‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’ পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ

‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’
পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ এহসানুল হক বিগত জোট সরকারের বাতিল করা ‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়। প্রধানমন্পী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার ওপর যে কোনো সময় জঙ্গি অথবা স্ট্বাধীনতাবিরোধী চত্রেক্রর হামলা হতে পারে বলে বিভিল্পম্ন গোয়েন্দা সংস্ট্থা যে আশগ্ধকা প্রকাশ করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সমঙ্রতি প্রধানমন্পীর নিরাপত্তা ব্যবস্ট্থা আরও জোরদার করা হয়েছে; কিন্তু আইনগত বাধায় শেখ রেহানাকে পৃথকভাবে সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া সল্ফ্ভব হচ্ছে না। সরকারের সংশ্নিষদ্ব সহৃত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।সহৃত্র আরও জানায়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ওপর একই ধরনের হামলার আশগ্ধকার কথা বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারকেও অবহিত করেছিল গোয়েন্দারা। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয়নি তৎকালীন সরকার। উল্কেল্টা জাতির পিতার দুই কন্যার নিরাপত্তা সংত্রক্রানস্ন আইনটি বাতিল করে দেয়। ২০০৪ সালের ২১ আগসদ্ব গ্রেনেড হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই বোনের নিরাপত্তার বিষয়ে তৎকালীন সরকারের উদাসীনতার চূড়ানস্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ওইদিন প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যগুণে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। বিগত জোট সরকার ও বর্তমান সরকারের সময়ে গোয়েন্দাদের দেওয়া রিপোর্টকে বিবেচনায় এনে আইনটি বাস্টস্নবায়নে প্রাথমিক প্রত্রিক্রয়া শুরু করা হয়েছে। আইনের খসড়াটি চূড়ানস্ন করে শিগগিরই মতামতের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্পণালয়ে পাঠানো হবে।এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্পী ব্যারিসদ্বার শফিক আহমেদ বলেন, ‘স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয়ের প্রস্টস্নাবটি এলে অবশ্যই তা বাস্টস্নবায়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ আইনটি প্রণয়ন করা জরুরি বলে আমি মনে করি।’সরকারের সংশ্নিষদ্ব সহৃত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মহৃল করা হবে এবং বিচার করা হবে ১৯৭১-এর যুদব্দাপরাধীদের। নির্বাচনের আগে বিরোধী পক্ষগুলো আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ঘোষণা আমলে না নিলেও সরকার গঠনের পর তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে যুদব্দাপরাধীদের বিচার প্রত্রিক্রয়া এবং জঙ্গিবিরোধী প্যাকেজ কর্মসহৃচি বাস্টস্নবায়ন শুরু করার পর সরকারবিরোধী তৎপরতা প্রকট আকার ধারণ করে। শুরু হয় সরকারের বিরুদেব্দ নানা ষড়যন্প, যার একটি অংশ হচ্ছে পিলখানা ট্র্যাজেডি। কোনো কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারির আগের দিন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটে গেলে পরিস্ট্থিতি কোন দিকে যেত, তা কল্কপ্পনা করে সরকারের নিরাপত্তা সংশ্নিষদ্বরা উদ্বিগ্গম্ন বোধ করেন। বিডিআর সপ্টস্নাহের উদ্বোধনী অধিবেশনে, অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় প্রধানমন্পী শেখ হাসিনা উপস্ট্থিত ছিলেন।স্ট্বরাষদ্ব্র মন্পণালয় সহৃত্র আরও জানায়, গোয়েন্দাদের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে প্রধানমন্পীর কার্যালয়কেও অবহিত করা হয়। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্নিষদ্বরা প্রধানমন্পীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়ে থাকেন। সমঙ্রতি প্রধানমন্পী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আমার জীবন নিয়ে যদি ভীত হই তবে পুরো জাতি ভীত হয়ে পড়বে। আমি জানি, বুলেট আর গ্রেনেড আমাকে তাড়া করে ফিরছে।’ গত ১৪ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমস ও ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকায় তার সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উদব্দৃতি দিয়ে সরকারের সংশ্নিষদ্ব একটি সহৃত্র জানায়, জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা দেশের স্ট্থিতিশীলতা নষদ্ব, উল্পম্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্টস্ন এবং সীমানস্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্ট্থা দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এদের মধ্যে আৱ্মঘাতী দলের সদস্যও রয়েছে, যারা গুরুৱ্বপহৃর্ণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা জনবহুল কোনো এলাকায় হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষতি করার পরিকল্কপ্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। গুরুৱ্বপহৃর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন প্রধানমন্পী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।এই সহৃত্র বলেন, নিষিদব্দ ঘোষিত মোট চারটি দল বিভিল্পম্ন নামে ভাগ হয়ে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে। দলগুলো হচ্ছে জেএমবি, জেএমজেবি, হরকাতুল মুজাহিদিন এবং শাহদাত-ই-আল হিকমা পার্টি। দলগুলোকে নিষিদব্দ করার পর এদের সদস্যরা তিন থেকে চারটি করে গ্রুপে ভাগ হয়ে ভিল্পম্ন ভিল্পম্ন নাম নিয়ে কাজ করছে। এদের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছে গোয়েন্দা সংস্ট্থাগুলো। এরা স্ট্থানীয়ভাবে জাকাত, কোরবানির পশুর চামড়া বিত্রিক্রর টাকা, বিভিল্পম্ন পারিবারিক অনুদানের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকেও তাদের অর্থের জোগান দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের সঙ্গে বিদেশি জঙ্গিদের সমঙর্ক রয়েছে। বিদেশি জঙ্গি সংগঠন তালেবানদের কাছ থেকে এরা প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে, এ প্রমাণও রয়েছে। এদের সঙ্গে একাৱ্মতা ঘোষণা করেছে যুদব্দাপরাধী চত্রক্রটি। এছাড়া ২০০০ সালের জুলাইয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষদ্বা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। গোয়েন্দাদের দেওয়া বর্তমান প্রতিবেদন এবং অতীতে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের নানা ঘটনা বিবেচনায় এনে জাতির পিতার সনস্নানদের স্ট্থায়ীভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্ট্থা দেওয়ার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ২১ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করেছিল। ওই আইনে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগসদ্ব একটি পরিকল্কিপ্পত চত্রক্রানেস্ন জতির পিতা ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হন। এর ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার পরিবারের জীবিত অন্যান্য সদস্যের প্রাণনাশের আশগ্ধকা রয়েছে। এ আইনের বিধান অনুযায়ী জাতির পিতার দুই কন্যা এসএসএফ নিরাপত্তা ব্যবস্ট্থা ভোগ করতে থাকেন। কিন্তু বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এসেই ২০০১ সালের ২ ডিসেল্ফ্বর এ আইনটি বাতিল করে দেয়। তুলে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার এসএসএফ নিরাপত্তা ব্যবস্ট্থা।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা