****আওয়ামী লীগ-বিএনপি তফাতটা কতদূর*****

****আওয়ামী লীগ-বিএনপি তফাতটা কতদূর*****

******আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তফাত চিহ্নিত করা না গেলে শুধু তিমির হননের গান গাইতে হবে। প্রভাতের আলোয় চেহারা চিহ্নিত করা যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে যে কি বিসত্মর ব্যবধান তাকে দৃষ্টিগ্রাহ্য করে তুলতেই হবে। কখনও নানা কর্মকাণ্ডে দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আবার কখনও সে ফারাক এতই মলিন হয়ে পড়ে যে সে একমাত্র অণুবীৰণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়।

******বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই দুই সংগঠনের সাংগঠনিক পরিচয়কে এক আকার করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেনানিবাস আর হাওয়া ভবনের বিএনপি আর রাজপথের আওয়ামী লীগের ভিন্ন পরিচয়কে স্পষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দু'বছর যেতে না যেতেই আবার জনগণ কিছুটা বিভ্রানত্ম হয়ে পড়েছে দুই সংগঠনের পার্থক্যটা নিয়ে। আচার-আচরণে নেতৃত্বের পরিচয়ে যে পার্থক্য প্রবল হয়ে উঠেছিল, তা যেন আবারও মস্নান হতে শুরু করেছে।

*****ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলার হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল বাঙালীর ওপর পাকিস্তানী শাসকদের ধর্মের নামে যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও কায়েমী স্বার্থের ধারকদের একনায়কসুলভ আচরণ, তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম ছিল অবধারিত। পাকিস্তানীরা বাঙালীর ভাষা, কৃষ্টি, রাজনীতি ও অর্থনীতির বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল এক দৃশ্যমান অবরোধ। তার বিরম্নদ্ধে ধারাবাহিক লড়াইয়ের ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। ব্যক্তি বিশেষের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা কিংবা কারও ক্ষমতা অর্জনের পথ তৈরি করে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে।

*****আওয়ামী লীগের জন্মের আগেই কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে বাঙালী সমাজে। ১৯৪৮ সালেই মি. জিন্নাহর রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণাকে রুখে দাঁড়িয়েছে বাংলার ছাত্রসমাজ। '৪৮ সালেই জন্ম নিয়েছে ছাত্রলীগ। তৎপর হতে শুরু করেছে উদীয়মান বাঙালী তরুণ সমাজ। এই সব সম্ভাবনা ও সংগ্রামকে রাজপথের লড়াইয়ে জীবনত্ম করার জন্য একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক গণসংগঠনের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে অবধারিত। সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের জন্যই গড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ।

*****আর বিএনপির জন্ম কোন স্বাভাবিক পথে হয়নি। জাতির জনকের হত্যাকান্ডের পর দখল করা অবৈধ ক্ষমতার ফল ভোগ করার জন্য জন্মেছে বিএনপি। উর্দি পরা সেনাপতি সেনা ছাউনিতে বসেই তৈরি করেছে দল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার পর দেশে সৃষ্টি হয়েছে নেতৃত্বের শূন্যতা।

****সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উর্দি পরে কামান দাগিয়ে নতুন নেতা হয়ে বসেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি তার ক্ষমতার ছিটেফোঁটা ছড়িয়ে, রাজনীতিকদের চরিত্র হনন করে তার অস্ত্র ধরা রম্নৰ হাতে গড়ে তুলেছেন বিএনপি। গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে চরিত্রহীন রাজনীতির অসাধু সামরিক বেসামরিক আমলা, কালো টাকার মালিক, নব্য ধনী, পেশিশক্তির অধিকারী সমাজবিরোধী ও স্বাধীনতার শত্রম্নদের নিয়ে গড়ে উঠেছে ৰমতাসীন দল বিএনপি।

****ব্যক্তির সম্পদ রক্ষ্যা আর সেই সম্পদের উচ্ছিষ্ট ভোগ করার লক্ষেই এই দলের জন্ম। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বিএনপি গঠিত হয়নি।
***শাসন শোষণের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। আর হত্যা ও অভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মেছে বিএনপি।
****সেই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছে। সেই স্বাধীন দেশে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে নতুন সেনা শাসন।

****যেই স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ লড়াই করে লাখ লাখ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে, সেই স্বাধীনতার শত্রুদের নিয়ে ৰমতায় থাকা-অবস্থায় গঠিত হয়েছে বিএনপি।

***জন্মসূত্রে কতটা বৈরী পরিবেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্ম তার জন্য কোন কঠিন অলৰ্য বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন নেই।

***সোনার পাথর বাটিতে রূপার পায়েস খেয়ে বিএনপির জন্ম তা দিবালোকের মতই পরিষ্কার।

***দীর্ঘ পথ চলায় আওয়ামী লীগের নানা উত্তরণ ঘটেছে। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক আদর্শ চেতনা থেকেই মুসলিম শব্দ বাদ দিয়েছে পরবর্তীতে। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে নানা ধারা উপ-ধারার সমাবেশ ঘটেছিল আওয়ামী লীগে। '৫৬ সালের সম্মেলনে মওলানা ভাসানী কাগমারিতে আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেন বামপন্থীদের নিয়ে। মওলানা ভাসানীর বিদায়ে আওয়ামী লীগের ধারা-উপ-ধারার উপদলীয় কোন্দলের অবসান ঘটে।

*****শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের উপরি কাঠামো নির্মিত হলেও এই সময়ে আওয়ামী লীগের পুরো সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় নেতৃত্বে। শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃতু্র পর আওয়ামী লীগের পাকিস্তান রক্ষার বাড়তি দায়িত্ব আর নেতৃত্বের আপোসকামিতা ও দোদুল্যমানতার অবসান ঘটল। নয় নেতার সমন্বয়ে এনডিএফ গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও পাকিসত্মানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন তার মৃতু্যর সাথে সমাপ্ত হলো।

*****এনডিএফের সাথে সাময়িক ইতি টেনেছিলেন সোহরাওয়ার্দী। বঙ্গবন্ধু পুনরম্নজ্জীবিত করলেন আওয়ামী লীগকে।

*****বাঙালীর স্বাধিকার, বাংলার স্বাধীনতা এই স্পষ্ট কর্মসূচী নিয়ে নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। মুসলিম ভূখ- স্বাধীন করার লৰ্যে যে বাঙালীরা মরণপণ লড়াই করেছে। সেই পাকিসত্মানে বাঙালীদের মুসলমান হিসেবে স্বীকার করল না পাকিসত্মানীরা।

******গুটিকয় স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক দালালদের দিয়ে পাকিসত্মানের সেনারা পাকিসত্মান রৰা করতে পারল না। কিন্তু কেড়ে নিল ত্রিশ লাখ প্রাণ, লুণ্ঠন করল কোটি মা-বোনের সম্ভ্রম। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তামা করে দিল বাংলাদেশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঐক্যবদ্ধ বাঙালী স্বাধীন করল বাংলাদেশ।

*****বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ একক প্রচেষ্টায় আর নিরলস সংগ্রামে আওয়ামী লীগকে পোউছে দিয়েছেন বাঙালীর ঘরে ঘরে। কৃষকের আঙিনা, শ্রমিকের বসত্মি, বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর, অফিস-আদালতের দোরগোড়া সর্বত্র আওয়ামী লীগ একক সংগঠন হয়ে উঠেছিল। '৭১-এ রাজপথের সংগঠনকে বঙ্গবন্ধু পেঁৗছে দিয়েছেন সশস্ত্র যুদ্ধ ৰেত্রে। সেই আওয়ামী লীগকেই আবার যুদ্ধ শেষে দেশ গড়ার হাতিয়ারে পরিণত করতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু।

***সুদীর্ঘ আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এই দলটি, তাই স্বাধীনতার পরই যে পদৰেপ বাঞ্ছনীয় ছিল, বঙ্গবন্ধু তা গ্রহণ করলেন '৭৪-৭৫-এ। অর্থনৈতিক মুক্তির লৰ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপস্নবের ডাক দিলেন। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ভেতরে বাইরে শত্রম্নরা অনেকটা সংগঠিত হয়ে উঠেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সব সর্বনাশা পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করেনি।

******বঙ্গবন্ধুর মৃতুর পর শুরু হলো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। একের পর এক চক্রান্তেরর শেষে জিয়াউর রহমান অধিকারী হলেন নিরঙ্কুশ ক্ষমতার।

মোশতাকের বিদায়,

সায়েমের অপসারণ,

সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিচারের নামে প্রহসনে ঘটল শত শত হত্যাকান্ড ,

সামরিক ফরমানের দ্বারা গণতান্ত্রিক সংবিধানের মৌলিক চরিত্র পরিবর্তন, যুদ্ধ অপরাধী স্বাধীনতার শত্রম্নদের মুক্তি ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠান, রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িকতাকে গ্রহণ,

নব্য লুটেরা ধনিক শ্রেণীর সৃষ্টি এবং সরকারী ৰমতা খাটিয়ে ৰমতাসীন রাজনৈতিক দল তৈরি করা
সব মিলিয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী হলেন জিয়াউর রহমান।

*******কিন্তু এত আয়োজন ভেস্তে গেল। অসময়ে উচ্চাভিলাষী ক্ষমতা দখলের ঝড়ো হাওয়ায় জিয়ার সাজানো বাগান ল-ভ- হয়ে গেল নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখলের পাঁচ বছরের মাথায় কৃত্রিম সূতিকাগারে অসময়ে অকারণে জন্ম নেয়া বিএনপি এবার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারল না। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগী মেরম্নদ-হীন বিএনপি এরশাদের হুঙ্কার শুনে নুয়ে পড়ল। একই আদলে, একই আদর্শে, একই কায়দায় এরশাদও গড়ে তুললেন ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি।

