প্রতিবন্ধী কল্যাণে সব ব্যবস্থা নেবে সরকার ঃ প্রধানমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী কল্যাণে সব ব্যবস্থা নেবে সরকার ঃ প্রধানমন্ত্রী
০ চাকরি দিলে আয়কর রেয়াত পাবে
০ স্কুলে ভর্তি না করালে কঠোর শাস্থি
০ গড়ে তোলা হবে প্রতিবন্ধী কম্পলেক্স
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোন কর্পোরেট বা বেসরকারি শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের চাকরি প্রদান করলে তাদের আয়কর রিবেট (ছাড়) দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আনৱর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৮তম
আনৱর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলৰে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আরো বলেন, সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী-উপযোগী কর্মৰেত্র চিহ্নিত করার কাজ শুরম্ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুসারে উপযুক্ত প্রশিৰণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ
তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামূল হক মোসৱফা শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি জহুরম্নল আলম ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম আহমেদ নূরম্নল কবির। সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরম্নন্নেসা খানম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের বৃত্তি ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া তিনি ১০ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ারও দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ে ভর্তিতে উৎসাহিত ও ঝরে পড়া রোধে আগামী বাজেটে প্রতিবন্ধী শিৰার্থীদের উপ-বৃত্তি বাড়ানো হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধিতার কারণে কোন শিৰার্থীকে সাধারণ শিৰা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে দায়ী ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে কঠোর শাসিৱমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি প্রতিটি স্কুলে ১ জন করে বিশেষজ্ঞ নিয়োগেরও পরিকল্পনার কথা উলেস্নখ করেন।
আনৱর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সকল প্রতিবন্ধীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধিতা কোন অসুখ নয়, মানব বৈচিত্র্যেরই একটি অংশ এবং প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের আর দশটা মানুষের মতই তাদেরও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অত্যনৱ দুঃখের বিষয়, সমাজে প্রতিবন্ধীদের একটু ভিন্ন চোখে দেখা হয়। সমাজের সকলের এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতে পারলে অবশ্যই প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আসবে। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। প্রতিবন্ধীদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে হবে পাঠ্যসূচিতে তা থাকা প্রয়োজন উলেস্নখ করে তিনি প্রতিবন্ধীদের প্রতি আচরণের বিষয়টি ছোটদের পাঠ্যসূচিতে অনৱর্ভুক্ত করার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে প্রতিবন্ধীর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তিনি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিতব্য আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধীদের সঠিকভাবে গণনা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রাখার জন্য সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের চলাচলের উপযোগী অবকাঠামো এবং যানবাহনে বিশেষ করে বিআরটিসি বাসে যাতে তারা চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সরকারি পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমী দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে অথচ প্রতিবন্ধী শিল্পীদের সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ একেবারেই সীমিত। প্রতিবন্ধী শিল্পী সৃষ্টিতে ও তাদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি মূলধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে শিল্প একাডেমীসহ অন্যান্য একাডেমীকে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়ে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাসৱবায়ন নিয়ে সরকার ভাবছে। এৰেত্রে ফোকাল মন্ত্রণালয় হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের কাজ করবে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া সকল ধরনের প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা, প্রশিৰণ ও পুনর্বাসন সুবিধাসহ একটি প্রতিবন্ধী কমপেস্নক্স তৈরি করার লৰ্যে ইতিমধ্যেই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মজীবী প্রতিবন্ধীদের জন্য ঢাকার মিরপুরস্থ জাতীয় বিশেষ শিৰা কেন্দ্রের অভ্যনৱরে মহিলা ও পুরম্নষ কর্মজীবী প্রতিবন্ধীদের হোস্টেল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি প্রতিবন্ধীদের আশ্বসৱ করে বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে অসহায় ভেবো না। তোমাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি আমরাও তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য আমি সব রকমের ব্যবস্থা নেব ইনশাআলস্নাহ।’
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের তৈরি হসৱশিল্প ও সহায়ক উপকরণ সামগ্রী পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
০ স্কুলে ভর্তি না করালে কঠোর শাস্থি
০ গড়ে তোলা হবে প্রতিবন্ধী কম্পলেক্স
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোন কর্পোরেট বা বেসরকারি শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের চাকরি প্রদান করলে তাদের আয়কর রিবেট (ছাড়) দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আনৱর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৮তম
আনৱর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলৰে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আরো বলেন, সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী-উপযোগী কর্মৰেত্র চিহ্নিত করার কাজ শুরম্ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুসারে উপযুক্ত প্রশিৰণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ
তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামূল হক মোসৱফা শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি জহুরম্নল আলম ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম আহমেদ নূরম্নল কবির। সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরম্নন্নেসা খানম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের বৃত্তি ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া তিনি ১০ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ারও দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ে ভর্তিতে উৎসাহিত ও ঝরে পড়া রোধে আগামী বাজেটে প্রতিবন্ধী শিৰার্থীদের উপ-বৃত্তি বাড়ানো হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধিতার কারণে কোন শিৰার্থীকে সাধারণ শিৰা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে দায়ী ব্যক্তির বিরম্নদ্ধে কঠোর শাসিৱমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি প্রতিটি স্কুলে ১ জন করে বিশেষজ্ঞ নিয়োগেরও পরিকল্পনার কথা উলেস্নখ করেন।
আনৱর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সকল প্রতিবন্ধীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধিতা কোন অসুখ নয়, মানব বৈচিত্র্যেরই একটি অংশ এবং প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের আর দশটা মানুষের মতই তাদেরও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অত্যনৱ দুঃখের বিষয়, সমাজে প্রতিবন্ধীদের একটু ভিন্ন চোখে দেখা হয়। সমাজের সকলের এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতে পারলে অবশ্যই প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আসবে। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। প্রতিবন্ধীদের প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে হবে পাঠ্যসূচিতে তা থাকা প্রয়োজন উলেস্নখ করে তিনি প্রতিবন্ধীদের প্রতি আচরণের বিষয়টি ছোটদের পাঠ্যসূচিতে অনৱর্ভুক্ত করার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে প্রতিবন্ধীর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তিনি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিতব্য আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধীদের সঠিকভাবে গণনা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রাখার জন্য সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের চলাচলের উপযোগী অবকাঠামো এবং যানবাহনে বিশেষ করে বিআরটিসি বাসে যাতে তারা চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সরকারি পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমী দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে অথচ প্রতিবন্ধী শিল্পীদের সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ একেবারেই সীমিত। প্রতিবন্ধী শিল্পী সৃষ্টিতে ও তাদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি মূলধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে শিল্প একাডেমীসহ অন্যান্য একাডেমীকে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়ে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাসৱবায়ন নিয়ে সরকার ভাবছে। এৰেত্রে ফোকাল মন্ত্রণালয় হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের কাজ করবে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া সকল ধরনের প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা, প্রশিৰণ ও পুনর্বাসন সুবিধাসহ একটি প্রতিবন্ধী কমপেস্নক্স তৈরি করার লৰ্যে ইতিমধ্যেই সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মজীবী প্রতিবন্ধীদের জন্য ঢাকার মিরপুরস্থ জাতীয় বিশেষ শিৰা কেন্দ্রের অভ্যনৱরে মহিলা ও পুরম্নষ কর্মজীবী প্রতিবন্ধীদের হোস্টেল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি প্রতিবন্ধীদের আশ্বসৱ করে বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে অসহায় ভেবো না। তোমাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি আমরাও তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য আমি সব রকমের ব্যবস্থা নেব ইনশাআলস্নাহ।’
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের তৈরি হসৱশিল্প ও সহায়ক উপকরণ সামগ্রী পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।