আনতর্জাতিক সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায়ের জন্য তৈরি থাকতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধঃ ওবামা
আনতর্জাতিক সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায়ের জন্য তৈরি থাকতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধঃ ওবামা
জাতিসংঘের ৬৪তম অধিবেশনে ভাষন দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাজাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, আনতর্জাতিক সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায়ের জন্য তৈরি থাকতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাতিসংঘে ওবামার এটিই প্রথম ভাষণ। তিনি বলেন, কোন ইস্যুতে অন্য দেশের নিষক্রীয় থাকার পেছনে মার্কিন বিরোধিতা কাজ করে। সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে আসা পর্যনত অন্যদের অপেক্ষা করা উচিত নহে। তিনি জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের সমস্যার জন্য অন্যদের দোষারোপ করার মত সহজ কিছু নেই। একুশ শতকে দায়িত্ববান হওয়া ও নেতৃত্ব দেয়ার দাবি আরো অনেক বেশি। কোন দেশেরই অন্য দেশের ওপর আধিপত্য বিসতারের চেষ্টা করা উচিত নয়।
ওবামা বলেন, বিশ্বের সব সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রের এককভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। মার্কিন বিরোধিতার অজুহাতে অনেক দেশই সমস্যা সমাধানে নিষক্রীয় থাকে। বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদাসীন থাকার আর সুযোগ নেই। ওবামা তার ভাষণে স্বীকার করেন যে, অতীতের নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে মার্কিন বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। তবে আনতর্জাতিক সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরম্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। তিনি বলেন, তিনি এমন সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়েছেন যখন বিশ্বের অনেকেই আমেরিকাকে দেখত সন্দেহ আর অবিশ্বাসের চোখে। এর কিছুটা যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ভুল ধারণার কারণে, কিছুটা অপপ্রচারের কারণে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোন নীতির বিরোধিতা। তারা মনে করত, যুক্তরাষ্ট্র গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যদের স্বার্থের তোয়াক্কা না করে একলা চল নীতি নিয়েছে।
ওবামা বলেন, পরমাণু অস্ত্র প্রসারের ঝুঁকি বাড়ছে এবং জটিল রূপ নিচ্ছে। ইরান ও উত্তর কোরিয়া আনতর্জাতিক সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে ও আনতর্জাতিক স্থিতিশীলতার প্রতি তোয়াক্কা না করে পরমাণু অস্ত্রধর হওয়ার বিষয়কে বেশি গুরম্নত্ব দিলে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য শানিত প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা সম্পর্কে ওবামা বলেন, অচলাবস্থা ভাঙতে ভিন্ন পথ অবলম্বনের সময় এসেছে। শুধু ইসরাইলী বা ফিলিসিতনীদের নয়, সবাইকে সিদ্ধানত নিতে হবে যে, শানিতর ব্যাপারে তারা আসলেই আনতরিক না কথামালার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তাহীনতা আর হতাশার পুরনো চক্র ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে হলে সবাই যা গোপনে স্বীকার করেন তা প্রকাশ্যে বলতে হবে। ওবামা তার ভাষণে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে আগের মার্কিন নীতির পরোক্ষ সমালোচনা করে বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি যখন আমরা ফিলিসিতনের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে ইসরাইলকে চাপ দিতে ব্যর্থ হই তখন তা ইসরাইলের পক্ষে যায় না।
ওবামা বলেন, বিশ্বের সব সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রের এককভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। মার্কিন বিরোধিতার অজুহাতে অনেক দেশই সমস্যা সমাধানে নিষক্রীয় থাকে। বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদাসীন থাকার আর সুযোগ নেই। ওবামা তার ভাষণে স্বীকার করেন যে, অতীতের নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে মার্কিন বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। তবে আনতর্জাতিক সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরম্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। তিনি বলেন, তিনি এমন সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়েছেন যখন বিশ্বের অনেকেই আমেরিকাকে দেখত সন্দেহ আর অবিশ্বাসের চোখে। এর কিছুটা যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ভুল ধারণার কারণে, কিছুটা অপপ্রচারের কারণে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোন নীতির বিরোধিতা। তারা মনে করত, যুক্তরাষ্ট্র গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যদের স্বার্থের তোয়াক্কা না করে একলা চল নীতি নিয়েছে।
ওবামা বলেন, পরমাণু অস্ত্র প্রসারের ঝুঁকি বাড়ছে এবং জটিল রূপ নিচ্ছে। ইরান ও উত্তর কোরিয়া আনতর্জাতিক সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে ও আনতর্জাতিক স্থিতিশীলতার প্রতি তোয়াক্কা না করে পরমাণু অস্ত্রধর হওয়ার বিষয়কে বেশি গুরম্নত্ব দিলে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য শানিত প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা সম্পর্কে ওবামা বলেন, অচলাবস্থা ভাঙতে ভিন্ন পথ অবলম্বনের সময় এসেছে। শুধু ইসরাইলী বা ফিলিসিতনীদের নয়, সবাইকে সিদ্ধানত নিতে হবে যে, শানিতর ব্যাপারে তারা আসলেই আনতরিক না কথামালার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তাহীনতা আর হতাশার পুরনো চক্র ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে হলে সবাই যা গোপনে স্বীকার করেন তা প্রকাশ্যে বলতে হবে। ওবামা তার ভাষণে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে আগের মার্কিন নীতির পরোক্ষ সমালোচনা করে বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি যখন আমরা ফিলিসিতনের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে ইসরাইলকে চাপ দিতে ব্যর্থ হই তখন তা ইসরাইলের পক্ষে যায় না।