******বিএনপি দ্বিতীয় পর্বে এরশাদবিরোধী সংগ্রামে নামলেও এরশাদের ৰমতার উচ্ছিষ্ট প্রকাশ্যে ভোগ করতে দ্বিধান্বিত হলো না। সেনানিবাসের বাড়ি, গুলশানে দ্বিতীয় বাড়ি, সরকারী মাসোহারা, পড়াশোনা বিচ্ছিন্ন পুত্রদের পড়ার নামে রাখা খরচ নিতে ভুলল না জিয়া পরিবার। আন্দোলনে রাজপথ রঙিন করতে দলীয় প্রধান রূপে অভিষিক্ত করা হলো বেগম খালেদা জিয়াকে।

*****এই পর্বেও বিএনপির আন্দোলন কোন পণ দাবি পূরণের জন্য ছিল না। এরশাদকে হটিয়ে হারানো ৰমতা পুনরম্নদ্ধার করাই ছিল একমাত্র লৰ্য। জিয়াউর রহমান বিসমিলস্নাহ বলে স্বাধীনতার শত্রম্নদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দিলেন আর এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির নতুন শক্তি যোগালেন। খালেদা জিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন বিএনপির অপরাজনীতির। তিনি জোট গঠন করলেন স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে।

*****এবার ৰমতার উচ্ছিষ্ট নয় তিনি সরাসরি ৰমতার অংশীদার করে নিলেন তাদের। সাম্প্রদায়িকতার সাথে জঙ্গীবাদ আর দুনর্ীতির মহাউৎসব ঘটালেন ৰমতায় বসে। তিনি বিএনপি নেতৃত্বের বৃহদাংশ তুলে দিলেন তার সুর্য সনত্মানদের হাতে। বিএনপির কাছে যুবরাজ ঘোষিত হলো তার এক ছেলে। সময়ের পরিবর্তনে যুগের দাবিতে এক চুল বদলালো না বিএনপি। স্বাধীনতার আদর্শ পরিপন্থী ধমর্ীয় সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নামে আরও আকড়ে ধরল বিএনপি। গণমানুষের প্রত্যাশাকে উপেৰা করে পাওয়া ৰমতা কেবল স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির জন্ম দিতে পারে। জনকল্যাণ করতে পারে না।

******আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল যতটা স্পষ্ট ততটা পরিচ্ছন্ন। অর্ধ শতাব্দীর অধিক সময় আওয়ামী লীগ একই আদর্শের চর্চা করেছে। অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্র, বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও শোষণহীন অর্থনীতির আপোসহীন ধারক আওয়ামী লীগ। কিন্তু জিয়াউর রহমান পার্টির লুটেরা অর্থনীতি ও রাজনীতির নব্য সংস্কৃতি আওয়ামী লীগকে কিছুটা বিভ্রানত্ম করে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি যেমন স্পষ্ট, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচীও হওয়া উচিত পরিচ্ছন্ন।

*****বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষণহীন বাংলাদেশ গড়তে তাঁর দ্বিতীয় বিপস্নবের কর্মসূচীর আলোকে পরিবর্তিত সময়ের প্রেৰাপটে আওয়ামী লীগের যুগোপযোগী কর্মসূচী প্রণয়ন জরম্নরী। কিন্তু সে পথে এখনও এগোয়নি আওয়ামী লীগ।

***জিয়ার নব্য রাজনৈতিক কালচার দেশে একটা বিকৃত গুণগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে।দলীয় নেতৃত্বে অরাজনৈতিক পয়সাওয়ালাদের প্রতিষ্ঠা দান। সংসদে রাজনৈতিক কর্মীদের বাদ দিয়ে নব্য ধনীদের অগ্রাধিকার শুধু দৃষ্টিকটুই হয়নি।

****বিএনপির জন্য মেধা ও উত্তরণের প্রশ্ন অবানত্মর। আর আওয়ামী লীগের জন্য মেধা ও উত্তরণের বিকল্প নেই। দলীয় নেতৃত্ব আর সংসদ সদস্যদের দেখে যদি জনগণ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চিহ্নিত করতে না পারে তবে সে দুঃখ আওয়ামী লীগের একার।

****আওয়ামী লীগ দিনবদলের ডাক দিয়েছে কিন্তু দিনবদল করতে হলে বিএনপি মার্কা আওয়ামী লীগারদের দিয়ে হবে না। বিএনপি ক্ষমতার জন্য লড়াই করবে, ক্ষমতা পেলে দুর্নীতির আশ্রয় নেবে। মওদুদ, সাকা, বাবররা বিএনপির জন্য বোঝা নয়, তারা বিএনপির অলঙ্কার। আর আওয়ামী লীগে এ রকম একটা জিনিসই দশটা বিষফোঁড়া হয়ে উঠবে।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

ইতিহাসবন্ধনী

ব্রিগেডিয়ার বারীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা