Posts

Showing posts from October, 2009

১৪ দলের নেতারা : বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র র"খতে সুদৃঢ় ঐক্য চাই

সমাবেশে ১৪ দলের নেতারা বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র র"খতে সুদৃঢ় ঐক্য চাই কাগজ প্রতিবেদক : জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত বিএনপি-জামাত অশুভ শক্তি সরকার ও দেশের বির"দ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। এই ষড়যন্ত্র র"খতে মহাজোটের ঐক্য সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, বিগত নির্বাচনে মহাজোটের বিপুল বিজয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরাজিত বিএনপি-জামাত এবং মৌলবাদী সামপ্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। মুক্তিযুদ্ধের পৰের অসামপ্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তি তথা মহাজোটের ঐক্যের ঢালই পারে সব ষড়যন্ত্রকে র"খে দিতে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামাত-বিএনপি জোট কর্তৃক পল্টন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ওইদিন নিহত যুবলীগ নেতা মনির হোসেন ও যুবমৈত্রী নেতা রাসেল আহমেদ খানের খুনিদের বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে যুবলীগের সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফার"ক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্

ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Image
ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জলবায়ু হুমকি মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহবান স্টকহোম (সুইডেন) থেকে বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে একটি উন্নত সম্প্রীতির আবাসস্থলে পরিণত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের শরিক হিসেবে আমাদের একই নিয়তি। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অভিন্ন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, এর মোকাবিলায় আমাদের অভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবস-২০০৯ উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরের দায়িত্ব, বোঝা, সমৃদ্ধি গ্রহণ করি এবং আমাদের এই গ্রহের সামর্থ্যের মধ্যেই সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাই।'অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীর এডওয়ার্ড নালাপি, কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী লাইলা আমোলো অদিঙ্গা ও বুরকাকিনা ফাসোর প্রধানমন্ত্রী তেরতিয়াস জোনগো ভাষণদান করেন।প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, খুবই সামান্য গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করেও বাংলাদেশ নিম্ন ভূ

জামায়াত সমর্থক গোলাম মাওলাই বাংলাদেশে হিযবুতের প্রতিষ্ঠাতা

জামায়াত সমর্থক গোলাম মাওলাই বাংলাদেশে হিযবুতের প্রতিষ্ঠাতা আসাদ রেহমান, ঢাকা থেকে বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা আগে ছিলেন জামায়াত সমর্থক। সেই সূত্র ধরে এখনও রয়েছে তার জামায়াত কানেকশন। এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশে হিযবুতের নীতিনির্ধারক নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরের জন্ম আরবের মাটিতে হলেও সেখানকার প্রতিটি দেশেই সংগঠনটি নিষিদ্ধ। ১৯৫৩ সালে ফিলিস্তিনি আলেম শায়খ তাকীউদ্দীন আন্‌ নাবাহানী এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আরব বিশ্বের সীমান্ত পেরিয়ে অনারব ও অমুসলিম দেশেও সংগঠনটি বিস্তৃতি লাভ করে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও সংগঠনটির শাখা রয়েছে। যুক্তরাজ্য শাখার হাত ধরেই বাংলাদেশে এ দলটি প্রতিষ্ঠা পায়। নব্বয়ের দশকের শুরুতে যুক্তরাজ্য ফেরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মাওলাই হচ্ছেন হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখার প্রতিষ্ঠাতা। হিযবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠার আগে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মাওলা দলটির কোন পদে নেই, দলটির নেই কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি। জন্ম থেকেই হিযবুত তাহরীর সমন্

আরও ৭ জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হ্চছে

আরও ৭ জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হচ্ছে মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু , সারাদেশে সংগঠিত হচ্ছে ফ্রিডম পার্টি। বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে এ পার্টির সদস্যরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপারেশনে সাফল্য আনতে ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থী কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গেও দলটি একযোগে কাজ করার গোপন সমঝোতা করেছে। ইতিমধ্যেই ফ্রিডম পার্টি দুটি দেশ থেকে বড় ধরনের তহবিলও সংগ্রহ করেছে। গঠন করেছে ‘সুইসাইড স্কোয়াড’। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনের পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ধর্মভিত্তিক কমপক্ষে আরও ৭টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার ধর্মভিত্তিক উগপন্থী আন-র্জাতিক সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার আরও ৭টি ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আরও কয়েকটি সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। যেসব সংগঠন দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থার বির"দ্ধে বলে তাদের ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা

আওয়ামী লীগের সাংসদ ফজলে নূর তাপসের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হল্যান্ড আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের সাংসদ ফজলে নূর তাপসের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হল্যান্ড আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাংসদ ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের উপর বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হল্যান্ড আওয়ামী লীগ। এক বিবৃতিতে হল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাকে প্রভাবিত করতেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের ওপর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী খুনিচক্র দেশে অরাজগতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাংসদ ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাইপো। নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট, ৩ নভেম্বর, রক্তাক্ত ১০ জানুয়ারি লালদিঘীর ময়দান এবং ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট এর ভয়াল গ্রেনেড হামলার খুনি চক্র দেশে বিদেশ যেখানেই অবস্তান করুক না কেন খুনিদের খুঁজে বের করে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপসের উপর বোমা হামলার ঘটনাকে গণতন্ত্র ও মানব অধিকার বিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করে হল্যা

ব্যারিস্টার তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা

Image
ব্যারিস্টার তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই এই হামলা চালিয়েছে’ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তার গাড়ি চালক, অফিস পিয়ন ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। হামলায় অল্পের জন্য ব্যারিস্টার তাপস রক্ষা পান। ঘটনার পরপরই তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ রাজধানী জুড়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে। ঘটনার পরপরই তাপস প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় উঠেন। তবে হামলার ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গতরাতে বলেছেন, আজ (বুধবার) রাতের মধ্যেই হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে বিডিনিউজ২৪ জানায়, হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতরাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃনাল কা

AL lawmaker Taposh escapes bomb attack

Image
AL lawmaker Taposh escapes bomb attack 13 injured, MP's car damaged as criminals hurl bomb in front of his office Staff Correspondent Assailants hurled a bomb at ruling Awami League lawmaker Fazle Noor Taposh's car in front of his law chamber at Motijheel last night leaving at least 13 people injured. MP Taposh survived the incident. Nur-e-Alam, personal secretary to Taposh, said, "The lawmaker survived the incident with minor injuries. He managed to get away from the scene on the damaged car and went directly to the prime minister's Jamuna residence on Minto Road." He said as the MP's car started, the bomb exploded with a deafening sound leaving at least 13, including security guards of the MP's chamber building, injured and several other cars damaged. Taposh's car was also severely damage with the windshield shattered. Lawmaker Taposh is the eldest son of late Sheikh Fazlul Haque Moni, cousin of Prime Minister Sheikh Hasina and founder of Juba Leagu

বিপথগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

Image
বিপথগামীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন-- হাসানাত ষ্টাফ রিপৌর্টার, ১৪ অক্টোবর।। সাবেক চীফ হুইপ ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ চারদলীয় জোট সরকারের আমলের সন্ত্রাসের ঘটনা উল্লেখ করে ওয়াদা করেন আর কখনও দক্ষিন বাংলায় সন্ত্রাস করতে দেয়া হবেনা। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের সর্তক করেন তিনি। বিকেলে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে তাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক শওকত হোসেন হিরন। ৮ বছর পর সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসায় দলীয় নেতা কর্মীরা বিপুল সংবর্ধনা দেয় তাকে।প্রধান অতিথি আবুল হাসানাত পার্বত্য শান্তি চুক্তির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে বিপথগামীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানান। তিনি তাদের স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি দিবেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেন।মেয়র বলেছেন, ৩৫ বছর পর আমরা মেয়র পদ পেয়েছি। অল্প ভোটের জন্য এমপি পদটি পাইনি। বরিশালে আর সন্ত্রাস হবেনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে থাকবো। এর আগে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশাল আসার সময় গৌরনদীতে সংবর্ধনা সভায় বক্তৃতাকালে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়

জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি: ২৪ বছর পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীরা

Image
জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি: ২৪ বছর পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীরা ঢাকা, অক্টোবর ১৪ অক্টোবর এলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশির দশকের শিক্ষার্থীদের মনে একটি ট্রাজেডির স্মৃতি অনুরণিত হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর সেই ট্রাজেডির ২৪ তম বর্ষপূর্তি। ১৯৮৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সমপ্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'শুকতারা' দেখছিলেন কয়েক শ' শিক্ষার্র্থী। হঠাত করেই ধসে পড়ে টিভি রুমের ছাদ। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৩৮ শিক্ষার্থী। পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০-এ। সেই থেকে দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ট্রাজেডির ২৪ বছর পরও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাধ্য হয়েই থাকছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ যেন এক নতুন ট্র্যাজেডির নিরব অপেক্ষা। জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়াদের একজন বিপুল কুমার সাহা। দুঃসহ সেইদিনটির স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, "সেদিন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টিভি সিরিয়াল শুকতারা'র দ্বিতীয় পর্ব দেখতে আমরা প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী টিভি রুমে জড়ো হই। পুরো দিনটি ছিল মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। "আমাদের ভবনটির অবস্থা এমনিতেই ছিল

মোশতাকের বাড়িতে ও কুমিলস্নার বার্ডে বসে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র হয়

Image
মোশতাকের বাড়িতে ও কুমিল্লার বার্ডে বসে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র হয় মিলটন আনোয়ার ও হিরা তালুকদার: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিলের শুনানি দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল আবারো অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুনানিতে পেপারবুকের ১১৪০ পৃষ্ঠা থেকে ১২৪০ পৃষ্ঠা পর্যনৱ বিচারপতি এবিএম খায়র"ল হকের দেয়া রায়ের অংশ পাঠ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুলস্নাহ আল মামুন। রায়ের ঐ অংশে খায়র"ল হক তার পর্যালোচনায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে উলেস্নখ করেছেন। খায়র"ল হক রায়ে বলেছেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে দেখা যায় ১৯৭৫ সালের মার্চে শাহারিয়ার, ফার"কসহ একাধিক সেনা কর্মকর্তা খন্দকার মোশতাকের দাউদকান্দি ও কুমিলস্নার বাড়িতে ও বার্ডে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের রূপরেখা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন। ওই রূপরেখার প্রেক্ষিতে ১৪ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টের বালুরঘাটে প্যারেড গ্রাউন্ডে ফার"ক বক্তব্য দেন। পরদিন ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আসামিপক্ষের বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডটি ষড়যন্ত্রমূলক ছিল না। আসামিদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, যখন একটি মামল

বঙ্গবন্ধু মামলা: ঘটনাপঞ্জি

Image
বঙ্গবন্ধু মামলা: ঘটনাপঞ্জি " স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। " এ ঘটনার দীর্ঘ ২১ বছর পর দায়ের করা হয় মামলা। ১৯৯৮ সালে বিচারিক আদালত ১৫ আসামির ফাঁসির রায় দেয়। হাইকোর্টের চূড়ান্ত বিচার শেষে বর্তমানে আপিলটি আপিল বিভাগে চূড়ান্ত বিচারের অপেক্ষায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঘটনাক্রম: ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দু'কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ : এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে খন্দকার মোশতাক সরকার ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে। ১২ নভেম্বর, ১৯৯৬ : আওয়ামী লীগ সরকার দায়মুক্তি অধ্যাদেশটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। ২ অক্টোবর, ১৯৯৬ : হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের রিসিপসনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ আ ফ ম মুহিতুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৯৭ : তদন্ত শেষে পুলিশ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১২ মার্

রায়ের প্রতিফলন দেখতে চাই: মুহিতুল

Image
রায়ের প্রতিফলন দেখতে চাই: মুহিতুল লিটন হায়দার টোয়েন্টিফোর ডটকম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঢাকা, অক্টোবর ০৫ () -- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আপিল শুনানি সোমবার শুরু হতে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী মুহিতুল ইসলাম। রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি অনেক খুশি যে, আমার এতো দিনের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ যে রায় হয়েছে, আমি তার প্রতিফলন দেখতে চাই।" বিচার এবং রায় কার্যকর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে তিনি আন্দোলনে নামবেন জানিয়ে বলেন, "বিচার ও রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হলে আমি বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ও ভক্তদের নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামবো। আশা করি, এটা আর দীর্ঘস্থায়ী হবে না।" তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের রিসিপসনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ আ ফ ম মুহিতুল ইসলাম তার মিরপুরের বাসা বসে ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "১৪ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসায় পৌঁছে নির্ধারিত দায়িত্ব পালন শুরু করি। তখনও বঙ্গবন্ধু বাসায় ফেরেননি। ফেরার পর প্রতিদিনকার মতো তিনি আমার ঘরে উঁকি দ

বঙ্গবন্ধু মামলার আসামিরা কে কোথায়

বঙ্গবন্ধু মামলার আসামিরা কে কোথায় ঢাকা, অক্টোবর ৫ (টুয়েন্টিফোর ডটকম)--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চুড়ান্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ আসামীর মধ্যে পাঁচজন বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। পলাতক বাকি সাত আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্য ছয় আসামী বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর বজলুল হুদা, বরখাস্ত লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) আগে থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছে। ২০০৭ সালের ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিস মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে (ল্যান্সার) বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। ওইদিন থেকে মহিউদ্দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক সাত আসামির মধ্যে বিভিন্ন দেশে বর্তমানে আত্মগোপন করে আছে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী

সত্য, ন্যায় আর বিশ্বাসের প্রতীক মহাত্মা গান্ধী

Image
সত্য, ন্যায় আর বিশ্বাসের প্রতীক মহাত্মা গান্ধী গুজরাটের পোরবন্দরে তাঁর জন্ম৷ সালটা ১৮৬৯৷ তারিখ দোসরা অক্টোবর৷ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অহিংসাকে ব্রত করে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তার প্রতিদানে সমগ্র ভারতবাসী তাঁকে ‘জাতির জনক' আখ্যা দিয়েছে৷ ‘মহাত্মা' – এই সমাসবদ্ধ শব্দটিকে যদি ভাঙা যায় তবে তার অর্থ হয় ‘মহান আত্মা যাঁর'৷ গোটা বিশ্বের কাছে এই নামেই যে মানুষটির পরিচয়, তাঁর জীবনব্রত ছিল মানুষের আত্মিক উন্নতি৷ সে এক দুঃসময়ের দিনকাল, যখন তিনি জন্মেছেন৷ পরাধীন দেশ, পরাধীন জাতি অন্য কোনরকম চিন্তার অবকাশ পায় না সে সময়৷ ১৮৯১ সালে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাঠ সম্পন্ন করে দেশে ফিরলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী৷ ১৮৯৩ সালে এক বছরের চুক্তিতে গেলেন আরও এক ব্রিটিশ উপনিবেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ওকালতি করতে৷ সেখানে গিয়ে তিনি বুঝলেন চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে পিছপাও নয় ব্রিটিশ শাসকরা৷ শুধুমাত্র গায়ের রঙ কালো বলে ভারতীয়রা চরম লাঞ্ছনা আর অসাম্যের শিকার সেখানেও৷ যেমনটি ছিল পরাধীন ভারতবর্ষেরও ছবিটা সেদিন৷ দীর্ঘ একুশ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে নিজের লড়াই চালিয়ে গেলেন তিনি৷ এই ছিল তাঁর সারল্য