তিস্তার পানি বন্টন প্রশ্নে সুরাহা হচ্ছে


তিস্তার পানি বন্টন প্রশ্নে সুরাহা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আইডিইবি সম্মেলনে বললেন : ভারতের সঙ্গে ৫৪টি নদী নিয়েই আলোচনা হবে
০ ইত্তেফাক ডেস্ক
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিসৱা নদীর পানি বন্টন ইস্যুটির অবশেষে সুরাহা হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাজধানীতে ডিপেস্নামা প্রকৌশলীদের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ প্রদানকালে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার শিগগিরই ভারতের সঙ্গে তিসৱাসহ দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দেশের ৫৪টি নদীর পানি বন্টন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে। তিনি বলেন, উভয় দেশের সরকারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনার অপেৰায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউট অব ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর জাতীয় সম্মেলন ২০০৯ এবং ৩৪তম কাউন্সিল উদ্বোধন করেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণের কল্যাণে আনৱরিকতা ও নিবেদিত হয়ে কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচির বাসৱবায়ন ঘটান। তাই ওইসব কর্মসূচির সফল বাসৱবায়ন বহুলাংশে আপনাদের ওপর নির্ভরশীল। খবর বাসস।
শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার নদী খনন প্রকল্প বাতিল করলে নদ-নদীতে পলি জমা এবং দেশের দৰিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানি প্রবাহ শুরম্ন হয়। বুড়িগঙ্গাকে ঢাকা শহরের প্রাণ উলেস্নখ করে তিনি বলেন, খনন কার্যক্রমকে সহজসাধ্য করার লৰ্যে সরকার ইতিমধ্যে বুড়িগঙ্গাকে আবর্জনামুক্ত করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া ব্যাপক খনন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তুরাগ, বালু ও শীতলৰ্যার নাব্যতা পুনরম্নদ্ধার করা হবে। তিনি বলেন, কেবল নদী ব্যবস্থাপনা নয়, আমরা নাব্যতা পুনরম্নদ্ধারের মাধ্যমে নদ-নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছি। এছাড়া ডেভেলপারদের প্রকল্পগ্রহণে গাছ ও উন্মুক্ত জলাশয় রাখার শর্তসহ অনুমতি প্রদানের জন্য সংশিস্নষ্ট কর্তৃপৰকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবেশ রৰায় নীল ও সবুজের সমানুপাত চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলাশয় ও বৃৰ রাখার শর্ত না মানলে কোন ডেভেলপার কোম্পানিই প্রকল্পের অনুমতি পাবে না।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় বাজেটে ৭শ’ কোটি টাকা নির্দিষ্ট করে রেখেছে এবং একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাজধানীর ওপর ব্যাপক চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানী সম্প্রসারণ এবং নগরীকে সকলের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় রাজধানীর চারপাশে আরো চারটি স্যাটেলাইট শহর স্থাপনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইডিইবি’র প্রেসিডেন্ট এম আর খায়রম্নল উমাম এবং জেনারেল সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার কাজী নজরম্নল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা