Posts

Showing posts from December, 2010

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন, ইংরেজি নববর্ষের শুভ সূচনালগ্নে আমি দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালি এবং বিশ্বের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উৎকর্ষ অর্জন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বিদায়ি ২০১০ আমাদের জাতীয় জীবনে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।সদ্য সমাপ্ত বছরে কার্যকর হয়েছে জাতির বহু প্রতীক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়। বিদায়ি বছরে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। নতুন বছরে এ বিচার কাজকে আমরা জনগণের প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিয়ে যাব। পাশাপাশি জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব, ইনশাআল্লাহ।বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব উপেক্ষা করে গত বছর আমরা আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও আমদান

Mother of all terror’.সিরাজ শিকদারঃ মুক্তিযোদ্ধা না জনবিচ্ছিন্ন, মার্ক্সবাদী একনায়ক!

সিরাজ শিকদারঃ মুক্তিযোদ্ধা না জনবিচ্ছিন্ন, মার্ক্সবাদী একনায়ক! বিগত ৩৫ বছর ধরে প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতা, তোতা পাখীর মতো সিরাজ সিকদার হত্যার বিচার এর দাবী তুলেন ( বিশেষত যখনি বঙ্গবনধু হত্যার বিচারের দাবী উঠত) এবং তার পরই যখন তাদের দল যখন ক্ষমতায় আসে বা থাকে, তখন কিছুদিনের জন্য সেই দাবি ভুলে শীত নিদ্রায় চলে যান। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারীতে ’ক্রস ফায়ারে’ সিরাজ শিকদার’এর নিহত হবার পরে সুদীর্ঘ ২১ বছর এই দলগুলি ক্ষমতায় ছিল। সেই একুশ বছরে এই দলগুলি কিন্তু সিরাজ সিকদার হত্যার বিচার এর কোন উদ্যোগ গ্রহন করে নাই। আসুন না, নিরপেক্ষ দৃস্টিতে দেখি সিরাজ সিকদারের কর্মবহুল জীবন। ফিরে দেখা যাক, সেই দিনগুলি আর তখনকার পরিস্থীতি। প্রথমে দেখা যাক, কে ছিল এই সিরাজ সিকদার? এককালীন ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এর সক্রিয় কর্মী এবং পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সিরাজ সিকদার ছিলেন পেশায় প্রকৌশলী। সিরাজ সিকদার, ১৯৬৭ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম শ্রেনীতে ডিগ্রী লাভ করেন। সি এন্ড বি তে প্রকৌশলী হিসাবে যোগদানের তিনমাসের মধ্যেই তিনি চাকুরী থেকে পদত্যাগ

মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন গৌরনদী মুক্ত দিবস আজ

Image
মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন গৌরনদী মুক্ত দিবস আজ মুক্তিযুদ্ধে সর্বশেষ স্বাধীন হয়েছে বরিশালের গৌরনদী। ১৯৭১’র ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় ঘোষিত হলেও গৌরনদী হানাদার মুক্ত হয়েছে ২২ ডিসেম্বর সেই হিসেবে আজ বুধবার গৌরনদী মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ২৮ দিন মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর গৌরনদী কলেজে অবস্থানরত শতাধিক পাক সেনা মিত্র বাহিনীর হাতে আজকের এই দিনে আত্মসমর্পণ করে। হানাদার বাহিনী এ এলাকায় পাঁচ সহস্রাধিক নিরীহ জনগণকে হত্যা করে। তিন শতাধিক মা-বোন সম্ভ্রম হারায়।স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বশেষ হানাদার মুক্ত গৌরনদীতে ১৯৭৫ সালের ৭ মে তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৩৯ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু গৌরনদীতে আজো নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতি সৌধ।একাত্তরের ২৫ এপ্রিল পাকসেনারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের এ জনপদে প্রবেশের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের প্রবেশের খবর শুনে গৌরনদীর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা গৌরনদীর সাউদের খালপাড় নামক স্থানে তাদের প্রতিহত করতে অবস্থান নেয়। ওই দিন হানাদারদের সঙ্গে সম্

আজ বাঙালির বিজয়ের দিন

Image
আজ বাঙালির বিজয়ের দিন মহান বিজয় দিবস আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর। আজকের প্রভাতে পূর্ব দিগন্তে যে নতুন সূর্যের উদয় হলো তার রঙ এতো লাল কেন? সেকি ‘হরিদাসী’র সিঁথির সিঁদুর মেখে, নাকি বীর মুক্তিসেনার রক্তের সাগরে স্নাত হয়ে এসেছে বলে? বিজয় আনন্দের, বিজয় গৌরবের, বিজয় মাথা তুলে দাঁড়াবার। কিন্তু বাঙালির বিজয় একাধারে বেদনারও। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে বিজয়- সে তো বেদনার অশ্রুতে সিক্ত হবেই। তবু শত বেদনার মধ্যেও, বিজয় মানেই যে উৎসব। আজ তাই বাঙালির বিজয় উৎসব। ঘরে ঘরে আজ উড়ছে বিজয় কেতন। হৃদয়ে হৃদয়ে স্ফুরিত আনন্দ প্রভা। এই বাংলাদেশ আমাদের, এই স্বাধীনতা আমাদের। বিজয় আমাদের। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ৪০তম দিবস আজ। এ জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরবের মহিমায় সমুন্নত অনন্য এই দিনটি। এমন একটি দিনের প্রতীড়্গায় এ দেশের মানুষ প্রহরের পর প্রহর গুনেছে, লড়াই করেছে জীবন বাজি রেখে, ঝরিয়েছে বুকের তাজা রক্ত। অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়। প

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশিদের সম্মাননা জানাবে সরকার

Image
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশিদের সম্মাননা জানাবে সরকার ঢাকা, ডিসেম্বর ১৩ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সম্মাননা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাদেরকে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার ৪০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এজন্য পররাষ্ট্র এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্মাননা জানাতে তাদের মধ্যে যারা জীবিত তাদের সবাইকেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যারা মারা গেছেন তাদেরকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হবে। এজন্য তাদের প্রতিনিধিদেরকে বাংলাদেশে আনার জন্যও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন