ব্যারিস্টার তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা
ব্যারিস্টার তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই এই হামলা চালিয়েছে’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তার গাড়ি চালক, অফিস পিয়ন ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হামলায় অল্পের জন্য ব্যারিস্টার তাপস রক্ষা পান। ঘটনার পরপরই তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ রাজধানী জুড়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। ঘটনার পরপরই তাপস প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় উঠেন। তবে হামলার ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গতরাতে বলেছেন, আজ (বুধবার) রাতের মধ্যেই হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে বিডিনিউজ২৪ জানায়, হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতরাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃনাল কানিৱ দাশ এ তথ্য জানান। এছাড়া যুবলীগ আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কার্যলয়ের সামনে আলাদা সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত পৌনে ৯ টার দিকে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার বাংলার বাণীর ভবনের তিন তলায় তার ল’ চেম্বার থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধানম স্িথ বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়ি কিছুটা সামনে এগুলেই অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ির পেছনের দিকের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। আঘাতে গাড়ি চালক মাইনউদ্দিন, পিয়ন রিপন, দলীয়কর্মী হালিম, তাকিম গাজী, কামাল আহম্মেদ, গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন পান্না, কর্মী শাহীন, আতিকুর রহমান, রাশেদ আহমেদ, আরমান, ইমন, ফজলুল করিম ও পথচারীসহ ২৫ জন আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরমধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার পর র্যাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ, গোয়েন্দা পুলিশের বিস্ফোরক দল ও সিআইডি পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছায়। এছাড়া সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
ঘটনায় আহতদের দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, অপু উকিল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, মহিউদ্দিন মাহিসহ পুলিশের ঊধ্বতর্ন কর্মকর্তারা। ঘটনার খবর পেয়ে আইজিপি নূর মোহাম্মদ হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এটি ঘরে তৈরি শক্তিশালী বোমা। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে বিশেজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আমাদের সময়কে টেলিফোনে জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারকার্য ব্যাঘাত ঘটাতেই এ হামলা। এনটিভিকে টেলিফোনে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আজকে আমাদের এটর্নি জেনারেলের চেম্বারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করার জন্য মিলিত হওয়ার কথা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি সেখানে যাওয়ার জন্য আমার মতিঝিলের চেম্বার (বাংলার বাণী ভবন) থেকে বের হয়েছিলাম। আমি গাড়িতে ওঠার পর আমার ড্রাইভার (সঙ্গে আমার পিএ ছিলেন) যখন গাড়ি স্টার্ট দিল তখন আমার মনে হল গাড়ির পেছনে আগুন এবং সেইসঙ্গে একটা বিকট আওয়াজ হল। এরপর আমি খেয়াল করলাম আমার গাড়ির পেছনের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করলাম। আমার কিছু হয়নি। আমি সুস্থ আছি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, যারা আমার বাবা-মাকে হত্যা করেছে তারা ছাড়া পৃথিবীতে আমার কোনো শত্রু আছে বলে আমি মনে করি না। যেহেতু এ মামলাটি পরিচালনার সঙ্গে আমি জড়িত আছি আমার মনে হয় সে মামলার রায়কে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ রকম একটি ঘৃণ্যতম আঘাত হেনেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, এ হামলা পরিকল্পিত। শেখ পরিবারকে হত্যার জন্য এখনো খুনিরা তৎপর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন পান্না বলেন, এটা কোনো বোমা নাও হতে পারে। কেননা যখন বিস্ফোরণটি হয়েছে তখন তৃতীয় তলার একটি এয়ারকন্ডিশন
রাসৱায় পড়ে যায়। রাতেই আহত কামাল ও রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমইএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তার গাড়ি চালক, অফিস পিয়ন ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হামলায় অল্পের জন্য ব্যারিস্টার তাপস রক্ষা পান। ঘটনার পরপরই তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ রাজধানী জুড়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। ঘটনার পরপরই তাপস প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় উঠেন। তবে হামলার ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গতরাতে বলেছেন, আজ (বুধবার) রাতের মধ্যেই হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে বিডিনিউজ২৪ জানায়, হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতরাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃনাল কানিৱ দাশ এ তথ্য জানান। এছাড়া যুবলীগ আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কার্যলয়ের সামনে আলাদা সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত পৌনে ৯ টার দিকে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার বাংলার বাণীর ভবনের তিন তলায় তার ল’ চেম্বার থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধানম স্িথ বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়ি কিছুটা সামনে এগুলেই অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ির পেছনের দিকের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। আঘাতে গাড়ি চালক মাইনউদ্দিন, পিয়ন রিপন, দলীয়কর্মী হালিম, তাকিম গাজী, কামাল আহম্মেদ, গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন পান্না, কর্মী শাহীন, আতিকুর রহমান, রাশেদ আহমেদ, আরমান, ইমন, ফজলুল করিম ও পথচারীসহ ২৫ জন আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরমধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার পর র্যাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ, গোয়েন্দা পুলিশের বিস্ফোরক দল ও সিআইডি পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছায়। এছাড়া সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
ঘটনায় আহতদের দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, অপু উকিল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, মহিউদ্দিন মাহিসহ পুলিশের ঊধ্বতর্ন কর্মকর্তারা। ঘটনার খবর পেয়ে আইজিপি নূর মোহাম্মদ হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এটি ঘরে তৈরি শক্তিশালী বোমা। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে বিশেজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আমাদের সময়কে টেলিফোনে জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারকার্য ব্যাঘাত ঘটাতেই এ হামলা। এনটিভিকে টেলিফোনে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আজকে আমাদের এটর্নি জেনারেলের চেম্বারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করার জন্য মিলিত হওয়ার কথা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি সেখানে যাওয়ার জন্য আমার মতিঝিলের চেম্বার (বাংলার বাণী ভবন) থেকে বের হয়েছিলাম। আমি গাড়িতে ওঠার পর আমার ড্রাইভার (সঙ্গে আমার পিএ ছিলেন) যখন গাড়ি স্টার্ট দিল তখন আমার মনে হল গাড়ির পেছনে আগুন এবং সেইসঙ্গে একটা বিকট আওয়াজ হল। এরপর আমি খেয়াল করলাম আমার গাড়ির পেছনের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করলাম। আমার কিছু হয়নি। আমি সুস্থ আছি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, যারা আমার বাবা-মাকে হত্যা করেছে তারা ছাড়া পৃথিবীতে আমার কোনো শত্রু আছে বলে আমি মনে করি না। যেহেতু এ মামলাটি পরিচালনার সঙ্গে আমি জড়িত আছি আমার মনে হয় সে মামলার রায়কে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ রকম একটি ঘৃণ্যতম আঘাত হেনেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, এ হামলা পরিকল্পিত। শেখ পরিবারকে হত্যার জন্য এখনো খুনিরা তৎপর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন পান্না বলেন, এটা কোনো বোমা নাও হতে পারে। কেননা যখন বিস্ফোরণটি হয়েছে তখন তৃতীয় তলার একটি এয়ারকন্ডিশন
রাসৱায় পড়ে যায়। রাতেই আহত কামাল ও রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমইএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে।