Posts

Showing posts from February, 2011

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু

Image
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বঙ্গবন্ধু তোফায়েল আহমেদ প্রতি বছর ২৩ ফেব্র"য়ারি দিনটি আমি গভীরভাবে স্মরণ করি। এ দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯-এর ২৩ ফেব্র"য়ারি ইতিহাসের মহামানব, বাংলার মুকুটহীন সম্রাট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। প্রিয় নেতা তার যৌবনের চৌদ্দটি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছিলেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হূদয় দিয়ে এঁকেছিলেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন, সেই নেতাকেই সেদিন জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। তিনি শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। পাকিস-ান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এ পাকিস-ান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাঙালিকে বাংলার ভাগ্যনিয়ন-া হতে হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ১৯৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে ১৯৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর সংগ্রামের সুদীর্ঘ পথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জা

সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা

জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ " ---- প্রফেসর আহমদ শরীফ সাবেক সামরিক জান্তা বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের কথা ---- ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান - ১। যিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন । ২।যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ও ফোর্স অধিনায়ক ছিলেন যার বিরুদ্ধে মুজিবনগর সরকার/ সিইনসি ওসমানী শাস্তিমূ্লক ব্যবস্থা নেয় । ৩।যিনি ১৯৭৫ সালে ঘাত-সংঘাতময় সময়ের এক দু্র্বোধ্য চরিত্র ছিলেন ! ৪। যিনি ৭ নভেম্বর '৭৫ এ জাসদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ও উদ্যোগে পরিচালিত কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি খালেদ-হায়দার-হুদার লাশের উপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন ২য় ফিল্ড রেজিমেন্টে ও ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের অফিসার ও সৈনিকদের প্রত্যক্ষ মদদে । ৫। যিনি তাহেরের সাথে প্রথম দেখায় (৭ নভেম্বর '৭৫) তাকে আলিঙ্গন করে বলেন -"ইউ আর মাই ব্রাদার , ইউ আর মাই সেভার"

****আওয়ামী লীগ-বিএনপি তফাতটা কতদূর*****

**** আওয়ামী লীগ - বিএনপি তফাতটা কতদূর***** ******আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তফাত চিহ্নিত করা না গেলে শুধু তিমির হননের গান গাইতে হবে। প্রভাতের আলোয় চেহারা চিহ্নিত করা যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে যে কি বিসত্মর ব্যবধান তাকে দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তুলতেই হবে। কখনও নানা কর্মকাণ্ডে দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আবার কখনও সে ফারাক এতই মলিন হয়ে পড়ে যে সে একমাত্র অণুবীৰণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। ******বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই সংগঠনের সাংগঠনিক পরিচয়কে এক আকার করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেনানিবাস আর হাওয়া ভবনের বিএনপি আর রাজপথের আওয়ামী লীগের ভিন্ন পরিচয়কে স্পষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দু'বছর যেতে না যেতেই আবার জনগণ কিছুটা বিভ্রানত্ম হয়ে পড়েছে দুই সংগঠনের পার্থক্যটা নিয়ে। আচার-আচরণে নেতৃত্বের পরিচয়ে যে পার্থক্য প্রবল হয়ে উঠেছিল, তা যেন আবারও মস্নান হতে শুরু করেছে। *****ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলার হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল বাঙালীর ওপর পাকিস্তানী শাসকদের ধর্মের নামে যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও কায়েমী স্বার্থের ধারকদের একনায়কসুলভ আচরণ, তার বিরুদ্ধে গণ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

Image
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন ‘‘মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীসহ সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।মহান একুশে ফেব্রুয়ারী বাঙালীর জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত, শফিউদ্দিন, সালামসহ আরও অনেকে।আজকের এই দিনে আমি ভাষা শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর গ্রদ্ধা জানাই। গ্রদ্ধা জানাই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বগ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।ঔপনিবেশিক পাকিস্তানী শাসকদের ভাষা-দাসত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিরোধে ১৯৪৮ সাল থেকেই রুখে দাঁড়িয়েছিল বাংলার দামাল সন্তানেরা। সর্বস্তরের জনগণের আন্দোলনকে বেগবান করতে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কারাবরণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারাগার থেকেই তাঁর অবিচল ও দৃপ্ত দিকনির্দেশনা জনতার আন্দোলনে এনেছিল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে আসছেন

Image
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে আসছেন দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের দপদপিয়া সেতুর দুয়ার খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বরিশাল আসছেন । প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে অপরূপ সাজে সেজেছে নগরী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে বরিশালকে। কীর্তনখোলার দুই তীরের বাসিন্দারা ভাসছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বন্যায়। প্রধানমন্ত্রী আজ বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে এখানে পৌছবেন। এরপর দপদপিয়া সেতু (আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু) উদ্বোধন করবেন। সেতু সংলগ্ন এলাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নগরীর সিএন্ডবি সড়কে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর নবনির্মিত বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের ভবন উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে সেতু সংলগ্ন এলাকায়। জনসভা সফল করতে প্রত্যেক উপজেলায় কর্মীসভা ছাড়াও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। দিন-রাত নগরজুড়ে চলছে মাইকিং। সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরণ, তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হোসেন হুম

ICC Cricket World Cup Opening Ceremony 2011

‎****যুদ্ধাপরাধ ::: দালাল আইনে বন্দির তালিকা মন্ত্রণালয়ে******৫৫৫ দালালের তালিকা******

‎****যুদ্ধাপরাধ ::: দালাল আইনে বন্দির তালিকা মন্ত্রণালয়ে******৫৫৫ দালালের তালিকা****** ১৯৭২ সালে দালাল আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হয়ে যারা কারাগারে ছিল, তাদের নাম-ঠিকানা খুঁজে বের করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ রকম ৭৭৫ জন যুদ্ধাপরাধীর নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। সেগুলো কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েও দিয়েছে।সূত্র জানায়, ওই সময় দেশে মোট ২৩ টি কারাগার ছিল। এর মধ্যে চারটি ছিল কেন্দ্রীয় কারাগার, বাকি ১৯টি জেলা করাগার। মূলত এই ২৩টি কারাগারেই সে সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে বন্দি করা হয়েছিল। তবে তাদের অধিকাংশই ছিল জেলা (বৃহত্তর জেলা) কারাগারগুলোতে।এখন পর্যন্ত আটটি কারাগারে বন্দি করে রাখাদের মধ্য থেকে ওই ৭৭৫ জনের নাম-ঠিকানা জোগাড় করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। যথেষ্ট কাগজপত্রের অভাবে বাকি কারাগারগুলোর তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি।তবে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন , বাকি কারাগারগুলোতে থাকা যুদ্ধাপরাধের আসামিদের নামও খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারা সদর

সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে : রয়েছে ‘বিসমিলস্নাহির রাহমানির রাহিম’ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও

Image
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে : রয়েছে ‘বিসমিলস্নাহির রাহমানির রাহিম’ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও কাগজ প্রতিবেদক : পুনর্মুদ্রিত সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রও সংবিধানে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘বিসমিলস্নাহির রাহমানির রাহিম’ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও রয়েছে পুনর্মুদ্রিত সংবিধানে। গতকাল সোমবার আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের বিশেষ দূত জেমস মিকেলের সঙ্গে এক বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শফিক বলেন, ৫ম সংশোধনীর যেসব অনুচ্ছেদ বাতিল করতে বলা হয়েছে সেগুলো নতুন মুদ্রিত সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের যেসব অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করেই সংবিধান ছাপানো হয়েছে। সীমিত আকারে এ সংবিধানের কপি ছাপানো হয়েছে