স্মরণ:ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব
ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব
গত ১৯ মার্চ ছিলো ভাষা সৈনিক গোলাম মাহবুবের ৫ম মৃতু্যবার্ষিকী। ২০০৬ সালের এ দিনে তিনি ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। গোলাম মাহবুব ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসাবে তিনি ১৯৯৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।আমাদের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে কাজী গোলাম মাহবুবের অবদান অবিস্মরণীয়। ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে তিনি ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সে বছর ১১ মার্চ প্রথম গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। সেদিন সচিবালয়ে পিকেটিংকালে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি রাস্তায় আইজি'র গাড়ির সামনে শুয়ে ব্যরিকেড দেন। এ কারণে তাকে বর্বরোচিত পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং সে অবস্থায়ই তাকে করা হয় গ্রেফতার। ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি সত্ত্বেও তিনি মুক্তি পাননি। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাকে ও অন্যান্য রাজবন্দিদের ছাড়া জেল থেকে বের হবেন না বলে ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় সরকার তাদেরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ৩১ জানুয়ারি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে বার লাইব্রেরির সভায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সর্বসম্মতিভাবে এর আহ্বায়ক হলেন কাজী গোলাম মাহবুব। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি তার নেতৃত্বে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি লাঠিচার্জে আহত ছাত্রদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যেতে তিনি ভয় পাননি। এরপর গ্রেফতার এড়িয়ে আন্দোলন পরিচালনার কৌশল অবলম্বন করেন। একুশের ঘটনাবলী সম্পর্কে তৎকালীন পূর্বপাক প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমীনের বেতার ভাষণের তীব্র প্রতিবাদকারী হিসাবে তিনি বিবৃতি প্রদান করেন। একুশের রাতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট) সংগ্রাম পরিষদের বৈঠক ডাকেন। এতে নতুন করে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং সিদ্ধান্ত হয়, লাগাতার হরতাল চলবে। এ সময় তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। এরপর গোলাম মাহবুব আত্মগোপন করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। ৭ মার্চ ঢাকার শান্তিনগরে নেতৃবৃন্দের বৈঠকে চলাকালে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে এবং সাতজন নেতা গ্রেফতার হন। গোলাম মাহবুব কৌশলে গ্রেফতার এড়িয়ে গভীর রাতে অন্য জায়গায় চলে যান। এরপর যান ফরিদপুর। ২৯ মার্চ আইনজীবীর পরামর্শে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যান আইনের আশ্রয় নিতে। সেখানে তাকে বন্দি করে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয় এক বছর। এম আর মাহবুব
গত ১৯ মার্চ ছিলো ভাষা সৈনিক গোলাম মাহবুবের ৫ম মৃতু্যবার্ষিকী। ২০০৬ সালের এ দিনে তিনি ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। গোলাম মাহবুব ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসাবে তিনি ১৯৯৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।আমাদের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে কাজী গোলাম মাহবুবের অবদান অবিস্মরণীয়। ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে তিনি ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সে বছর ১১ মার্চ প্রথম গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। সেদিন সচিবালয়ে পিকেটিংকালে সহকর্মীদের নিয়ে তিনি রাস্তায় আইজি'র গাড়ির সামনে শুয়ে ব্যরিকেড দেন। এ কারণে তাকে বর্বরোচিত পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং সে অবস্থায়ই তাকে করা হয় গ্রেফতার। ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা চুক্তি সত্ত্বেও তিনি মুক্তি পাননি। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাকে ও অন্যান্য রাজবন্দিদের ছাড়া জেল থেকে বের হবেন না বলে ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় সরকার তাদেরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ৩১ জানুয়ারি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে বার লাইব্রেরির সভায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সর্বসম্মতিভাবে এর আহ্বায়ক হলেন কাজী গোলাম মাহবুব। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি তার নেতৃত্বে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি লাঠিচার্জে আহত ছাত্রদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যেতে তিনি ভয় পাননি। এরপর গ্রেফতার এড়িয়ে আন্দোলন পরিচালনার কৌশল অবলম্বন করেন। একুশের ঘটনাবলী সম্পর্কে তৎকালীন পূর্বপাক প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমীনের বেতার ভাষণের তীব্র প্রতিবাদকারী হিসাবে তিনি বিবৃতি প্রদান করেন। একুশের রাতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট) সংগ্রাম পরিষদের বৈঠক ডাকেন। এতে নতুন করে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং সিদ্ধান্ত হয়, লাগাতার হরতাল চলবে। এ সময় তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। এরপর গোলাম মাহবুব আত্মগোপন করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। ৭ মার্চ ঢাকার শান্তিনগরে নেতৃবৃন্দের বৈঠকে চলাকালে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে এবং সাতজন নেতা গ্রেফতার হন। গোলাম মাহবুব কৌশলে গ্রেফতার এড়িয়ে গভীর রাতে অন্য জায়গায় চলে যান। এরপর যান ফরিদপুর। ২৯ মার্চ আইনজীবীর পরামর্শে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যান আইনের আশ্রয় নিতে। সেখানে তাকে বন্দি করে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয় এক বছর। এম আর মাহবুব