ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
জলবায়ু হুমকি মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহবান
স্টকহোম (সুইডেন) থেকে বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে একটি উন্নত সম্প্রীতির আবাসস্থলে পরিণত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের শরিক হিসেবে আমাদের একই নিয়তি। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অভিন্ন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, এর মোকাবিলায় আমাদের অভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। ইউরোপীয় উন্নয়ন দিবস-২০০৯ উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরের দায়িত্ব, বোঝা, সমৃদ্ধি গ্রহণ করি এবং আমাদের এই গ্রহের সামর্থ্যের মধ্যেই সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাই।'অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীর এডওয়ার্ড নালাপি, কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী লাইলা আমোলো অদিঙ্গা ও বুরকাকিনা ফাসোর প্রধানমন্ত্রী তেরতিয়াস জোনগো ভাষণদান করেন।প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, খুবই সামান্য গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করেও বাংলাদেশ নিম্ন ভূমি হওয়ার বিশ্বের উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) এর চতুর্থ মূল্যায়ন রিপোর্টে উষ্ণায়নের কারণে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের অপরিনামদর্শী কাজ কর্মকেই দায়ী করা হয়। এর ফলে বিশ্ব চরম ও নজিরবিহীন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতের মুখে পড়েছে। এই দুর্যোগ ধনী, উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত সকল দেশের জন্যেই সমান।দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূল অঞ্চল প্রবল জোয়ার-ভাটার সঙ্গে লড়াই করছে। বাংলাদেশে বর্ষা মওসুমে বিলম্বে ব্যাপক ও অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ধারণ করছে। এর ফলে শস্যভূমি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ব্যাপক নদী ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। শুষ্ক মওসুমে মওসুমী বৃষ্টিপাতের অভাবে উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে এবং নদীগুলোর প্রবাহ সংকুচিত হচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণাংশে লবণাক্ত পানির অবাঞ্চিত প্রবেশ ঘটছে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ডিজাস্টার রিডাকশন বাংলাদেশকে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় সর্বোচ্চ বন্যার ঝুঁকি, তৃতীয় সর্বোচ্চ সুনামি ও ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ঘূর্ণিঝড় ঝুঁকির দেশ হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত আভাস দিচ্ছে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি ইউনেস্কো ঘোষিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট' সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে দ্রুত হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া। এতে বার্ষিক প্রায় ২৩ মিটার বরফ গলে দক্ষিণ এশিয়া, চীন ও ইন্দো-চীনের ২শ' কোটির অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিমাণ বরফ গলা পানির ঢল স্বল্প সময়ে বারবার বন্যার সৃষ্টি করবে। এর ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন দ্রুত মধ্যম পর্যায়ে চলে আসবে। এর দীর্ঘ পরিণতিতে পানি সংকট সৃষ্টি হবে। এ ধারবাহিকতায় বেশির ভাগ অঞ্চলের নদীগুলো মৃত্যু দিকে ধাবিত হবে। কৃষি উৎপাদনের ধরন পরিবর্তন হবে ও বিশ্বের অনেক মহান সংস্কৃতির অবসান ঘটবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিমালয়ের স্থায়ী বরফ স্তরের দ্রুত গলনের ফলে ওই ঢল বিশেষ করে বাংলাদেশের অনিয়মিত ও মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও শুষ্কতা সৃষ্টি করবে। এতে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ৪ কোটি লোকের জীবিকা নির্বাহের উপায় ও ২ কোটি মানুষ তাদের আবাসস্থানচ্যুত হবে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের নগরসমূহে জনস্রোত স্ফীত হয়ে উঠবে। এ কারণে সামাজিক বিশৃংখলা, অবকাঠামো সংকট ও দারিদ্র্য বাড়বে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে এমডিজি'র লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হবে। ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ জিডিপি'র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এ কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট উদ্বাস্তুদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখতে ইউএনএফসিসিসি অধীনে কোপেন হেগেনে সিওপি-১৫-এর নতুন আইনী ব্যবস্থা অনুসরণ করবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য বাংলাদেশ একটি সহনশীল জাতি। বর্তমানে নদী খনন করে পলি অপসারণের ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হবে, অধিক পরিমাণ পানি ধারণ করতে পারবে যা বন্যা প্রতিরোধ ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি রোধ, জলাভূমি উদ্ধার হয়ে চাষের আওতায় আসবে এবং নৌ চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। নৌপথ সংরক্ষণে অব্যাহত খননের মাধ্যমে আগেকার অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। নদীর পানি বেড়ে গেলে যাতে তা উপচে না পড়ে সে জন্য নদী খনন করে পলি দিয়ে তীর উঁচু করা হবে এবং বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হবে। অবশ্য বাস্তুহীনদের আবাসনের জন্য ভূমি উঁচু করতে পলি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে মানুষ নগরমুখী না হতে উৎসাহিত হবে এবং নগরগুলোর ওপর মানুষের অতিরিক্ত চাপ কমবে। ইতোমধ্যেই উপকূল অদূরে ১৪ হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এখনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিলম্ব কেবল অভিযোজন ও প্রশমন ব্যয় বৃদ্ধি করবে। বিশ্ব সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের গন্তব্য এখন একই। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অভিন্ন হুমকি। এ হুমকি মোকাবিলায় আমি অভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোন অবকাশ নেই, আমাদের সকল সংকীর্ণতা, নিজস্ব কেন্দ্রীভূত মতভেদসমূহকে বিদায় জানাতে হবে। অসংগত ও বাড়াবাড়ির সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। দায়-দায়িত্বের ব্যাপারে একে অপরকে বিব্রত করাকে বিদায় জানাতে হবে এবং আমাদের এই গ্রহের সামর্থ্যের মধ্যে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে হবে।



সুইডেনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে:

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মদদদাতারাই তাপসের ওপর হামলা চালিয়েছে

স্টকহোম থেকে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যারা মদদ যুগিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল তারাই ব্যারিস্টার তাপসের ওপর হামলা চালিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে আরও আঘাত আসতে পারে। একে মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারিদের খুঁজে বের করে তাদেরকে বিচারের জন্য সোপর্দ করার আশ্বাস দেন। স্টকহোমের হালুন্দাতে শুক্রবার গভীর রাতে তার সম্মানে গণসংবর্ধনা কমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাসগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুইডেন ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার কারামুক্তিতে আন্দোলন করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এই সুইডেন থেকেই প্রথম প্রতিবাদ উঠেছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী হিসেবে কাজ করছে। আমার মুক্তির জন্য ছোটাছুটি করেছে। এটাই কি তার অপরাধ?' তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না বলেই প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেছি। ইচ্ছা করলে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে বিচার করতে পারতাম।' তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, যেদিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয় সেদিন বিএনপি হরতাল আহবান করেছিল। এ থেকেই বোঝা যায় কারা তাপসের ওপর হামলা চালাতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শান্তির দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।'তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা বিশাল ভূমিকা রাখছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর আমাদের অর্থনীতি এখন অনেকটাই নির্ভরশীল। আজকে যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে তার সিংহভাগই প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। প্রধানমন্ত্রী বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত ভোটার তালিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই তালিকা থেকে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বাদ দেয়া সম্ভব হয়েছিল বলেই নির্বাচনে জনগণের সঠিক মতামত প্রতিফলিত হয়েছিল।শেখ হাসিনা দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করার কথা উল্লেখ করেন এবং প্রবাসীদের প্রতি এখানে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ‘অলপার্টি গ্রুপ' দেশে একটি দারিদ্র্য বিমোচন সম্মেলন আহবান করেছিল। বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ওই সম্মেলনে যোগদানে রাজি হয়েছিলেন। তিনি কতক্ষণ বক্তৃতা করবেন তাও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সম্মেলনে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। কারণ দারিদ্র্য বিমোচন বিরোধী শ্লোগানটি তার বোধ হয় পছন্দ হয়নি। তার পছন্দ হচ্ছে ‘লুটব সম্পদ হবো ধনী'।প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের লক্ষ্যে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বিগত সাত বছরে দেশের কোন উন্নতি হয়নি। বিএনপি'র পাঁচ বছর শুধু লুটপাট হয়েছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে ভয়ভীতির কারণে কোন কাজ হয়নি। তিনি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতার আহবান জানিয়ে বলেন,‘ আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে তাদের যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আরও নেয়া হবে। প্রবাসীরা যাতে ভোটের অধিকার পায় তার ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকায় নামভুক্ত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রবাসীরা যখনই দেশে যাবে প্রাপ্তবয়স্ক হলে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।' প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে বলেন, তারা নির্বাচনে কারচুপি করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। এজন্য ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিল। দম্ভের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসাতো দূরের কথা আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। আল্লাহর কি মহিমা একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পায়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- তা যে কোন মূল্যে রক্ষা করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুলতান শরীফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশসমূহের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে রযেছেন- কাজী গোলাম আম্বিয়া ঝন্টু, ড. ফরহাদ অলী, আতাউর রহমান, শামসুদ্দিন খান খেতু, বেনজির আহমেদ, মাহমুদ ফারুক, নজরুল ইসলাম, বজলুর রহমান ভুলু, মোহাম্মদ আলী লিংকন ও কামরুল ইসলাম। সংবর্ধনা সভা পরিচালনা করেন সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর। অনুষ্ঠানের শেষে শিশুদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা