আরও ৭ জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হ্চছে

আরও ৭ জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হচ্ছে
মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু ,
সারাদেশে সংগঠিত হচ্ছে ফ্রিডম পার্টি। বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে এ পার্টির সদস্যরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপারেশনে সাফল্য আনতে ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থী কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গেও দলটি একযোগে কাজ করার গোপন সমঝোতা করেছে। ইতিমধ্যেই ফ্রিডম পার্টি দুটি দেশ থেকে বড় ধরনের তহবিলও সংগ্রহ করেছে। গঠন করেছে ‘সুইসাইড স্কোয়াড’। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনের পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ধর্মভিত্তিক কমপক্ষে আরও ৭টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার ধর্মভিত্তিক উগপন্থী আন-র্জাতিক সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার আরও ৭টি ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আরও কয়েকটি সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। যেসব সংগঠন দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থার বির"দ্ধে বলে তাদের ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। সূত্র বলেছে, সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থি ১২টি জঙ্গি সংগঠনের অপততপরতা নিয়ে তাদের রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করেছে। এতে হিজবুত তাহরির বাংলাদেশ, জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি), হিজবুত তাওহিদ, উলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত, ইসলামিক ডেমক্রেটিক পার্টি (আইডিপি), ইসলামী সমাজ, তৌহিদ ট্রাস্ট, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), শাহাদআত-ই-আল হিকমা, আমির উদ-দ্বীন বাংলাদেশ (হিজবে আবু উমর) এবং আল্লাহর দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিষদ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার হরকাতুল জিহাদ (হুজি), জেএমবি, জেএমজেবি এবং শাহাদআত-ই-আল হিকমাকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার হিজবুত তাহরির নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের আগে আরব বিশ্ব, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের অন-ত ২০টি দেশে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০০৭ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে হিজবুত তাহরির সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়। বিশ্বের ৩০টি দেশে হিজবুত তাহরিরের সংগঠন রয়েছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। সূত্র বলেছে, সরকার আপাতত বাকি যে ৭টি সংগঠন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে তাওহিদ, ইসলামিক ডেমক্রেটিক পার্টি (আইডিপি), তৌহিদ ট্রাস্ট, আমির উদ-দ্বীন বাংলাদেশ (হিজবে আবু উমর), উলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত এবং আল্লাহর দলের নাম রয়েছে।বৃহস্পতিবার সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আগামী দুই মাসের মধ্যে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছে ফ্রিডম পার্টি। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে রাজনীতি না করলেও গোপনে সক্রিয় আছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি চক্রের সংগঠনটি। পাকিস্তানে বসে দলটি পরিচালনা করছেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম। দলকে সংগঠিত করতে প্রায় ৫ মাস আগে একটি এনজিওর নামে পাকস্তান এবং লিবিয়া থেকে মোটা অংকের টাকা পাঠান শরিফুল হক ডালিম।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা