেঃ খালেদ মোশারফ ৩রা নভেম্বর রাতে জিয়াকে সেনাপ্রধান পদ থেকে অবসর গ্রহনে বাধ্যকরেন এবং তাকে গৃহবন্দী করে রাখাহয় ।সাথে সাথে সহরাওর্য়াদি উদ্দ্যানের ফারুক-রশীদের বিদ্রোহি ঘাঁটীর সকলকে অনতি বিলম্বে সেনানিবাসে ফেরার নির্দেশদেন অন্যথায় প্রেসিডেন্ট হাউসে বোমা মেরে উঁড়িয়ে দেওয়ার বার্তা পাঠানো হয় মোস্তাকের কাছে। খুঁনী ফারুক-রশীদ চক্র তখন ঐ ভবণকে সদর দপতর হিসাবে ব্যহার করতেন । দ্রত অবস্থার পরিবর্তন দেখে মোস্তাক ,ফারুক-রশীদ চক্র , খালেদ মোশারফকে দিয়ে জেলে বন্দী তাজুদ্দিন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলামের পাল্টা প্রতিশোধ মনে করে তরিৎ গতিতে জেলহত্যার পর্ব শুরু করেন । অপর দিকে জেঃ আতাউল গনি ওসমানিকে ডেকে খুনীদের বাংলাদেশ ত্যাগের পথ তৈরী করেন টুপী মোস্তাক । মনে করাহয় আলোচনা চলা অবস্থায়ই ওসমানির অজান্তে ভোরে জেলখানায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চার মন্ত্রীর সকলকে হত্যাকরে , খুনীরা বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে থাইল্যানেডর উদ্দ্যেশে ঢাকা ত্যাগ করেন । ঐ সব ঘটনার নেপথ্য নায়কের ভুমিকায় কাজ করে পাকিস্তানের ও আমেরিকার দুতাবাস । ৪ঠা নভেম্বর সকালে ছড়িয়ে পরে জেলহত্যার নির্মম সংবাদ সেনানিবাস থেকে শুরুকরে সারাদেশে দানবীয় হত্যার তীব্র ্রক্ষোভ দেখা দিলেও কে প্রেসিডেন্ট কার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা তা নিয়ে গুজবের শেষ নেই !খুনীরা তখন থাইল্যানেড পৌছে গেছেন । পরে বেতার মাধ্যমে জানাযায় প্রধান বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন ।এদিকে সেনানিবাসে প্রতি বিপ্লবের প্রচার চলছে বাইরে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য তখন সেনাপতি রাষ্ট্রপতি সায়েমের সহযোগিতায় ব্যস্ত ।চারদিনের মাথায় (৭ই নভেম্বর )গনবাহিনীর সিপাহির সিপাহি বিপ্লব সংগঠিত হয় ।সৈনিকদের মুখের শ্লোগান ছিল ‘‘সিপাহী সিপাহি ভাই ভাই অফিসারের রক্ত চাই ’’ সেই প্রতিবিপ্লবকে কাজে লাগায় কর্নেল রশীদের নেতৃত্বাধীন ৪র্থ বেঙ্গলের র্আটিলারি ডিভিশন মেঃ জেঃ জিয়াকে তার বাসাথেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে তাদের হেড কোর্য়াটারে রাখে আর পাকিস্তান ফেরত সৈনিকেরা খুঁজে খুঁজে মুক্তিমোদ্ধা অফিসারদের হত্যা শুরু করে ।সেই সাথে কর্নেল তাহেরের গণ বিপ্লবের বিফলতা পাকিস্তান পনিথদের নিয়ল্ত্রনে গিয়ে সুফলে রুপনেয় । বিকালের দিকে আবার শুরুহয় যে যাকে পার তাকেই মার , রাতে সংসদ ভবনের সন্নিকটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেঃ হায়দারকে, কলাবাগানের শেষপ্রানেত মেঃ জেঃ খালেদ মোশারফকে নির্মমভাবে হত্যাকরা হয় । এভাবে বহু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যাকরে সিপাহি বিপ্লবকে জাতিয় বিপ্লব নাম দেওয়াহয় । প্রচার মাধ্যম দখল নিয়েও জিয়া পনিথ আর তাহের পনিথদের সংঘর্ষ হয়। পরের দিন সবকিছু জিয়ার সমর্থকদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে ।এরপর জিয়ার ন্যায় বিচারের পাল্লায় ‘‘তাহেরের বিপ্লব যায় দেশোদ্রোহিতায় আর জিয়ার মুক্তি হয় জাতিয় বিপ্লবের ’’ । আর ১৫ই আগষ্টের পর ছদ্মাবরণ থেকে বেড়িয়ে আসা রাজাকার আল বদরেরা সুবিধা ভোগি একটি শ্রেনী নারায়ে তকবীর ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলে রাজধানী ঢাকা । নিঃসঙ্গ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েম ধীরে ধীরে আপন আসনে বসেই জিয়ার সচিবে পরিনত হন । বিচারপতি সায়েমের পরার্মশক হিসাবে থাকাকালিন বিচারপতি ছাত্তার রাজাকারের ভুমিকা ছিল মীরজাফরের মত ,আমার আত্মিয়ের বাসায় ভাড়া থাকা প্রেসিডেন্ট সায়েমে সাহেবের ষ্টোনোগ্রাফার বলেছিলেন ক্ষমতা দখলের পুর্বমুর্হুতে ছাত্তার জিয়াকে সাথে করে নিয়ে আসেন একান্ত আলাপের কথা বলে । এরপর দেশের পরিস্থিতি ভাল যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন জিয়া ,এরপরই ছাত্তার বলেন স্যার জিয়া সাহেবকে কিছুদিনের জন্য ক্ষমতা করলে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে আপনার হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে । মুর্হুতে সায়েম বলে উঠেন আর ইউ ব্রোকার ? -আপনি চুঁপ করুন ! সায়েম সাহেবের উত্তেজনা দেখে জিয়া বসা অবস্থা থেকে উঠে দাড়িয়ে বলেন , ইজ এনাফ ! ইউ স্যুড রিজাইন নাউ ! তখন প্রেসিডেন্ট সায়েম বিব্রত হয়ে বলেন আমি একজন বিচারপতি এভাবে আমি সংবিধানিক দায় এড়াতে পারিনা । একমাত্র চিকিৎসক দ্বারা অযোগ্য ঘেষিত হলে দায় এড়াতে পারি । সাথে সি এম এইচ হাসপাতালের ডাক্তার কে দিয়ে অযোগ্য দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা জিয়া করাত্ব করেন । জিয়া নিজেই নিজেকে সেনাপতি , সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করেন ।এরপর তার সামভাব্য প্রতিদ্ধ্বন্দি খন্দকার মোস্তাককে ১৯৭৩ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন এই অভিযোগে সামরিক আদালতে সংক্ষিপত বিচারে ৬ বছরের কারাদনেড দনিডত করে রাজনীতির স্বাদ চীরতরে মিটিয়েদেন । এই সেই জিয়াউর রহমান যিনি ১৫ই আগষ্ট ও ৩রা নভেম্ববরের প্রতিটি খুনীকে একটি করে অটো প্রমোশন দিয়ে রাষ্ট্রের অর্থে দেশের বাইরে দুতাবাস গুলিতে বসিয়ে লালন পালন করেন তাতে নিজের ক্ষমতা দখলের পথে ভবিষ্যত কোনধরনের পথের কাঁটা না হয় । তবে আমি বুঝি এটুকু-ই , পাকিস্তানি অনুচরের হাত থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি পেয়েছে ! সেই মানুষ খেঁেকা শিয়ালের আর কোনদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখা যাবেনা ।
বঙ্গবনধুহত্যার বিচার হবেই অপরাধিরাও ফাঁসিতে ঝুলবে কিন্তু দেশ ও জাতি যে মহাকাব্যের মহা পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান (খোকা)কে হাড়িয়েছে সেই জয়বাংলার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবির অনেক রয়ে যাওয়া সপ্ন ও অসম্পন্ন কাজ আজও দেখতে পেলনা ।১৯৭৪ সালের বন্যার সময় বুড়ি গঙ্গার পাড়ে ( ওয়াইঘাট )দাড়িয়ে নদীর ওপারের সবুজ শ্যামল বুকের দিকে চেয়ে বলেছিলেন আমি দশ বছর বেঁচে থাকতে পারলে ঢাকাকে প্যারিসের মত সাজাবো । কিন্ত বছর না যেতেই তাকে পাকিস্তানি অনুচরেরা হত্যা করলো । তবে শান্তনা আমাদের , দিন যতই সামনের পথে চলছে, মৃত মুজিব ততই সমমানিত পথে এগিয়ে চলছে তার আপন মহিমায় দেশ ও জাতি ধন্য হচ্ছে তার ঐতিহাসিক বিজয়ে ।মরণের পর খ্যাতিমান কালজয়ী মহা পুরুষ বঙ্গবনধু জাতিকে শিখিয়ে গেছেন খুনীর হাতে মৃত্যু মানুষের ঐতিহ্য আর সত্যকে হত্যা করতেপারেনা ।সত্যপথে চলার এই গতি রোধকরার অস্ত্র ধরনিতে এখনো আবিসকার হয়নি ।তাই খুনীর মুক্তি পাওয়া কিংবা ফাঁসি হওয়া আইনি বিষয় চাতুরতা আর প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ ভোগে লাভনেই, তাতে কলংকের কালিতে খুঁনিদের কুষ্ঠিনামা থেকে সব কিছুই কুৎসিত হচ্ছে ।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

Justice order of the day