সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা
জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ "
---- প্রফেসর আহমদ শরীফ
সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা ----
১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান -
১। যিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন ।
২।যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ও ফোর্স অধিনায়ক ছিলেন যার বিরুদ্ধে মুজিবনগর সরকার/ সিইনসি ওসমানী শাস্তিমূ্লক ব্যবস্থা নেয় ।
৩।যিনি ১৯৭৫ সালে ঘাত-সংঘাতময় সময়ের এক দু্র্বোধ্য চরিত্র ছিলেন !
৪। যিনি ৭ নভেম্বর '৭৫ এ জাসদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ও উদ্যোগে পরিচালিত কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি খালেদ-হায়দার-হুদার লাশের উপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন ২য় ফিল্ড রেজিমেন্টে ও ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের অফিসার ও সৈনিকদের প্রত্যক্ষ মদদে ।
৫। যিনি তাহেরের সাথে প্রথম দেখায় (৭ নভেম্বর '৭৫) তাকে আলিঙ্গন করে বলেন -"ইউ আর মাই ব্রাদার , ইউ আর মাই সেভার" । আর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হয়ে তাহের আর সিপাহিদের উপহার দেন ফাঁসি ।"Hang them by the neck till they are dead" -General Ziaur Rahman. বীরউত্তম তাহেরের ফাঁসি তদারকি করেন বীর উত্তম মীর শওকত ।
৫। বলা হয়, জিয়া তাহেরের সাথে বেঈমানি করেছেন । কথা সত্য কিন্তু জিয়া কার সাথে বেঈমানি করেননি ? বিধায়, জিয়ার পাওয়ারে আসার পাঁচ মাসের মধ্যেই কর্নেল রশিদ-কর্নেল ফারুক জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যুর উদ্যোগ নেয় ।
৬। যার আমলে ১৯টি মতান্তরে ২০ টি ক্যু হয়েছে । পিয়ালের মতও আমিও মনে করি "আসলে ক্যুর জুজু তুলে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা এবং ফাঁসি দেওয়ার নীলনকশা ছিলো মাত্র।" তবে, শুধু "মুক্তিযোদ্ধা হত্যা" না বলে আমি বলব জিয়া তার নিরংকুশ ক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে বিরুদ্ধ বা সম্ভাব্য শত্রুদের নির্মমভাবে হত্যা করেছেন । "He was a man who could kill with one hand &eat with the other"-A Zia colleague during the liberation war in Chittagong. আর জিয়ার এই সব গণহত্যায় তার ডান হাত ছিলেন জেনারেল মন্জুর বীরউত্তম ,মীর শওকত বীরউত্তম আর লেজেহুমো এরশাদ ।
৭। যিনি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এমন কথা জোরেশোরে বলা হয় যা একটি মিথ বৈ কিছু নয় ।
৮। যিনি সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র উপরে কাঁচি চালিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' মুলনীতি হিসেবে স্থাপন করেন - 'সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা আর বিশ্বাস'কে। সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদের উচ্ছেদ করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন।
৯। রাজাকারদের শুধু রাজনীতি করার অধিকারই দেননি তাদের মন্ত্রীসভায়ও স্থান দেন । আন্তর্জাতিক রাজাকার শাহ আজিজকে বানান প্রধানমন্ত্রী । আরেক রাজাকার মওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (শর্ষিণার পীর সাহেব)কে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন ।
১০। মুজিব হত্যায় তিনি জড়িত ছিলেন কিনা সেই প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় তিনি আগে থেকে জানতেন কিন্তু ঠেকাতে চাননি এবং পাওয়ারে এসেও তাদের বিচারের সম্মুখীন তো করেননি বরং বিচারের পথই রুদ্ধ করেন । হত্যার রাজনীতি যে ভাল নয় তা' স্বয়ং জিয়া নিজের জীবন দিয়ে প্রমান করেন । ৩০ শে মে ১৯৮১ , রোজ শনিবার , ভোর সাড়ে চারটা , চিটাগাং সার্কিট হাউজ । বর্ষন শ্রান্ত রজনীর শেষ প্রহর , চট্রগ্রামবাসীদের চকিত শংকিত করে জেগে উঠল নৈশ স্তব্ধতা ভঙ্গকারী গোলাগুলির শব্দ । সার্কিট হাউজ চত্বর ভরে গেল ধোয়া আর বারুদের গন্ধে । সার্কিট হাউজে ঘুমিয়েছিলেন তিনি ।গোলাগুলির শব্দে উঠে বসলেন ।
কি ব্যাপার ? ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে বেরিয়ে এলেন দরজা খুলে , পরনে রাতে শয্যার পোষাক । গভীর আত্মপ্রত্যয় আর অগাধ আস্থা নিয়ে বেরিয়ে এলেন ।
কি চাও তোমরা?
কাছে দন্ডায়মান লে. মোসলেহউদ্দিন রীতিমত ঘাবরে যান । সে জিয়াকে আশ্বস্ত করে-‘‘স্যার আপনি ঘাবরাবেন না । এখানে ভয়ের কিছু নেই ।’’ মোসলেহউদ্দিনের ঠোট থেকে জিয়ার প্রতি আশ্বাসবানী মিলিয়ে যাবার আগেই লে. কর্নেল মতিউর রহমান তার এসএমজি থেকে অতি কাছ থেকে ব্রাশ ফায়ার করেন জিয়ার শরীরের ডানদিক একেবারে ঝাঝরা করে ফেলে । দরজার কাছেই মুখ থুবরে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন জিয়া ।
লেখার ইতি টানছি জিয়াকে নিয়ে প্রফেসর আহমদ শরীফ
"জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ "
---- প্রফেসর আহমদ শরীফ
সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা ----
১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান -
১। যিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন ।
২।যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ও ফোর্স অধিনায়ক ছিলেন যার বিরুদ্ধে মুজিবনগর সরকার/ সিইনসি ওসমানী শাস্তিমূ্লক ব্যবস্থা নেয় ।
৩।যিনি ১৯৭৫ সালে ঘাত-সংঘাতময় সময়ের এক দু্র্বোধ্য চরিত্র ছিলেন !
৪। যিনি ৭ নভেম্বর '৭৫ এ জাসদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ও উদ্যোগে পরিচালিত কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি খালেদ-হায়দার-হুদার লাশের উপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন ২য় ফিল্ড রেজিমেন্টে ও ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের অফিসার ও সৈনিকদের প্রত্যক্ষ মদদে ।
৫। যিনি তাহেরের সাথে প্রথম দেখায় (৭ নভেম্বর '৭৫) তাকে আলিঙ্গন করে বলেন -"ইউ আর মাই ব্রাদার , ইউ আর মাই সেভার" । আর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হয়ে তাহের আর সিপাহিদের উপহার দেন ফাঁসি ।"Hang them by the neck till they are dead" -General Ziaur Rahman. বীরউত্তম তাহেরের ফাঁসি তদারকি করেন বীর উত্তম মীর শওকত ।
৫। বলা হয়, জিয়া তাহেরের সাথে বেঈমানি করেছেন । কথা সত্য কিন্তু জিয়া কার সাথে বেঈমানি করেননি ? বিধায়, জিয়ার পাওয়ারে আসার পাঁচ মাসের মধ্যেই কর্নেল রশিদ-কর্নেল ফারুক জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যুর উদ্যোগ নেয় ।
৬। যার আমলে ১৯টি মতান্তরে ২০ টি ক্যু হয়েছে । পিয়ালের মতও আমিও মনে করি "আসলে ক্যুর জুজু তুলে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা এবং ফাঁসি দেওয়ার নীলনকশা ছিলো মাত্র।" তবে, শুধু "মুক্তিযোদ্ধা হত্যা" না বলে আমি বলব জিয়া তার নিরংকুশ ক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে বিরুদ্ধ বা সম্ভাব্য শত্রুদের নির্মমভাবে হত্যা করেছেন । "He was a man who could kill with one hand &eat with the other"-A Zia colleague during the liberation war in Chittagong. আর জিয়ার এই সব গণহত্যায় তার ডান হাত ছিলেন জেনারেল মন্জুর বীরউত্তম ,মীর শওকত বীরউত্তম আর লেজেহুমো এরশাদ ।
৭। যিনি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এমন কথা জোরেশোরে বলা হয় যা একটি মিথ বৈ কিছু নয় ।
৮। যিনি সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র উপরে কাঁচি চালিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' মুলনীতি হিসেবে স্থাপন করেন - 'সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা আর বিশ্বাস'কে। সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদের উচ্ছেদ করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন।
৯। রাজাকারদের শুধু রাজনীতি করার অধিকারই দেননি তাদের মন্ত্রীসভায়ও স্থান দেন । আন্তর্জাতিক রাজাকার শাহ আজিজকে বানান প্রধানমন্ত্রী । আরেক রাজাকার মওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ (শর্ষিণার পীর সাহেব)কে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন ।
১০। মুজিব হত্যায় তিনি জড়িত ছিলেন কিনা সেই প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় তিনি আগে থেকে জানতেন কিন্তু ঠেকাতে চাননি এবং পাওয়ারে এসেও তাদের বিচারের সম্মুখীন তো করেননি বরং বিচারের পথই রুদ্ধ করেন । হত্যার রাজনীতি যে ভাল নয় তা' স্বয়ং জিয়া নিজের জীবন দিয়ে প্রমান করেন । ৩০ শে মে ১৯৮১ , রোজ শনিবার , ভোর সাড়ে চারটা , চিটাগাং সার্কিট হাউজ । বর্ষন শ্রান্ত রজনীর শেষ প্রহর , চট্রগ্রামবাসীদের চকিত শংকিত করে জেগে উঠল নৈশ স্তব্ধতা ভঙ্গকারী গোলাগুলির শব্দ । সার্কিট হাউজ চত্বর ভরে গেল ধোয়া আর বারুদের গন্ধে । সার্কিট হাউজে ঘুমিয়েছিলেন তিনি ।গোলাগুলির শব্দে উঠে বসলেন ।
কি ব্যাপার ? ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে বেরিয়ে এলেন দরজা খুলে , পরনে রাতে শয্যার পোষাক । গভীর আত্মপ্রত্যয় আর অগাধ আস্থা নিয়ে বেরিয়ে এলেন ।
কি চাও তোমরা?
কাছে দন্ডায়মান লে. মোসলেহউদ্দিন রীতিমত ঘাবরে যান । সে জিয়াকে আশ্বস্ত করে-‘‘স্যার আপনি ঘাবরাবেন না । এখানে ভয়ের কিছু নেই ।’’ মোসলেহউদ্দিনের ঠোট থেকে জিয়ার প্রতি আশ্বাসবানী মিলিয়ে যাবার আগেই লে. কর্নেল মতিউর রহমান তার এসএমজি থেকে অতি কাছ থেকে ব্রাশ ফায়ার করেন জিয়ার শরীরের ডানদিক একেবারে ঝাঝরা করে ফেলে । দরজার কাছেই মুখ থুবরে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন জিয়া ।
লেখার ইতি টানছি জিয়াকে নিয়ে প্রফেসর আহমদ শরীফ
"জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ "