'প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যুদ্ধাপরাধীরা মিশে থাকায় বিচার দেরি হচ্ছে'



রবীন্দ্রনাথের সাথে আমাদের আত্মার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক : জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি

ঢাকা, বাংলাদেশ, ৮ মে (বাসস) : রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ যতদিন থাকবে রবীন্দ্রনাথও আমাদের সাথেই থাকবেন। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন, রবীন্দ্রনাথের সাথে আমাদের যেন আত্মার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম. শরফুল আলম বক্তৃতা করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক চেতনা বিনির্মাণের অগ্রদূত। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের অতি উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথ অবাধে বিচরন করেননি।তিনি বলেন, শিল্প সাহিত্যের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস'ায় পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকে সমান গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। তাঁর ভাবনায় উঠে এসেছিল শিক্ষা পদ্ধতির আধুনিকতা সম্পর্কে। তিনি প্রাথমিক স-র থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার পঠন-পাঠনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত শানি- নিকেতনে তিনি এর প্রয়োগ ঘটান।রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা ও মননের উৎকর্ষ সাধনে রবীন্দ্রনাথের দর্শন আমাদের অনাদিকাল ধরে পথ দেখাবে। তিনি মানুষে মানুষে সাম্যের কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য।’রাষ্ট্রপতি রবীন্দ্রনাথের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারণা তুলে ধরে বলেন, তাঁর অর্থনৈতিক চিন-া আমাদের প্রভাবিত করে। তিনি বলেছেন, কৃষির উন্নতি করতে পারলেই কেবল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা সম্ভব। তিনি সমবায় ও আধুনিক চাষ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেই শানি- নিকেতন ও শিলাইদহে উচ্চফলনশীল ফসল চাষের উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। তাঁর এ দৃষ্টিভঙ্গি আজকের দিনেও আমাদের প্রেরণার উৎস হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় আয়োজন করার জন্য জিল্লুর রহমান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। আবুল কালাম আজাদ জ্ঞানের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথকে সর্বাধিক শ্রদ্ধাভাজন উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে বিশ্বকবি নিজেকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে সকল বাঙালিকে গর্বিত করেছেন।তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ নাইটহুড খেতাব প্রত্যাখ্যান করে ও ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতা লিখে নিজেকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে প্রমাণ করেছেন।আজাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল কাজ, বিশেষ করে তাঁর গান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে।তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে বর্তমান সরকারের আন-রিক প্রচেষ্টার সংগে সকল কবি-সাহিত্যিককে দেশের অগ্রগতি ও তাঁর লক্ষ্যসমূহ অর্জনে যোগদানের আহবান জানান।অধ্যাপক কবীর চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিশীল কর্ম ও জীবনের বিস-ারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি এবং সংগ্রামের জন্য ও দুর্গতি এবং বেদনার অবসানে কবিগুরুর কাছ থেকে শক্তি অর্জন করতে পারি।’মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, কূটনীতিকবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সচিববৃন্দ, কবি-লেখক-সাংবাদিকগণ অনুষ্ঠানে উপসি'ত ছিলেন।পরে রাষ্ট্রপতি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।



একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির

'প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যুদ্ধাপরাধীরা মিশে থাকায় বিচার দেরি হচ্ছে'
রাজশাহী, মে ০৮ - প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে বাংলাদেশের অবস্থাও হবে পাকিস্তানের মতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর ভূবনমোহন উদ্যানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, রাজশাহী জেলা শাখা আয়োজিত এক জনসভায় শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত কমিশন গঠনসহ সব কাজ শেষ করারও দাবি জানান তিনি। শাহরিয়ার কবির অভিযোগ করেন, বিচার কার্যক্রম শুরুতে দেরির কারণে স্বাধীনতা বিরোধীরা সারা দেশে মামলার সাক্ষীদের হুমকি-ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং আলামত নষ্ট করছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, "যারা রাজনৈতিক দল খুলে ইসলামের নামে রাজনীতি করছেন তারাই আসল যুদ্ধাপরাধী। তাদের আগে বিচার করা দকরার।" ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী শাখার সহ-সভাপতি ড. সুজিত সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব জিয়াদ আল মালু, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈয়দ সাফিকুল আলম, রাজশাহী জেলা ন্যাপ সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলহাজ রফিক উদ্দিন আহমেদ, সিপিবির জেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, জাসদ মহানগর কমিটি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী ও মহিলা পরিষদ জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক কল্পনা রায়।

Popular posts from this blog

THE CONSTITUTION OF THE BANGLADESH AWAMI LEAGUE

Justice order of the day

Govt cancels lease of Khaleda's Cantt house